History, asked by dipmanmajumdar, 7 months ago

নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে সমকালীন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কিরূপ ছিল ?​

Answers

Answered by sanjit57948
24

নীল বিদ্রোহ :    

১৮৫৯ সালে নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সমস্ত বাংলাদেশের কৃষকরা একতাবদ্ধ হয়ে কৃষ্ণনগরের চৌগাছা গ্রামে বিদ্রোহ শুরু করে। এই বিদ্রোহে প্রায় 60 লক্ষ কৃষক বর্ষা তরবারি লাঠি, ঢাল ইত্যাদি নিয়ে শামিল হয়েছিল।    নীল বিদ্রোহের আগুন নদিয়া, যশোর, পাবনা, ফরিদপুর, রাজশাহী-খুলনা, মালদা, দিনাজপুর, বারাসাত, মুর্শিদাবাদ ইত্যাদি জেলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। অবস্থা খারাপ দেখে ইংরেজ সরকার একাদশ আইন পাস করে বিদ্রোহ দমনে সচেষ্ট হয়েছিল।

নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে সমকালীন শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব   :-

  নীলচাষীদের বিরুদ্ধে নীলকর সাহেবদের চরম অত্যাচার সীমা ছাড়ালে তা নীল বিদ্রোহে রূপ নেয়। ধীরে ধীরে যখন এই বিদ্রোহের আগুন তীব্র হয়ে উঠেছিল তখন বিভিন্ন বাঙালি শিক্ষিত সমাজ তাদের সমর্থন জুগিয়েছিল।     বাংলার নীল চাষীদের উপর নীলকর সাহেবরা যে অত্যাচার করত তা সর্বপ্রথম শিক্ষিত সমাজের সমাচার চন্দ্রিকা ও সমাচার দর্পণ পত্রিকাটি দুটি তুলে ধরে। পরবর্তীকালে অক্ষয় কুমার দত্তের তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা সর্ব প্রথম নীল কর দের অত্যাচার নিয়ে বিশদ আলোচনা করে। বাংলার বিশিষ্ট শিক্ষিত সম্প্রদায় যেমন হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, মোহন ঘোষ, শিশির কুমার ঘোষ, কিশোরী চাঁদ মিত্র, দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ নীলচাষীদের একতাবদ্ধ করে সংগ্রামকে আরো শক্তিশালী করতে নেতৃত্ব দিয়েছিল।    তৎকালীন উল্লেখযোগ্য শিক্ষিত হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় নীল চাষীদের জন্য তার বাড়িকে অতিথিশালায় পরিণত করেছিল। এমনকি তাঁর বাড়িতে নীল বিদ্রোহের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হতো ।    সর্বোপরি দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটক প্রকাশিত হওয়ার পর বাঙালির শিক্ষিত সমাজ নীলচাষীদের পক্ষ নিয়ে  নীল বিদ্রোহ কে আরো জোরদার করে তুলেছিল। নীল বিদ্রোহের সময়ে বিভিন্ন শিক্ষিত সম্প্রদায় নীল বিদ্রোহ কে আরও চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য নিজেদেরকে এই বিদ্রোহের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে জড়িত করে তুলেছিল। একথা বলা উচিত হবে যে এই সকল শিক্ষিত সম্প্রদায় এর জন্য নীল বিদ্রোহ তা খুব সহজে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল।

Hope it helps you...✌

Similar questions