নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বানিয়েল
ক? বর্তমান যুগে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আতিশীল নয় কেন
Answers
Answer:
সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল। কোনাে নূতন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান করে, এমন কোনাে ধাতু বা শব্দ সেখানে আছে কি না যার সামান্য অদল বদল করে কিংবা পুরােনাে ধাতু দিয়ে নবীন শব্দটি নির্মাণ করা যায় কি না। তার অর্থ অবশ্য এ নয় যে, সংস্কৃত কস্মিনকালেও বিদেশি কোনাে শব্দ গ্রহণ করেনি। নিয়েছে, কিন্তু তার পরিমাণ এতই মুষ্টিমেয় যে, সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলাতে কারও কোনাে আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই। হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং ঈষং পরবর্তী যুগের আরবিও আত্মনির্ভরশীল এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণ।
take care beautiful!♥
Explanation:
সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে তিনি সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলেছেন যার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। যেমন -- ১. সংস্কৃতে যদি নতুন কোন শব্দ সৃষ্টি করার প্রয়োজন থাকে তাহলে সংস্কৃত নিজের ভান্ডার থেকেই তা অনুসন্ধান চালায়।
২. এছাড়া সেই নিজের ভান্ডার থেকে যে শব্দ বা ধাতুর গ্রহণ করে তার সামান্য অদল-বদল ঘটিয়েই কিংবা কোন ধাতু দিয়ে এই নতুন শব্দ বানিয়ে ফেলতে পারে।
৩. নিজস্ব চাহিদা নিজস্ব চিন্তা নিজস্ব অনুভূতি এগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে যদি সংস্কৃতের নতুন ভাষার প্রয়োজন হয় তাহলে সংস্কৃত নিজের ভান্ডার থেকেই তা তৈরি করে দেখতে চাই যে সেখানে পাওয়া যায় কিনা। তাই এইসব বিচার করে বলাই যায় সংস্কৃত আত্মনির্ভরশীল ভাষা।
*****" কিন্তু আত্মনির্ভরশীলতার নিরিখে বলা যায় বাংলা ও ইংরেজি আত্মনির্ভরশীল নয়। এর কারণ হিসেবে বলা যায় যে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাংলা কিংবা ইংরেজি অন্য ভাষা থেকে তার ভাষা তৈরি করার চেষ্টা করে। যেমন বাংলার ক্ষেত্রে বলা যায় পাঠান মোঘল যুগে আরবি এবং ফারসি ভাষা থেকে প্রচুর বাংলা ভাষায় এসেছে ঠিক তেমনি ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা ভান্ডার থেকে নিজস্ব ভাষা তৈরি করেছে।