কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি
মুকুন্দ চক্রবর্তী।
നമനശ. മിയാനാകുമായിരുന്നു. മമ്മിക്ക
Answers
Answer:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের একটি গৌরবময় শাখা হল মঙ্গল কাব্য , এই মঙ্গল কাব্যসমূহের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য মুকুন্দ চক্রবর্তী বিরচিত অভয়ামঙ্গল /চন্ডীমঙ্গল । চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত নির্বাচিত অংশ কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি নামক কবিতাখানির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপর আলোচনা করা আমাদের আজকের লেখনীর প্ৰতিপাদ্য ।
মূল কাব্যে দেবী চণ্ডীর বরে ব্যধনন্দন কালকেতু বনজঙ্গল ঝাপ করে পত্তন করেন গুজরাট রাজ্য । কিন্তু প্রজার অভাবে রাজা হওয়া হচ্ছিল না কালকেতুর । শেষপর্বে চণ্ডী সহায়ক ভূমিকা নেন , চণ্ডীর রোষে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কলিঙ্গে নেমে আসে এক ভয়ংকর বিপর্যয় । আকাশ ছেয়ে যায় সর্বনাশী কালো মেঘে , সমান্তরাল ভেবে চলল মেঘের গর্জন এবং বিদ্যুতের শাসানি । কেঁপে উঠল পুরো আকাশ । এরপর শুরু হলো প্রবল বর্ষণ । সঙ্গে বাড়লো মেঘের গর্জন আর ঝড়ের তাণ্ডব । অসহায় হয়ে পড়লো কলিঙ্গের জনমানুষরা -
'প্রলয় গনিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ '
শেষপর্যন্ত প্রাণের তাগিদে বিপদের আশঙ্কায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তারা ।
সাতদিন ধরে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে কলিঙ্গবাসীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে উঠল । ঝড়ের দাপটে ধ্বংশ হলো এক রাজ্য ফসল । বর্ষণ সঙ্গে ভয়ঙ্কর বিদ্যুৎ ঝলক আর বিরামহীন বজ্রপাত জনজীবনকে করে তুলল অতিষ্ট । রাস্তাঘাট হলো জলমগ্ন । মেঘের গর্জন এতটাই প্রবল যে তাতে চাপা পড়লো কোলাহল আর মানুষের আর্তনাদ । এমন এক বিপন্ন সময়ে এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য অসহায় জনতা জনার্দন স্মরণ করলো ঋষি জৈমিনিকে । এদিকে বর্ষণ এমনই বিশাল আকার নিলো যে , রাত আর দিনের কোন প্রভেদ থাকল না । কলিঙ্গ যেন অন্ধদ্বীপ , নেই সূর্য্যের সমান্য রশ্মিটুকুও । ভূগর্ভের প্রাণী সব উঠে এলো উপরে ( সাপ , ব্যাঙ ইত্যাদি )।ফসল হলো সারা , নষ্ট হলো অট্রালিকা আর আসবাব কাঁড়িকাঁড়ি । এতেও শেষ চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলো কলিঙ্গের দেবালয় আর বড় বাড়ি যত । এইভাবে সাতদিন ব্যপী অবিচ্ছিন্ন বিপর্যয় কলিঙ্গবাসিকে করে তুলেছিল অসহায় ।
Answer:
এটি মুকুন্দ রাম চক্রবর্তী রচিত কবিতা। চণ্ডীমঙ্গল এর আখেটিক খন্ড থেকে গৃহীত।
Explanation:
Hope it's helps you . Plz mark me brainliest and follow me