নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর লেখে : ১. তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির ভূমিকা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে । ২. পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহরের নাম এবং সেটি কীসের জন্য বিখ্যাত তা লেখাে । ৩ , অরণ্য সপ্তাহ ' পালন করা দরকার কেন ? ৪. বেশি কীটনাশক ব্যবহার করলে কী কী ক্ষতি হবে ? ৫. লুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের কয়েকটি উপায় সম্বন্ধে লেখো ।
Answers
Answer:
1.উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা ,জলঢাকা, মহানন্দা, কালজানি প্রভৃতি নদীগুলি বরফ গলা জলের নদী। এরা পাহাড় থেকে পলি বয়ে নিয়ে আসে পাদদেশে।
তরাই অঞ্চলের সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদী গুলির ভূমিকা
চিত্রঃ তরাই অঞ্চলের নদনদী
তার সঙ্গে বালি, নুড়িপাথর বয়ে আনে।এইভাবে দার্জিলিং জলপাইগুড়ির দক্ষিণভাগ , কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের উত্তরভাগ জুড়ে স্যাঁতস্যাঁতে তরাই অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।
২. পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর এর নাম এবং সেটি কিসের জন্য বিখ্যাত তা লেখ।
উত্তর: পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর শহর এর নাম আসানসোল।
আসানসোল বিখ্যাত কারণ এখানে তিনটি কলেজ ও একটা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ আছে। এখানে বিখ্যাত লৌহ ইস্পাত কারখানা গড়ে উঠেছে।
৩. অরণ্য সপ্তাহ পালন করার দরকার কেন?
বর্তমানে অরণ্য দিন দিন কমে যাচ্ছে তাই অন্তত একটি সপ্তাহ অরণ্য সপ্তাহ হিসাবে আমাদের পালন করা উচিত সেদিন উচিত আমাদের অনেক গাছ লাগানো যাতে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষিত হয়।
৪. বেশি কীটনাশক ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হয়?
উত্তর: বেশি কীটনাশক ব্যবহার করলে ,
(i) জমির উর্বরতা কমে যায়।
(ii) কীটনাশক বৃষ্টির জলে ধুয়ে জল দূষণ ঘটায়।
(iii) শত্রু পোকার সাথে সাথে বন্ধু পোকারাও মারা যায়।
৫. লুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের উপায় সম্বন্ধে লেখ।
উত্তর:
(i) লুপ্তপ্রায় মাছ গুলো ধরা নিষেধ এমন সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
(ii) লুপ্তপ্রায় মাছগুলো হাটে বাজারে কেনা বেচা নিষিদ্ধ করতে হবে।
(iii) লুপ্তপ্রায় মাছের তালিকা বের করে সেই মাছ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।
(iv) সরকারি ভাবে পঞ্চায়েতের অধীনে দু-একটা পুকুরে এই সমস্ত লুপ্তপ্রায় মাছের চাষ করতে হবে।
Explanation: