ভেক্সলারের অভিক্ষা কে কেন মিশ্র অভীক্ষা বলা হয়?
Answers
শিক্ষামূলক ও মনোবৈজ্ঞানিক পরিমাপের এক ধরনের কৌশল বা উপকরণ হলো অভীক্ষা। সাধারণভাবে এক গুচ্ছ প্রশ্নকে (মৎড়ঁঢ় ড়ভ য়ঁবংঃরড়হ) অভীক্ষা বলা যায়। একটি অভীক্ষার মধ্যে সাধারণত অনেকগুলো অভীক্ষা পদ বা প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকে। অভীক্ষা হলো শিক্ষার্থীর এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য একগুচ্ছ প্রশ্ন বা সমস্যার সেট। যে অভীক্ষা দ্বারা শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে তাদের পঠিতব্য বিষয়ের ওপর কতটা পারদর্শিতা বা কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছে তা পরিমাপ করা হয় তাকে পারদর্শিতা বা কৃতিত্ব অভীক্ষা বলে। কৃতিত্বের অভীক্ষাকে শিক্ষামূলক অভীক্ষাও বলা হয়। মনোবিদ জে.সি. নানেলি এর মতে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষামূলক অগ্রগতির পরিমাপ করাই কৃতিত্ব অভীক্ষার উদ্দেশ্য।
**সু-অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য
যে-কোন আদর্শ বা উত্তম অভীক্ষার কতকগুলো গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন। এগুলোর যদি অভাব থাকে তবে অভীক্ষাটিকে পরিমাপের উপকরণ হিসেবে নিখুঁত বা নির্ভরযোগ্য বলা যায় না। অভীক্ষার এই উপাদান বা শর্তগুলোকে বলা হয় সু-অভীক্ষার বৈশিষ্ট্য। নিম্নে প্রধান পাঁচটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো:
১. যথার্থতা : কোন অভীক্ষার যথার্থতা বলতে বুঝায়, যে গুণ বা বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করার জন্য অভীক্ষাটি তৈরি করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে অভীক্ষাটি নিখুঁতভাবে সেই গুণ বা বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করতে পারছে। অর্থাৎ কোন অভীক্ষার দ্বারা যা পরিমাপ করতে চাওয়া হয়, অভীক্ষাটি যদি তা সঠিকভাবে পরিমাপ করে, তবে অভীক্ষাটি যথার্থ বলা যায়। বিজ্ঞানের একটি অভীক্ষা যদি শিক্ষার্থীর হাতের লেখা বা ভাষাজ্ঞান পরিমাপ না করে শুধু বিজ্ঞানের জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করে তবে অভীক্ষাটির যথার্থতা রয়েছে বলা যাবে। অভীক্ষার যথার্থতা যুক্তিনির্ভর পদ্ধতিতে নির্ণয় করা হয়।
২. নির্ভরযোগ্যতা : অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা বলতে বোঝায় একটি অভীক্ষা কতটা নির্ভুল ও সঙ্গতিপূর্ণ ফলাফল প্রদান করতে পারে। যদি একটি অভীক্ষা একদল শিক্ষার্থীর উপর কিছুদিনের ব্যবধানে পর পর দুবার প্রয়োগ করা হয় এবং যদি দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীদের দুই বারের ফলাফলের মধ্যে মিল আছে, তাহলে বলা যাবে অভীক্ষাটির নির্ভরযোগ্যতা রয়েছে। অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা গাণিতিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করা যায়।