History, asked by raymondal248, 8 months ago

রাওলাট আইনের উদ্দেশ্য কী ছিল গান্ধীজি কেন এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন?

Answers

Answered by Anonymous
12

Answer:

==>> ধন্যবাদ সুন্দর প্রশ্নের জন্য!

  • রাওলাট আইন: পর ব্রিটিশ সরকার দমন পীড়নের মাধ্যমে সকল প্রকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কন্ঠরোধ এবং সন্ত্রাসবাদ(বৃটিশ বিরোধি আন্দোলন ) দমনে সচেষ্ট হন । এই উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ সরকার বিচারপতি রাউলাটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ‘সিডিশন কমিশন’ [Sedition Commission] গঠন করেন । ভারতীয়দের হিংসাত্মক আন্দোলন থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে রক্ষা করতে কমিশন কতকগুলি সুপারিশ করেন । সেই সুপারিশ সমূহের ওপর ভিত্তি করে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৮ই মার্চ ব্রিটিশ সরকার এক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী এবং দমনমূলক আইন প্রণয়ন করেন । এই আইনই সাধারণভাবে কুখ্যাত ‘রাউলাট আইন’ নামে পরিচিত । এই আইনে জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার হরণ করা হয় । সরকার বিরোধী যে-কোনো প্রচারকার্যকে দন্ডনীয় অপরাধ বলে চিহ্নিত করা হয় এবং কোনো রকম সাক্ষ প্রমাণ ছাড়াই যে-কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় ও বিনাবিচারে গ্রেফতার ও যতদিন খুশি আটক রাখার অবাধ ক্ষমতা ও ঘরবাড়ি তল্লাসির অধিকার সরকারকে দেওয়া হয় । এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয়দের ন্যায়বিচার লাভের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল । তাই রাওলাট আইনকে কালাকানুন বলা হয় । সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করা হয় এবং সরকার সাধারণ আইনের প্রয়োগ স্থগিত রেখে জনসাধারণকে চরম পুলিশি ও প্রশাসনিক অত্যাচার ও নির্যাতনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় । জনমনে যথারীতি এই আইনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় । ভারতীয়দের জাতীয় স্বার্থবিরোধী এই আইনের বিরুদ্ধে চারিদিকে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে ওঠে । কেন্দ্রীয় আইন সভার সমস্ত ভারতীয় সদস্য প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন । মদনমোহন মালাব্য, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, মাজহার উল হক আইন পরিষদের সদস্য পদে ইস্তফা দেন । চরমপন্থীরা তো বটেই সুরেন্দ্রনাথ সহ সকল নরমপন্থী নেতা এর বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন । মহাত্মা গান্ধি সর্বভারতীয় আন্দোলনের ডাক দেন । ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ৩০শে মার্চ এবং ৬ই এপ্রিল গান্ধিজির ডাকে দেশব্যাপী বিক্ষোভ হরতাল পালিত হয় ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয় । গান্ধিজি সত্যাগ্রহের হুমকি দেন ।
Answered by dualadmire
1
  • ১৯১৯ সালের নৈরাজ্যমূলক ও বিপ্লবী অপরাধ আইন, যা রাওলাট আইন নামে পরিচিত, ১৯১৯ সালের ১৮ মার্চ দিল্লিতে ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল কর্তৃক পাস করা একটি আইন পরিষদ আইন ছিল, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরক্ষা আইন ১৯১৫-এ প্রণীত প্রতিরোধমূলক অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক, বিচার ছাড়াই কারাবাস এবং বিচারিক পর্যালোচনার জরুরী ব্যবস্থাঅনির্দিষ্টকালের জন্য প্রসারিত করে।
  • ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার রাওলাট আইন পাস করে যা পুলিশকে কোনও কারণ ছাড়াই যে কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেয়। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল দেশে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদী উত্থান রোধ করা।  
  • ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ ভারতে বসবাসকারী যে কোনও ব্যক্তিকে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দী করার অনুমতি দিয়ে রাওলাট আইন পাস করা হয়েছিল এবং কারাবাস দুই বছর পর্যন্ত হতে পারে। এই আইন বিপ্লবী কার্যকলাপ মোকাবেলার জন্য সাম্রাজ্যবাদী কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতাও দিয়েছিল।
  • রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী শান্তিপূর্ণ সত্যাগ্রহ শুরু করে এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি ১৯১৯ সালের ৬ ই এপ্রিল ধর্মঘট দিয়ে শুরু করে আইন অমান্যের পরামর্শ দিয়েছিলেন। র ্যালি, দোকান বন্ধ করা এবং রেল কর্মীদের ধর্মঘট ছিল নির্বাচিত পদ্ধতি।

Similar questions