মাইক্রোপ্রােপাগেশন পদ্ধতিতে পৃথকীকৃত কোশ বা কলার ছােটো টুকরাে’ থেকে কীভাবে এমব্রয়েড’ তৈরি হয় তা
ব্যাখ্যা করাে। জননের গুরুত্ব উল্লেখ করাে।
Answers
Answer:
মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতিতে পৃথকীকৃত কোশ বা কলার ছোট টুকরো গুলো কালচার মাধ্যমে রেখে ক্যালাস গঠন করা হয় এবং এই ক্যালাসের বৃদ্ধি ঘটিয়ে এমব্রয়েড তৈরি করা হয়।
Explanation:
Hope it helps you.......
উত্তর: ■ যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদের কোশ, কলা বা অঙ্গ পালনের দ্বারা খুব কম সময়ের মধ্যেই অসংখ্য অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয় এবং খুব দ্রুত উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটানো হয়, সেই পদ্ধতিকেই মাইক্রোপ্রোপাগেশন বলা হয়।
মাইক্রো কথার অর্থ অতি ক্ষুদ্র। মাইক্রোপ্রোপাগেশন শব্দটিতে মাইক্রো পথিকৃৎ কোশ বা কলার ছোট টুকরোকে বোঝায়। এই ছোট টুকরো বা উপাদানটিকে বিশেষ কর্ষক দ্রবনে বৃদ্ধি ঘটাতে হয়। কর্ষক দ্রবণটি পরিপোষক এবং অক্সিন ও সাইটোকাইনিন হরমোন দিয়ে তৈরি করা হয়। এই ধরনের পদ্ধতিকে কালকর্ষক বলা হয়। এই কলা কর্ষক পদ্ধতিতে উদ্ভিদের বংশ বিস্তার ঘটানো যা::-
[1]. প্রথমে সুস্থ ও রোগমুক্ত উদ্ভিদকে বাছাই করে তার অঙ্গ, মুকুল বা কোষ নির্বাচন করা হয় এবং সেটিকে কৃত্তিম পুষ্টিমাধ্যমে রেখে কর্ষণ করা হয় ।
[2]. কৃত্তিম পুষ্টিমাধ্যমে উদ্ভিদ কোশগুলির বিভাজন ঘটে এবং বিভাজিত হয়ে ক্যালাস (Callus) গঠন করে ।
[3]. তারপর, এই পুষ্টিমাধ্যমে অক্সিন ও সাইটোকাইনিন হরমোন প্রয়োগ করে এমব্রয়েড (ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চারাগাছ) তৈরী করে সেগুলিকে টবে বা বাইরে মাটিতে স্থানান্তরিত করা হয় ।
এভাবেই মাইক্রোপ্রোপাগেশন পদ্ধতির মাধ্যমে উদ্ভিদের পৃথকীকৃত কোশ বা কলার টুকরো থেকে এমব্রয়েড তৈরী করা হয় ।