চতুর্থ শ্রেণি
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১. 'গর্তের ভিতর কে ও?' – এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল ?
২ কীভাবে ইয়াসুয়াকি = চান টেলিভিশন যন্ত্রটির সঙ্গে তােত্তো - চানের পরিচয় ঘটিয়েছি
৩, পটগুলটিশ ওয়ার’ কী ?
৪. মালগাড়ি’ কবিতার কথক কেন ‘মালগাড়ি’ হতে চায় ?
৫, লুশাই পাহাড়ের বড়াে ভয়ংকর জায়গাটির পরিচয় দাও।
৬. মুধণ্যধ্বনি বলতে কী বােঝ? উওর
উওর
Answers
১. 'গর্তের ভিতর কে ও?' – এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল ?
উত্তর:-এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল ,
‘লম্বা লম্বা দাড়ি ঘন ঘন নাড়ি। সিংহের মামা আমি নরহরি দাস পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস!’অর্থাৎ সে আর কেউ নয় সিংহের মামা নরহরি দাস।
২ কীভাবে ইয়াসুয়াকি = চান টেলিভিশন যন্ত্রটির সঙ্গে তােত্তো - চানের পরিচয় ঘটিয়েছি?
উত্তর:- একদিন ইয়াসুয়াকি - চান ও তােত্তো - চান গাছের উপরে বসে দুই বন্ধু গল্প করছিল টেলিভিশন নিয়ে । সেই প্রসঙ্গেই ইয়াসুয়াকি -চান তােত্তো - চানকে বলেন যে তার দিদি আমেরিকায় থাকে এবং দিদি তাকে বলেছে সেখানে টেলিভিশন নামে একটি যন্ত্র আছে। টেলিভিশন যন্ত্রটি আদতে একটি বাক্সের মতো দেখতে।জাপানের যদি টেলিভিশন আসে তাহলে তারা ঘরে বসেই সুমো পালোয়ান দের লড়াই দেখতে পারবে। ঠিক এই ভাবেই ইয়াসুয়াকি -চান তােত্তো - চানকে টেলিভিশন সাথে পরিচয় ঘটান।
৩, পটগুলটিশ ওয়ার’ কী ?
উত্তর:- ওয়ার কথার অর্থ যুদ্ধ। লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তী ছোটবেলায় তার পিসতুতো, খুড়তুতো, জ্যাঠতুতো ভাই বোনেদের সাথে ছাদে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলতো।এসময় তারা ছাদের এক পাশে থাকা ট্যাংকের ঘোলা জল ও গঙ্গা মাটি দিয়ে গোলাগুলি তৈরি করতেন এবং সেগুলো দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতেন। তারা সবাই এই খেলাটির নাম দিয়েছিলেন পটগুলটিশ ওয়ার।
৪. মালগাড়ি’ কবিতার কথক কেন ‘মালগাড়ি’ হতে চায় ?
উত্তর:- মালগাড়ি কবিতার কথক প্রেমেন্দ্র মিত্র কবিতায় জানিয়েছেন যে তিনি মালগাড়ি হতে চান। তিনি এক্সপ্রেস ট্রেন বা দ্রুত গতিতে চলা ট্রেন অথবা প্যাসেঞ্জার ট্রেন হতে চান না। এসব ট্রেন গুলি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে চলে। তাদের সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছান এবং গন্তব্য থেকে সঠিক সময়ে ছাড়ার তাড়া থাকে। এই ট্রেন গুলোর মত মালগাড়ির যাত্রী নামানো বা তোলার কোনরকম ব্যবস্থা নেই।মালগাড়ি তার নিজের ইচ্ছামত চলে যখন ইচ্ছা হয় সে স্টেশনে থামে আবার যখন ইচ্ছা হয় তখন সে চলতে শুরু করে। এইভাবে নিশ্চিন্তায় ও নির্দ্বিধায় চলাতেই কথক আনন্দ খুঁজে পান। তাই তিনি মালগাড়ি কবিতায় মালগাড়ি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
৫, লুশাই পাহাড়ের বড়াে ভয়ংকর জায়গাটির পরিচয় দাও।
উত্তর:- লুশাই পাহাড় প্রায় সাড়ে ছশো থেকে সাতশো বর্গমাইল অঞ্চল নিয়ে বিস্তৃত ছিল। চারিদিকে ঘনবন ছিল। সেখানে কোন গ্রাম ছিল না অর্থাৎ এই পাহাড়টি জনমানব শূন্য ছিল। এই বনে ছিল প্রচুর জানোয়ারের বাস।এই ঘন বন কিছু জায়গায় এতটাই গভীর ছিল যে মাঝে মাঝে সেখানে আকাশ দেখা যেত না। সাধারণ সময়ের থেকে অনেকটাই পরে সেখানে সূর্য উদয় হতো , নটা দশটার আগে সূর্যের মুখ দেখা যেত না। ঠিক এতটাই ভয়ঙ্কর পরিবেশ ছিল লুসাই পাহাড়ের।
৬. মুধণ্যধ্বনি বলতে কী বােঝ?
