মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
নবম শ্রেণি
বিষয় – ভূগােল ও পরিবেশ
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও।
২. যুক্তি সহকারে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলার কারণ ব্যাখ্যা করাে।
ভূজালকের সাহায্যে কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয় ?
১৮০° দ্রাঘিমারেখাকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করে মানচিত্রে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অঙ্কন করা হয়নি কেন ?
৩.
৪.
Answers
Answer:
180° দাগিমা রেখা সম্পূর্ণ অনুসরণ করে মানচিত্রে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা অঙ্কন করা হয়নি কেন ?
কল্পিত আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বা ১৮০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখা সোজা টানলে দেশ এবং অনেক দ্বীপের উপর দিয়ে ধরা হতো। ঐ দ্বীপগুলো কোন দেশর অংশ। তখন দিন, তারিখ নিয়ে ঐসব দেশ সহকারে দ্বীপবাসীরা সমস্যায় পড়তো। ম্যাপ দেখলে সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কেবল সমুদ্রের বরাবর অর্থাৎ কোন স্থলভাগের উপর দিয়ে ধরা হয় নি।তারিখ রেখা বা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা একটি কাল্পনিক রেখা, বস্তুত ১৮০° দ্রাঘিমা বা মধ্যরেখা, যেখানে দিনের আনুষ্ঠানিক সূচনা বা সমাপ্তি ধরা হয়। এর সন্নিহিত সীমানা +১২ এবং -১২ দুটি সময়ক্ষেত্রে বিভক্ত। মধ্যরেখা থেকে পূর্বদিকে যাওয়ার সময়ে কোনো ব্যক্তি প্রতি ১৫° দ্রাঘিমান্তরের জন্য ১ ঘণ্টা সময় লাভ করে। আবার পশ্চিমদিকে যাওয়ার সময়ে কোনো ব্যক্তি প্রতি ১৫° দ্রাঘিমান্তরের জন্য ১ ঘণ্টা সময় হারায়। যেকোনো মধ্যরেখা থেকে পরস্পরের বিপরীত দিকে একই গতিতে পরিভ্রমণরত দুই ব্যক্তি একই সময়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবেন, কিন্তু তাদের মধ্যে দিনের পার্থক্য হবে পুরো একদিন। যদি পূর্বদিকে রবিবার হয় তবে তারিখ রেখা পার হওয়ার সাথে সাথে তা হবে সোমবার। ১৮০° মধ্যরেখা গ্রিনীচ মান বা শূন্য ডিগ্রি দ্রাঘিমা থেকে ঠিক মাঝখানের দূরুত্বে অবস্থিত। এছাড়া এই লাইনটি বৃহত্তম মহাসাগরের মাঝ বরাবর পড়ায় দিনান্তরের সমস্যাটি অধিক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে না।
কিভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ু প্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত কে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো ।
কোরিওলিস প্রভাব বলতে পদার্থবিদ্যায় গতিশীল বস্তুসমূহের আপাত বিচ্যুতি বোঝায়। বস্তুসমূহের গতিকে এইক্ষেত্রে একটি ঘূর্ণনশীল প্রসঙ্গ কাঠামোর সাপেক্ষে বর্ণনা করা হয়। ঘড়ির কাটার দিকে ঘূর্ণনশীল প্রসঙ্গ কাঠামোতে, বস্তুর গতির দিকের বামে বিচ্যুতি ঘটে। আর ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘূর্ণনের ক্ষেত্রে, বিচ্যুতি ঘটে ডানে। যদিও অনেকেই এই ঘটনা ইতোপূর্বে লক্ষ করেছিলেন, তবে ১৮৩৫ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী গ্যাসপার-গুস্তাভ কোরিওলিস প্রথম গাণিতিক বর্ণনা প্রকাশ করেন। তিনি এর সাথে ওয়াটার হুইল ( যার মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় ) তত্ত্বের সাদৃশ্য দেখতে পেয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগ থেকেই কোরিওলিস বল টার্মটি আবহবিদ্যা/বায়ুবিজ্ঞান এর সম্পৃক্তে ব্যবহৃত হতে থাকে।
Explanation: