‘ধীবর -বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে?
Answers
সংস্কৃত সাহিত্যের সর্বাধিক প্রজ্বলিত নক্ষত্র মহাকবি কালিদাস । তাঁর অসংখ্য সৃস্টি সম্ভারের মধ্যে ' অভিজ্ঞানম শকুন্তলম ' একটি উজ্জ্বল উদ্ধার । এই নাটকের ষষ্ট অঙ্ক থেকে নেওয়া ধীবর বৃত্তান্ত নামক অংশটি ।
আমাদের আলোচনার প্রেক্ষিত ধীবরের চারিত্রিক ঘূর্ণনের বর্ণনা । নাটকের অংশটি গভীর অভিনিবেশে পাঠ করলে ধীবর চরিত্রের বিশেষ কয়েকটি দিক আমাদের চাক্ষুস হয় । তাঁর চরিত্রের একটি প্রধান দিক হল সততা । গরীব হলেও আংটি পাওয়ার পরও সে ছলনার আশ্রয় নেয়নি । রাজার শ্যালক এবং রক্ষীদের মিথ্যা বলে সে বিপথে চলাতে পারতো । তা না করে সে সত্যবাক্য বলে গেছে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত । একই সঙ্গে সে স্পষ্টভাষীও বটে । রাজকর্মচারীরা তাকে রাজদরবারে ধরে নিয়ে যাবার পর নানান জিজ্ঞাসাবাদেও সে বিচলিত হয়নি.
_____________________
Answer:
"ধীবর-বৃত্তান্ত" নাট্যাংশে দুই রক্ষীর কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে বাস্তব জীবনের বেশ কয়েকটি চিত্র ফুটে উঠেছে তা হল- জোর যার মুলুক তার অর্থাৎ চিরকাল, চিরদিন সাধারণ হতদরিদ্র ক্ষমতাহীন মানুষদের উপর ক্ষমতাবান মানুষরা হেয় প্রতিপন্ন ও শোষণ অত্যাচার করে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন সৎ নিরীহ ধীবর কে বাটপার, গাঁটছড়া ইত্যাদি বলতে এরা দ্বিধা বোধ করেনি। এমনকি রক্ষীদের মুখে শোনা যায়- হয় তোকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হবে না হয় তোকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে। এই মন্তব্য শুনে নিঃশব্দে আমরা বলতে পারি রক্ষীদের চরিত্রের মধ্য দিয়ে অমানবিক, অবিবেচকতার পরিচয় পাওয়া যায়।