উওর:- যে ব্যঞ্জন ধ্বনি গুলির উচ্চারণের সময় জীভ মূর্ধাটি স্পর্শ করে তাকে মুধন্যধ্বনি বলা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ট, ঠ, ড ,ঢ ইত্যাদি উচ্চারণকালে আমাদের জীভ মূর্ধাটি স্পর্শ করে বা তার কাছাকাছি অঞ্চলে। তাই এইগুলিকে মুধন্য ধ্বনি বলা হয়।
Answer:
১. 'গর্তের ভিতর কে ও?' – এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা কী বলেছিল ?
- উপরের উক্তিটি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর লেখা 'নরহরি দাস' গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
- 'গর্তের ভিতর কে ও?' – এই প্রশ্নের উত্তরে ছাগলছানা বলেছিল -
লম্বা লম্বা দাড়ি
ঘন ঘন নাড়ি।
সিংহের মামা আমি নরহরি দাস পঞ্চাশ বাঘে মোর এক-এক গ্রাস।
২ কীভাবে ইয়াসুয়াকি = চান টেলিভিশন যন্ত্রটির সঙ্গে তােত্তো - চানের পরিচয় ঘটিয়েছি
- তেৎসুকো কুরোয়ানাগির লেখা 'তােত্তো-চানের অ্যাডভেঞ্চার' এ তােত্তো-চান ইয়াসুয়াকিকে স্কুল চত্বরে নিজের গাছে ওঠার নিমন্ত্রণ করে ছিল, কিন্তু ইয়াসুয়াকি পোলিও তে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গাছে চড়তে পারছিলনা। অবশেষে তােত্তো-চান বাড়ির সিঁড়ির মত একটা মই নিয়ে আসে দারোয়ানের ঘর থেকে, যেটি এমনিতেই সোঁজা হয়ে থাকে ধরে থাকতে হয় না। তােত্তো চান ইয়াসুয়াকি-চান এর একটা একটা করে পা, এক ধাপ এক ধাপ উপরে তুলে দিচ্ছিল, আর নিজের মাথা দিয়ে ইয়াসুয়াকি চানের পিছনটা ঠেলে দিচ্ছিল এবং এভাবে সে সক্ষম হয়েছিল নিজের গাছে ইয়াসুয়াকি চানকে চড়াতে। গল্প প্রসঙ্গে তােত্তো চান বলে আমার দিদি আমেরিকায় থাকে, এবং তাদের ওখানে টেলিভিশন বলে একটা জিনিস আছে যেটি দেখতে বক্সের মতো। ইয়াসুয়াকি-চান বলে জাপানে টেলিভিশন এলে, সে সুমো পালোয়ান দেখতে চায়।
৩, পটগুলটিশ ওয়ার’ কী ?
- লেখিকা পুণ্যলতা চক্রবর্তীর লেখা 'ছোটোবেলার দিনগুলি' গল্পে 'পটগুলটিশ ওয়ার’ এর উল্লেখ আছে। এখানে পটগুলটিশ ওয়ার বলতে গঙ্গামাটির কাদা দিয়ে গোলাগুলি বানিয়ে যুদ্ধের ছলে যে খেলা চলছিল তার নামকরন ছিল পটগুলটিশ ওয়ার।
৪. মালগাড়ি’ কবিতার কথক কেন ‘মালগাড়ি’ হতে চায় ?
- কবি মালগাড়ি হতে চান কারন তিনি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বা মেলের মতো টাইম-টেবিল দেখে হাঁসফাঁসিয়ে মরতে চান না। ঘটর ঘটর করে দিনরাত্রি চলার যে অশেষ মজা তা তিনি উপভোগ করতে চান, তাই তিনি মালগাড়ি হতে চান।
৫, লুশাই পাহাড়ের বড়াে ভয়ংকর জায়গাটির পরিচয় দাও।
- প্রমদারঞ্জন রায় এর বিস্তারিত বিবরণ থেকে জানা যায় লুশাই পাহাড়ের যে জায়গায় কাজ চলছিল সে বড়ো ভয়ঙ্কর। সারে ছশো সাতশো বর্গমাইল জায়গা, তার মধ্যে একটা গ্রাম নেই, পথ নেই। লুশাই বন কেটে কেটে পথ বার করতে হচ্ছিল। সে ঘোর বনে মানুষের নামগন্ধ নেই, শুধু জন্তু জানোয়ারের কিলবিলি। বেলা নটা দশটার আগে সূর্যের দেখা মেলে না। ঘন বনের কারনে আকাশ দেখা যায় না, ঠিক মনে হয় যেন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
৬. মুধণ্যধ্বনি বলতে কী বােঝ? উওর
- জিহ্বার অগ্রভাগ উল্টে মূর্ধাতে আঘাত করায় ধ্বনিবাহী বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারিত হয়। যেমন- ট্, ঠ্, ড্, ঢ্, ড়্,ঢ়্ ।