নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা
Answers
ভূমিকা:- ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে নারীসমাজের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক দেশের সমাজে নারীর স্থান মর্যাদাপূর্ণ। অতীতে কিন্তু এমনটা ছিল না। অত্যাচার, নিপীড়ন, বধূ নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হত নারীরা। পরবর্তীকালে বিভিন্নভাবে নারীর অধিকার স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এইসব কাহিনি নারী ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত।
নারীর অবস্থান: সমাজের অর্ধেক অংশই হল নারী। সমাজজীবনের মূল চালিকাশক্তি হলেও বিভিন্ন যুগে নারীর অবস্থা ছিল বিভিন্ন রকম।যথা:-
1.প্রাচীন যুগ: আদিম মানবসমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক। অর্থাৎ নারী ছিল তখন সর্বময় কত্রী। পরে ক্রমশ নারীর অধিকার কমে যায় কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও তাদের স্বাধীনতা ও অধিকার লোপ পায়।
2. মধ্যযুগ : প্রাচীন যুগের ধারা এ যুগেও অব্যাহত থাকে। নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার যেটুকু ছিল তাও লোপ পায়। ধর্মীয় বাতাবরণ প্রবলহয়ে ওঠে। অবশ্য এর মধ্যেও দু-একটি ব্যতিক্রম ছিল।
3. আধুনিক যুগ : এ সময়ে নারী জাগরণের সূচনা হয়। বিশেষ করে 1970-এর দশকে থেকে বিভিন্ন লেখনির মাধ্যমে নারীর অধিকার, কর্মসংস্থান, পোশাক, ধর্ম, গার্হস্থ্য কর্মের পাশাপাশি সমাজ ও সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের কথা জানতে পারি। যার ফলে নারি ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছে।
নারী সমাজের ইতিহাসের গুরুত্ব : নারী ইতিহাস বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—
I. এ যে বিষয়গুলি উপেক্ষিত ছিল এখন তা গুরুত্ব সহকারে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। পারিবারিক ক্ষেত্রে হিংসাত্মক কার্যকলাপ, শিশুর উপর নিপীড়ন, বধূহত্যা, নারী নির্যাতন ও অন্যান্য অত্যাচার প্রভৃতির কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।
II. .লিঙ্গবৈষম্য, পারিবারিক সম্পর্ক ও সামাজিক ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে নারী ইতিহাস।
III. নারীর ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার উপর আলোকপাত করে এবং
IV. বিভিন্ন যুগে নারীর মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে।
এই ভাবেই নারীদের ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার পরিচয় নারী ইতিহাস চর্চায় স্থান লাভ করেছে।