শ্বসন সম্পর্কে কিছু বলুন
Answers
শ্বসন একটি বিপাকীয় ক্রিয়া। এ প্রক্রিয়া চলাকালে প্রতিটি জীব পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে ও কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। শারীরবৃত্তীয় শ্বসন হল বাতাস হতে জীবের কলাতন্ত্রে অক্সিজেনের সরবরাহের এবং বিপরীত প্রক্রিয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন প্রক্রিয়া।
■ শ্বসনের সংজ্ঞা
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বা অনুপুস্থিতিতে খাদ্যের জারণের ফলে খাদ্য স্থৈতিকশক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও মুক্ত হয় তাকে শ্বসন বলে।
শ্বসনের বৈশিষ্ট্য
1) শ্বসন একপ্রকার অপচিতি বিপাক। কারণ এই প্রক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তু সরল উপাদানে পরিণত হয় এবং দেহের শুষ্ক ওজন হ্রাস পায়।
2) শ্বসন একটি তাপমোচী প্রক্রিয়া ।
শ্বসন স্থান ও শ্বসন অঙ্গাণু
এককোষী থেকে বহুকোষী সমস্ত ধরনের জীব দেহের প্রতিটি সজীব কোষে শ্বসন দিনরাত ঘটে। শ্বসনের অধিকাংশ রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলি মাইট্রোকন্ডিয়াতে ঘটায় মাইটোকনড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
■ শ্বসনের পদ্ধতি
গ্লাইকোলাইসিস:
এই প্রক্রিয়ায় কোষের সাইটোপ্লাজমে অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে উৎসেচকের প্রভাবে গ্লুকোজ আংশিকভাবে জারিত হয়ে 2 অনু পাইরুভিক অ্যাসিড এবং 2 অনু ATP উৎপন্ন হয়। এম্বডেন, মেয়ারহফ, এবং পারনেস নামক বিজ্ঞানী প্রথম এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন বলে গ্লাইকোলাইসিস পদ্ধতি EMP পথ নামে পরিচিত।
ক্রেবস চক্র:
এটি কোষের মাইট্রোকন্ডিয়ায় অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ঘটে। ইংরেজ প্রাণ-রসায়নবিদ হ্যানস ক্রেবস 1937 খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন বলে তাঁর নাম অনুসারে এই চক্রকে ক্রেবস চক্র বলে। এই পর্যায়ে পাইরুভিক অ্যাসিড সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, জল ও শক্তি উৎপন্ন করে। ক্রেবসচক্রে প্রথম উৎপাদিত জৈব যৌগটি হল সাইট্রিক অ্যাসিড যার মধ্যে 3টি কার্বক্সিল গ্রুপ থাকে। তাই ক্রেবসচক্রকে ট্রাই কার্বক্সিলিক অ্যাসিড চক্র বা TCA চক্র বলা হয়।
■ শ্বসনের প্রকারভেদ
শ্বসন সাধারনত দুই প্রকারের হয়ে থাকে।
সেগুলি হল 1) সবাত শ্বসন 2) অবাত শ্বসন