১৭৭৩ থেকে ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দেওয়া
বিচার ব্যবস্থার কয়েকটি পরিবর্তন ঘটে।
দেওয়ানী সংক্রান্ত বিচার ও রাজস্ব আদায়ের
দায়িত্ব আলাদা করা হয়।
প্রশাসনিক ব্যয় কমাতে চেয়েছিলেন।
Answers
Answer:
logoযশোর জেলা
মেনু নির্বাচন করুন
পাতা
দেওয়ানী বিচার প্রশাসন (১৭৮১-৯০)
দেওয়ানী বিচার প্রশাসন (১৭৮১-৯০)বিচারকজনাব হেস্কেলের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার মূল পদবী ও মূল কর্তব্য ছিল একজন দেওয়ানি আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। তবে তার কর্তব্যের এই ক্ষেত্রটা সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই ইতিহাসবিদদের আগ্রহ একটু কম ছিল।৯৬জমিদারদের নিকট প্রদত্ত মামলাগুলো ১৭৯৩ সালের কোর্ডে অধীনস্থহ দেওয়ানী জাজ ও অন্যান্যদেও ব্যাপারে কিছুই বলা নাই; শুধুমাত্র মুন্সিদেও নিয়োগের কথা ব্যতীত। মুন্সী নিয়োগের আগে পর্যমত্ম ঐ সকল ছোটখাট মামলা জমিদার বা নায়েবরা পরিচালনা করতেন এবং জাজরা এদের কাছে মামলাগুলো প্রেরণ করতেন। ১০০ টাকা মূল্যমানের উপর কোন মামলা জমিদারদের কাছে পাঠানো হত না এবং ঐ জাতীয় মামলার সংখ্যা ছিল নগণ্য।এই রেফারেন্স প্রদানের পদ্ধতিটি ভালো কাজ করলো না। বেশিরভাগ মামলা ছিল জমি সংক্রামত্ম অথবা খাজনা মুক্ত জমির বিরোধ মামলা, অথবা জমির অতিরিক্ত খাজনা আদায় সংক্রামত্ম অভিযোগ মামলা। এই সকল বিষয়েই জমিদার অথবা নায়েবের সরাসরি স্বার্থ জড়িত ছিল এবং এটা ছিল বাদীদের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই কোন মামলার রেফারেন্স চেয়ে পাঠানোর অর্থ ছিলো মামলার বিচার কাজকে অবজ্ঞা করা। জনাব হেঙ্কেল বিষয়টি ভালোভাবে জানতেন এবং তিনি যশোর আসার অর্ধ বছরের মাথায় ভূষণা ও শাহুজিয়ালের আমিন অথবা অধসত্মন বিচারক নিয়োগ করেছিলেন। এদের কাছে মামলার রেফারেন্স চাওয়া যেত। কিন্তু এই পদ্ধতিটিও সরকারের কাছে আর্থিক বিবেচনায় অনুমোদিত হলো না।৯৭বিচারকদের সীমিত ক্ষমতা১৭৮০-৮১ সালে বিচারকদের কতৃত্বাধীন এলাকা বেশী থাকলেও অন্যান্য অফিসারদেও তুলনায় তাদেও করণীয় ছিলো কম। প্রত্যেকটি বিভাগই ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং বিচারকদের উপর নির্দেশনা ছিল ভাড়া ও রাজস্ব সংক্রামত্ম কোন বিষয়ে হসত্মক্ষেপ না করার। কারণ এ বিষয়টি ছিল শুধুমাত্র কালেক্টরের এখতিয়ারাধীন। বাণিজ্যিক দপ্তরগুলোর সাথেও তাদের একই ধরণের সম্পর্ক ছিল। যদিও তাদের কর্তৃত্বাধীন এলাকা তবুও অন্যান্য বিভাগের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাদের সাথে আলাপ করে নিতে হতো। যদি কোম্পানির উৎপাদনকারীদের মধ্যে দাঙ্গাও বেঁধে যেত তবুও বিচারকরা কোম্পানির উৎপাদন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতিরেকে কারো উপর সমন জারী করতে পারতেন না। বিচারকদের যৌথভাবে খুবই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হতো বিশেষ করে প্রচুর রাজস্ব সংগ্রহের মৌসুমে (যা ছিল শরতের ঠিক পরবর্তী মাস এবং শীতকালীন চাষাবাদের পরবর্তী সময়)।৯৮আমত্মজেলা সম্পর্কতৎকালীন সময় সিভিল জুরিসডিকশন অন্যকোন বিবেচনা ছাড়াই ডিফেন্ডেন্ট রেসিডেন্স দ্বারা শাসিত হতো। একজন বাদীকে বিচারকদের কাছ থেকে বিচারের ত্রম্নটির সংশোধন চাইতে হতো যার কাছে বাদী ছিলেন একজন প্রজা। প্রায়শই মামলাগুলো এক জেলা থেকে অন্য জেলায় হসত্মামত্মর হত এবং মঝে মাঝে যখন দুই বা ততোধিক জমিদারের বাড়ী বিভিন্ন জেলায় থাকত তারা জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ত। বিভিন্ন জেলার বিচারকরা মামলার বিষয়টি নিয়ে চিঠি চালাচালি করতো।একইভাবে বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেটগণ একজন আরেকজনকে লাগোয়া দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের মনে করতেন। তারা একজন আরেকজনকে বলতো যে কিছু অপরাধী তার জেলায় আশ্রয় গ্রহণ করেছে এবং তাকে অনুরোধ করতো সেই আশ্রিত অপরাধীকে ধরে ফেলার জন্য। আশ্রিত অপরাধীকে কোন জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ধরে ফেললে সেই অনুরোধকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে ডেকে পাঠাতো ধৃত অপরাধীর অপরাধের বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য এবং অপরাধীকে হসত্মামত্মর করার জন্য।৯৯১৯৬৭ সালে দেওয়ানী বিচার প্রশাসনজেলা জজের নেতৃত্বে দেওয়ানী বিচার প্রশাসন পরিচালিত হত। তার অধীনে ছিল ২ জন অধসত্মন জজ এবং ৭ জন মুন্সেফ। ১৯৬৭ সালে যশোরে ১,১২২ টি দেওয়ানী মামলা হয়েছিল।১০০ছবি
সংযুক্তি
সংযুক্তি (একাধিক)
Share with :facebook twitter
চাকুরি (০) টেন্ডার (০) বিজ্ঞাপন (০)
কেন্দ্রীয় ই-সেবা
জেলা ই-সেবা কেন্দ্র
নকলের জন্য আবেদন
আভ্যন্তরীণ ই-সেবা
মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর ওয়েবসাইট
ই-ডিরেক্টরী
এনজিও যশোর ওয়েব পোর্টাল
বেড়াতে আসুন যশোর
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি দপ্তরের ফেসবুক পেজের লিঙ্ক
ইনোভেশন কর্নার
আপনার মতামত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
জরুরি হটলাইন
জরুরি হটলাইন
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যোগাযোগ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যোগাযোগ
করোনা ট্রেসার বিডি
করোনা ট্রেসার বিডি
বন্যার সময় কি করণীয়
একদেশ
একদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯ - সংগীত ভিডিও
পাবলিক সেক্টর ইনোভেশন একটি দেশের রূপান্তর
এলআইইউপিসিপি
প্রান্তিক জনগোষ্টীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প
জাতীয় সংগীত
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
ফল আর্মিওয়ার্ম পর্যবেক্ষণ ও সনাক্তকরণ
সাইটটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে: ২০২০-০৮-০৯ ১৬:১৯:৫৪
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস।
কারিগরি সহায়তায়: