"প্রলয়ল্লাস" কে লিখেছেন?
Answers
প্রলয়োল্লাস
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রলয়োল্লাস
ধ্বংসাত্মক রমরমা বা "তোরা সব জয়ধ্বনি কর" হিসাবে পরিচিত। তার প্রথম লাইনের পরের লাইন ও পরিচিত। জনপ্রিয়তম বিপ্লবী বাঙালি গান দাদরা তালা, যার গান এবং সুর লিখেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এটি ছিল প্রথম বিপ্লবী বাংলা কবিতা ১৯২২ এর দশকের গোড়ার দিকে অগ্নিবীণা (কাব্যগ্রন্থ) নামে একটি ভলিউমে সংগৃহীত: এটি নজরুলের কবিতার প্রথম গ্রন্থ।
গানের কথা
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
ঐ নতুনের কেতন ওরে কাল- বোশেখীর ঝড়।
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
আসছে এবার অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল
সিন্ধুপারের সিংহ- দ্বারে ধমক হেনে ভাংল আগল।
মৃত্যু- গহন অন্ধ-কুপে
মহাকালের চন্ড- রূপে-
ধুম-ধুপে
বজ্র-শিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর-
ওরে ঐ হাসছে ভয়ংকর।
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
দ্বাদশ রবির বহ্নি-জ্বালা
ভয়াল তাহার নয়ন- কটায়,
দিগন্তরের কাঁদন লুটায়
পিঞ্জল তার ত্রস্ত জটায়।
বিন্দু তাহার নয়ন জলে
সপ্ত মহাসিন্ধু দলে কপোল-তলে।
বিশ্ব-মায়ের আসন তারি বিপুল বাহুর' পর-
হাঁকে ঐ "জয় প্রলয়ংকর!"
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
মাভৈঃ, মাভৈঃ!
জগৎ জুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে।
জরায় মরা মুমুর্ষদের প্রান-লুকানো ঐ বিনাশে।
এবার মহা নিশার শেষে
আসবে উষা অরুণ হেসে করুণ বেশে।
দিগম্বরের জটায় লুটায় শিশু চাঁদের কর,
আলো তার ভরবে এবার ঘর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!
তোরা সব জয়ধ্বনী কর!