অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ১
দশম শ্রেণি
ংলা
.
প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন’– তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী?
, আমাদের ইতিহাস নেই’– এই উপলব্বির মর্মার্থ লেখাে।
এল মানুষ ধরার দল’-
তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?
.
সব মিলিয়ে লেখালেখি রীতিমতাে ছােটোখাটো একটা অনুষ্ঠান’–প্রবন্ধ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেসণ করাে
সৰ চূর্ণ হয়ে গেল, জুলে গেল আগুনে’ – কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিটির বিবরণ দাও।
২. ‘অনুক্ত কর্তা’– বলতে কী বােঝ?
৭. অ-কারক পদ কয় প্রকার ও কী কী?
বিঃ দ্রঃ ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক
৮. তির্যক বিভক্তি কাকে বলা হয়?
খাতায় এগুলাে করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের
কাছে জমা দেবে। কোনাে অবস্থাতেই তাঁরা
Answers
Answer:
Explanation:
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ "তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন" - তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কি?
উত্তর : আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে 'আজ' বলতে সেই বিশেষ দিনের কথা বলা হয়েছে, যেদিন তপনের নতুন মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকার নিয়ে তপনের বাড়ি আসেন। সেই পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছিল।
কিন্তু এই বিশেষ দিনটি তপনের কাছে 'দুঃখের দিন' হয়ে উঠেছিল। কারন সে যখন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা গল্প 'প্রথম দিন' পড়তে বস সে বুঝতে পারে আগাগোড়া ছোট মিশর সংশোধন ও পরিমার্জনের ফলে তার কাঁচা হাতে গল্পটি নতুন ও স্বতন্ত্র গল্পে পরিণত হয়েছে। সেই গল্প তপনের কৃতিত্ব আর এতোটুকু অবশিষ্ট ছিল না।
১.২ "আমাদের ইতিহাস নেই" - এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখ।
উত্তর : যুদ্ধের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মানুষের বাসস্থান। প্রতিদিন কেউ-না-কেউ স্বজনহারা হয়েছে। 'শিশুদের শব ছড়িয়ে রয়েছে কাছে দূরে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি হয়েছে বিধ্বস্ত। মানুষকে সাহায্য করার কেউ নেই। ফলে সমাজের শ্রমজীবী অসহায় সাধারন মানুষ শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত হয়ে আসছে। তারা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, হয়ে উঠেছে প্রতিক্রিয়াহীন। ফলে সামগ্রিক সঙ্কট ও বিপর্যয়ের সময় দাঁড়িয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে শঙ্কিত মানুষ একথা বলেছে।
১.৩ "এল মানুষ ধরার দল" - তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?
উত্তর : আলোচ্য প্রসঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের দীর্ঘকাল বঞ্চিত হয়ে থাকবার ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। সুদীর্ঘ সময় যাবত আফ্রিকার অফুরন্ত সম্পদ তথাকথিত সভ্য মানুষের দৃষ্টির বাইরে ছিল। এই লুক্কায়িত ভান্ডার অবশেষে ইউরোপের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর নজরে এলো, তারা পরস্পর শোষণের প্রতিযোগিতায় শামিল হয়। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করার পাশাপাশি এখানকার আদিম অধিবাসীদের তারা বেঁধে নিয়ে গিয়ে ইউরোপের বাজারে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করে। সূচক রাষ্ট্রসমূহের এই মানসিকতা ও কাজকর্মকে সমালোচনা করেই অভি তাদের 'মানুষ ধরার দল' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
১.৪ "সবমিলিয়ে লেখালিখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান" - প্রসঙ্গ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : 'হারিয়ে যাওয়া কালি' কলম রচনায় শ্রীপান্থ কালি কলম সম্পর্কিত নানা তথ্য পেশ করেছেন। তিনি উল্লেখ্য করেছেন কালি আগে কিভাবে তৈরি হতো বা তা কতটা শ্রম সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল, সেইসঙ্গে এর জন্য কতটা নিষ্ঠাও দরকার হতো, প্রসঙ্গে অংশের মধ্যে কতক তার কালি কলম প্রিয়তার বৈচিত্র সম্বন্ধে, তখন বোঝা যায় তিনি ভীষণ রকম নস্টালজিক মনোভাবাপন্ন। এই কারণেই কঞ্চির কলম খাগের কলম পালকের কলম বা ফাউন্টেন পেনের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ছেলেবেলা থেকে কৈশোর কাল অবদি বিচরণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে লেখক এর পর্যবেক্ষন শক্তি; যখন তিনি কাজ কাট, গ্লাস, পার্সেলিন, শ্বেতপাথর, পিতল, ভেড়ার সিং, ব্রঞ্চ বা সোনার দোয়াতের কথা বলেছেন। সর্বোপরি এসমস্ত বস্তুর সংগ্রহ সম্পর্কেও তার অন্বেষণ যেখানে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় তিনি অতিক্রান্ত সময়ের লিখন সংস্কৃতি সম্পর্কে যেমন অনুরক্ত তেমনই মোহাচ্ছন্ন যার সঙ্গে মিশে আছে কিছু বিষন্নতার আর অনাবিল আনন্দ।
১.৫ "সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে" - কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিতে বিবরণ দাও।
উত্তর : যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ফলে শিশু থেকে শুরু করে মানুষের যাবতীয় ঘরবাড়ি দেব দেবী মন্দির দেবতার মূর্তি ধ্বংস হয়। তাই বক্তার শখ ও স্বপ্নের ঘর বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয় তিনি এমন কথা বলেছেন।
১.৬ 'অনুক্ত কর্তা' - বলতে কী বোঝো?
উত্তর : কর্ম ও ভাববাচ্যের কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে। যেমন - আমার যাওয়া হবে কি করে?
১.৭ অকারক পদ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর : অকারক পদ সাধারণত দুই প্রকার। যথা - (ক) সম্বন্ধ পদ (খ) সম্বোধন পদ
১.৮ তির্যক বিভক্তি কাকে বলা হয়?
উত্তর : কোন বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে।