Social Sciences, asked by degjaniwwcom, 10 months ago

৫। শীতল যুদ্ধই অস্ত্র সম্প্রসাৰণ (দৌৰ) আৰু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ দুয়ােটাই কৰে। এই দুয়ােটা কার্য কৰাৰ কাৰণ
কি ? লিখা।​

Answers

Answered by pratyushsharma697
0

Answer:

রাসায়নিক অস্ত্রের সবচেয়ে বড় শিকার বৃহত্তর এশিয়ার সাধারণ মানুষ এবং প্রকৃতি। ক্ষমতালিপসু যুদ্ধবাজ নেতারা এই মরণ খেলায় মেতে উঠলেও এর পেছনে কখন ছিল পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদ শক্তি কখনো বা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ। এই যে বর্তমানে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে যে এত সমালোচনা। সেই অস্ত্রের জোগানদাতাও কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব।

শীতল যুদ্ধ উত্তর বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি, আধুনিত গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কম নিন্দনীয় নয় রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ ও বিস্তারে। পৃথিবীর যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বাধিক সংখ্যক রাসায়নিক হামলা চালানোর রেকর্ড রয়েছে খোদ মার্কিন প্রশাসন।

১৯৭০-এর দশকে এজেন্ট অরেঞ্জ হামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে রাসায়নিক অস্ত্র হামলার সূচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ভিয়েতনামের জঙ্গল ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করেছিল এজেন্ট অরেঞ্জ নামক এই ভয়ঙ্কর রাসায়নিক অস্ত্র। তরল গ্যাস দিয়ে গাছের পাতা এবং ডাল পুড়িয়ে দিয়েছিল যাতে করে বিরোধীরা গহিন অরণ্যে আত্দগোপন করতে না পারে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে এই রাসায়নিক অস্ত্র জঙ্গলের বাসিন্দা এবং আশপাশের বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। খোদ মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর দিকগুলোর কথা ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা দীর্ঘসময় ধরে এ হামলা চালায়। ভিয়েতনামে মার্কিন বাহিনীর নাপাম এবং সাদা ফসফরাস বোমা ব্যবহার প্রমাণিত। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রকল্প এতটাই গোপন ছিল যে, ২০০১ সালের আগে পর্যন্ত খোদ যুক্তরাষ্ট্র্রের জনগণও এ ব্যাপারে কিছু জানত না। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহৃত রাসায়নিক অস্ত্রের কারণে প্রায় দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার ভিয়েতনামী সেনা আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

১৯৭০ সালে 'অপারেশন টেইলউইন্ড'-এর মাধ্যমে লাওসে বিদ্রোহীদের হত্যা করতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বাহিনী গোপনে সারিন গ্যাস ব্যবহার করে। ১৯৯৮ সালে সিএনএন-এই এই তথ্য প্রকাশ করে এপ্রিল অলিভার ও জ্যাক স্মিথ নামের দুই সাংবাদিক এবং পুলিৎজার জয়ী আলোকচিত্রী পিটার আরনেট।

১৯৯০ দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোলান্ড রিগ্যান ও জর্জ হার্বার্ট ওয়াকার বুশ (সিনিয়র বুশ) প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইরাককে সহায়তা করে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরাককে অর্থনৈতিকভাবে এবং সমরাস্ত্র দিয়েও সহায়তা করে। এ সময় ইরানকে প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র 'ক্রপ ডাস্টার' নামে রাসায়নিক অস্ত্র দেয়। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে এই অস্ত্র নির্বিচারে মানুষ হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয় সেসময়।

অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং এরপরের সব যুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্র রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন জেনোয়াতেও সারিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঊাসার আল-আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কথা বলে ওবামা প্রশাসন যে সিরিয়াতে হামলা চালাতে চাইছেন; কিন্তু সেই একই অভিযোগে তো বহু দেশ যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকশ'বার হামলা চালানোর বৈধতা রাখে।

 

 

আপনার মন্তব্য

এই বিভাগের আরও খবর

টাইম লাইনটাইম লাইন

অস্ত্রমুক্ত স্বপ্নের বিশ্বঅস্ত্রমুক্ত স্বপ্নের বিশ্ব

বিদ্বেষ ও বিষের দ্বৈরথবিদ্বেষ ও বিষের দ্বৈরথ

রাসায়নিক অস্ত্র কী?রাসায়নিক অস্ত্র কী?

ভয়ঙ্কর রাসায়নিক অস্ত্রভয়ঙ্কর রাসায়নিক অস্ত্র

হরেক রকম...হরেক রকম...

সর্বাধিক পঠিত

আইসিসিবির হাসপাতাল কাল উদ্বোধন

দুই লাখ কোটি টাকার তহবিল ছাড়তে নারাজ ব্যাংকগুলো

কৃষকের মুখে হাসি হাওরে

আলো ছড়াচ্ছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

বলিউডে খানদের রাজত্ব

দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় পুলিশ বক্সে ‘সফল’ হামলা

করোনা টাস্কফোর্স : ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভিন্ন সুর ট্রাম্পের

বরিশালের রাস্তায় মানুষ, যানবাহন

আজকের ভাগ্যচক্র

লোকসানের পাহাড়ে ক্লাবগুলো

Similar questions