বাক্যে উত্তর দাও :
ক) ইয়ং ইতালি খ) জোলভারেইন গ) রিসর্জিমেন্টো
ঘ) ঘেটো ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা
Answers
Answer:
ক) ইয়ং ইতালি :-
জোসেফ ম্যাৎসিনি ছিলেন ইতালির মুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ এবং দেশের স্বাধীনতায় নিবেদিতপ্রাণ ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে তার জন্ম ছাত্রজীবনে তিনি কার্বোনারী দলের সদস্য ছিলেন ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতালি নামে একটি দল গঠন করেন তার উদ্দেশ্য ছিল দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতীয় চেতনা জাগ্রত করা ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জন্য তাদের শিক্ষাদান এই দলের ইতালির শক্তি দ্বারা অস্ট্রেলিয়াকে থেকে বিতাড়িত করে স্বদেশে স্থাপন করা
খ) জোলভারেইন
অর্থনীতিবীদ ম্যাচের উদ্যোগে এবং রাশিয়ার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জার্মান রাষ্ট্র গুলির শুল্ক সমবায় কে বলা হয় জোলভেরাইন ১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দে
জোলভেরাইন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য গুলি হল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অন্ত শুল্ক বিলুপ্ত করা অবাধ বাণিজ্যের প্রবর্তন করে অর্থনীতির উন্নতি ঘটানো জার্মান রাজ্যগুলির বাণিজ্যিক বাধা দূর করে বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো এবং গোটা জার্মান ভূখণ্ডে এক শুল্কনীতি প্রবর্তন করে জার্মানিকে অর্থনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ করা
গ) রিসর্জিমেন্টো
রিসর্জিমেন্টো কাকে বলে
রিসর্জিমেন্টো কথাটির বাংলা প্রতিশব্দ পুনর্জীবন অথবা পুনর্জাগরণ
উনিশ শতকের প্রথম ভাগে ইতালিতে যে জাতীয় ঐক্য আন্দোলনের সূচনা হয় তাকে সার্বিকভাবে রিসর্জিমেন্টো বলা হয় । এর লক্ষ্য ছিল বিদেশি শাসনের উচ্ছেদ করে ইতালি কে ঐক্যবদ্ধ করা ।ইতালির মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা।
ঘ) ঘেটো
ঘেটো হলো শহরের একটি অংশ যেখানে মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ জন বসবাস করে । Ghetto শব্দটি মূলত ভেনিস শহরে বসবাসকারী সেইসব ইহুদিদের কাছ থেকে সৃষ্টি যারা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।
ইতালিয়ান শব্দ ভেটো শব্দের অর্থ জঞ্জাল আবর্জনা অন্য অর্থে বস্তি যেহেতু ভেনিস শহরের জঞ্জাল ফেলার স্থান ছিল সেই বিশেষ দ্বীপে যেখানে সামাজিকভাবে অবরুদ্ধ মুদ্রায় বাস করত জায়গাটির নাম ছিল ভেনেটিয়ান ঘেটো ।
ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব প্রসূত শ্রমিকশ্রেণী ঘিঞ্জি আলো-আঁধারি নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করত তাদের কোন সামাজিক মর্যাদা এবং রাজনৈতিক আইনগত অধিকার ছিলনা এই অর্থে শ্রমিকশ্রেণীর বসবাসের স্থানকে ঘেটো বলা হয় |
ঙ) ফ্যাক্টরি প্রথা
ফ্যাক্টরি প্রথা
শিল্প বিপ্লবের সাথেসাথে ফ্যাক্টরি প্রথার ও উন্মেষ ঘটে
বৃহদাকার যন্ত্র ভিত্তিক শিল্পের বিকাশের পূর্বে উৎপাদনের মাধ্যম ছিল ছোট ছোট কারখানা বা নিল কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষদিকে শিল্প উন্নতির ফলে বড় বড় কারখানা গড়ে ওঠে কিন্তু পুঁজিপতিদের বড় বড় কারখানার পাশাপাশি হস্তচালিত কুটির শিল্প টিকে থাকে এই অবস্থায় ব্যক্তিগত মালিকানায় এবং ব্যক্তিগত পুঁজি বিনিয়োগ শিল্প-কারখানা গুলিতে
কিন্তু সময়ের গতির সাথে সাথে ফ্যাক্টরি প্রথার সংকট দেখা দেয় । রিয়েল শিল্পের নেয়ায় বৃহদায়তন শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে ব্যক্তিগত পুঁজি গৌণ হয়ে পড়ে বৃহৎ শিল্পের মালিকানা ক্রমে ক্রমে ব্যক্তির হাত থেকে জয়েন্ট স্টক কম্পানি বা শিল্প সংস্থার হাতে চলে যায়
Explanation: