তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে! বহুরূপী, গল্পের আলোকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো
Answers
Answer:
সুবোধ যোষ রচিত বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা বিশেষ চরিত্র গুনে সামান্য বহুরূপী থেকে যথা্থ "শিল্পীর মর্যাদায় উন্নীত হয়েছেন তিনি।
বিরাগীর সাজ গ্রহণ করে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তার সাজ এবং অভিনয় এত নিখুত ছিল যে তার পরিচিতরাও তাকে চিনতে পারেননি। জগদীশবাবুর কাছ থেকে 101 টাকা রােজগারের সুযােগ থাকলেও হরিদা এই সুযােগ গ্রহণ করেননি ।কারণ তিনি তখন বিরাগী আর এই অর্থ-সম্পদের মােহ মুক্ত টাকাটা নিলে তার বিরাগী সাজের মর্যাদা ক্ষয় হয় শিল্পীর কাছে শিল্পের মর্যাদা টাই বড়। ভার ব্যক্তিগত দারিদ্র দুঃখ-কষ্ট নিতান্তই তুচ্ছ। তাই একজন বিরাগীর মতােই তিনি অর্থের লােভ বর্জন করেন ।
Answer:
উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন সুবোধ যোষ রচিত 'বহুরূপী' গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা ।
এবার মারি তো হাতি লুঠি তো ভান্ডার" এই উদ্দেশ্যে বিরাগীর সাজে সজ্জিত হয়ে হরিদা ধর্মভীরু জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন । তার সাজ এবং অভিনয় এতটাই নিখুঁত ছিল যে তার পরিচিতরাও তাকে চিনতে পারেননি। সেই সাথে তার মুখ থেকে উৎসারিত বিভিন্ন তত্ত্ব জ্ঞান জগদীশবাবুকে মুগ্ধ করে । যার সুবাদে জগদীশবাবু প্রণামী হিসাবে ছদ্দবেশী হরিদাকে একশো এক টাকা দিতে চায় । কিন্তু নিজের শিল্পীসত্তাকে সম্মান দিয়ে বিরাগীর ছদ্দবেশী হরিদা সেই টাকা হেলায় অস্বীকার করে । এর মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে হরিদার কাছে শিল্পের মর্যাদাটাই বড়। তার ব্যক্তিগত দারিদ্র দুঃখ-কষ্ট নিতান্তই তুচ্ছ । অর্থাৎ হরিদা একজন খাঁটি মানুষ হিসেবে বিবেচিত ।