প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ
Answers
রাম: কি রে,শ্যাম ভালো আছিস?
শ্যাম: হ্যাঁ,ভালো আছি।তুই কেমন আছিস আর কি করছিস এখন?
রাম: আমি এই স্কুলের প্রোজেক্ট করছিলাম।
শ্যাম: কি বিষয়ের প্রোজেক্ট?
রাম: আধুনিক সময়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার।
শ্যাম: বাহ,EVS -এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রাম: হ্যাঁ,তাছাড়াও এমনি সাধারণভাবেও আলোচনা করার ভালো বিষয়।
শ্যাম: হুম,প্লাস্টিক আমাদের সমাজে আশীর্বাদ এবং অভিশাপ দুটোই।
রাম: ঠিকই বলেছিস, একদিকে যেমন প্লাস্টিক বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করার গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক কাঁচামাল , তেমনই প্লাস্টিক জৈব অবিশ্লেষ্য হওয়ায় পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ।
শ্যাম: তাই আপনাদের দরকার প্লাস্টিকের পরিমিত ব্যবহার এবং প্লাস্টিকের জায়গায় অন্যান্য পরিবেশবান্ধব জৈব বিশ্লেষ্য কাঁচামাল নির্মিত জিনিসপত্রের ব্যবহার করা।
Answer:
| খাতে সরস্বতী কুণ্ডীর বর্ণমা
মনে আছে। 'পথের পাঁচালী' যেমন অপুর
তাই তো!
নয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ)
সংলাপ-৫
স্বাগতা দেখেছিস, প্রায় ৮ বছর হয়ে গেল আমাদের রাজ্যে পাতলা প্লাস্টিক বা ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ হয়েছে। অথচ এখনও বাজারে প্লাস্টিক প্যাকেটের ব্যবহার রমরমিয়ে চলছে। রেডিয়ো, টিভি, কাগজের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা হলেও অনেকেই ওই নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যাগে জিনিয় নিচ্ছে। বলেছ, তবে বড়ো বড়ো মলে বা দোকানে অবশ্য মোটা প্লাস্টিকের প্যাকেট কিনে নিতে হয়। কিন্তু এটাও ঠিক, সংখ্যায় খুব কম
ফাগতা : 'মল'-এ ক'জন যায় বলোতো! ফুটপাথের দোকান, পাড়ার ছোটোখাটো প্রয়োজন নিসের দোকানে পাতলা প্লাস্টিকই ব্যবহার করছে। এইরকম কোটি কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ প্রতিদিন আমরা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছি, জাল ফেলছি। অথচ ৮০ মাইক্রনের নীচে এইসব
শ্যামলী : তা যা
হলেও আজকাল অনেকেই সচেতনভাবে প্লাস্টিকের ব্যাগ নেন না।
প্লাস্টিক ব্যবহার বেআইনি তা আমরা সবাই জানি। জানলে কী হবে? আমরা
দোকানে জিনিস কিনেই বলি, 'দাদা একটা প্লাস্টিক থাকলে দিন না। আমরা ক্রেতারা যদি সচেতন হই, তবেই
অবস্থা কিছুটা বদলাতে পারে। নিজেদের থলে বা ব্যাগ সঙ্গে রাখতে ক্ষতি কী।
স্বাগতা : ক্ষতি কিছুই না, আমরা কি চটের থলে নিয়ে দোকানে যাব
শ্যামলী : ঠিক তা নয়, এখন তো চটের ব্যাগই নানা ডিজাইনের করা হচ্ছে, কোথাও কোথাও খবরের কাগজের ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। সেইসব ব্যাগ
তো ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাগতা হয়তো। আসলে কী বলোতো, 'প্লাস্টিক বর্জন করুন বলে দিলে চলবে না। পথে পথে চলমান বিজ্ঞাপনের সাহায্য নিতে হবে। 'প্লাস্টিক’ প্যাকেট তো হাজার হাজার বছরেও নষ্ট হয় না। কিন্তু কত সহজে আমাদের মাটিকে নষ্ট করে দেয়। এর ধ্বংস নেই, পচন নেই।
সবাইকে এই বিপদটা বোঝাতে হবে। বিজ্ঞাপনে এই ব্যাপারটা আনতে হবে।
শ্যামলী : স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের নিয়ে এই কাজটা শুরু করতে হবে।
স্বাগতা : খবরের কাগজে পড়লাম। সম্প্রতি কলকাতার একটা স্কুলে পরিবেশকে সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তোলার ভাবনা নিয়ে সেমিনার হয়েছে।
সেখানে ছাত্রীরা প্লাস্টিক বর্জন নিয়ে নাটক করেছে।
শ্যামলী : আরও একটা কথা। কোথাও এই ধরনের নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে দেখলেই সামনে গিয়ে বলতে হবে। কারণ ছোটো ছোটো
দোকানিরা বা অনেকে হয়তো এই বিষয়ে জানেই না।
স্বাগতা : সরাসরি বললে কেউ যদি রাগ করে, উলটে যদি কিছু বলে?
শ্যামলী আহা! চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী! স্বাগতা : তা মন্দ বলিসনি, চেষ্টাতেই সব হয়।