History, asked by Suboji, 7 months ago

তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত'- বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা 'সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশ অনুসরণে আলোচনা করো।

Answers

Answered by farukgurhat
52

Answer:

উদ্ধৃত উক্তিটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা 'সিরাজদ্দৌলা' নাটকের প্রধান চরিত্র বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌলার । সিরাজদ্দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা ও সমস্ত ফরাসি বণিকদের কাছে লজ্জিত বলে নিজে স্বীকার করেছেন ।

সুদূর ফ্রান্স থেকে বহুকাল পূর্বে ফরাসিরা বাংলায় এসে বাণিজ্য শুরু করে । বাণিজ্যিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে নবাব সিরাজদ্দৌলার সঙ্গে ফরাসিদের কোনো রকম বিরোধ বা বিবাদ ছিল না । নবাবের সঙ্গে তাদের ব্যবহার ও ছিল অত্যন্ত সুন্দর । কিন্তু ফরাসিদের অনেক পরে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে বাণিজ্য করতে আসে । ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল ফরাসিদের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মীর মানুষ । এদেশে বাণিজ্য করতে আসলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরো বাংলা দখল করে এ দেশে কায়েমি শাসন প্রতিষ্ঠা করা । তাই বাংলা থেকে ফরাসিদের তাড়িয়ে দেবার জন্য ইংরেজরা নবাবের বিনা অনুমতিতে ফরাসিদের বাণিজ্য ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণ করে অধিকার করে নিয়েছিল । যা অত্যন্ত অন্যায় কাজ ।

নবাব সিরাজদ্দৌলার কাছে ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা আবেদন জানিয়েছিলেন যে, যাতে ইংরেজরা তাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধার সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে নবাবের যেন নজরদারি থাকে । এ বিষয়ে নবাব সিরাজদ্দৌলাও ইংরেজদেরকে জানিয়ে দিয়েছিল যে, তারা যেন পরস্পর শান্ত হয়ে এখানে যে যার ব্যবসাবণিজ্য করে । কিন্তু নবাবের সেই আদেশ অমান্য করে ইংরেজরা চন্দননগর দখল করে নেয় । এক্ষেত্রে নবাব সিরাজদ্দৌলা ফরাসিদের কোন প্রকার সাহায্য করতে পারেন নি । কারণ কিছুদিন পূর্বে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আর পূর্ণিয়ার শওকত জঙ্গের সঙ্গে যুদ্ধ করে তার অনেক সৈন্যক্ষয় ও অর্থব্যয় হয়ে গেছে । এতে নবাবের মনোবল ভেঙে যায় । এছাড়া নবাবের মন্ত্রীমন্ডলীও যুদ্ধ করতে রাজি ছিলেন না । এমতাবস্থায় নবাব সিরাজদ্দৌলা নিজের অক্ষমতার জন্য ফরাসিদের কাছে লজ্জিত বলে নিজেই স্বীকার করেছিলেন ।

Answered by somajati3
9

Answer:

উদ্ধৃত উক্তিটি নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা 'সিরাজউদ্দৌলা' নাটকের প্রধান চরিত্র বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার। সিরাজউদ্দৌলা ফরাসি প্রতিনিধি আল্লাহ সমস্ত ফরাসি বণিকদের কাছে লজ্জিত বলে স্বীকার করেছেন।

সুদূর ফ্রান্স থেকে বহুকাল পুর্বে ফরাসিরা বাংলায় এসে বাণিজ্য শুরু করে। বাণিজ্যিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে ফরাসিদের কোনো রকম ছিল না। নবাবের সঙ্গে তাদের ব্যবহারও ছিল অত্যন্ত সুন্দর। কিন্তু ফরাসিদের অনেক পরে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে বাণিজ্য করতে আসে।‌ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিলো ফরাসিদের থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ধর্মীয় মানুষ। এদেশে বাণিজ্য করতে আসলেও তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পুরো বাংলা দখল করে এ দেশে কায়েমি শাসন প্রতিষ্ঠা করা। তাই বাংলা থেকে ফরাসিদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইংরেজরা নবাবের বিনা অনুমতিতে ফরাসিদের বাণিজ্য ঘাঁটি চন্দননগর আক্রমণ করে অধিকার করে নিয়েছিল । যা অত্যন্ত অন্যায় কাজ।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাছে ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা আবেদন জানিয়েছিলেন যে, যাতে ইংরেজরা তাদের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে নবাবের যেন নজরদারি থাকে । এ বিষয়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইংরেজদেরকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে , তারা যেন পরস্পর শান্ত হয়ে এখানে যে যার বাণিজ্য করে । কিন্তু নবাবের সেই আদেশ অমান্য করে ইংরেজরা চন্দননগর দখল করে নেয়। এক্ষেত্রে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ফরাসিদের কোনো প্রকার সাহায্য করতে পারেননি। কারণ কিছুদিন পূর্বে ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে আর শওকত জঙ্গ এর সঙ্গে যুদ্ধ করে তার অনেক সৈন্য ক্ষয় ও অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে । এতে নবাবের মনোবল ভেঙে যায় । এছাড়া নবাবের মন্ত্রী মণ্ডলীয় যুদ্ধ করতে রাজি ছিলেন না । এমতাবস্থায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা নিজের অক্ষমতার জন্য ফরাসিদের কাছে লজ্জিত বলে নিজেই স্বীকার করেছিলেন।

Similar questions