উনিশ শতকে বাঙালির জীবন ও রেলবেবসথা বইটির লেখক কে
Answers
Explanation:
টাইমস বাংলা বিশেষ প্রতিবেদন : উনিশ শতকে বাঙালী হিন্দুদের মত বাঙালী মুসলিমদের মধ্যেও কি নবচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল ? না নবজাগরণের আঁচ স্পর্শ করতে পারেনি মুসলিম সমাজকে। রবিবার দুপুরে এই আলোচনায় সরগরম হয়ে রইল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষ। এদিন আলিয়া সংস্কৃতি সংসদ ও প্রকাশনা সংস্থা বুক স্পেসের যৌথ উদ্যোগে ‘ উনিশ শতকে বাঙালী মুসলিম সমাজের নবচেতনা’ শীর্ষক আলোচনার মূল বক্তা ছিলেন অধ্যাপক গবেষক স্বপন বসু। এদিন তার সম্পাদনা ও সংকলনে ‘ সংবাদ, সাময়িক পত্রে উনিশ শতকে বাঙালী মুসলমান সমাজ’ শীর্ষক বইটিরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। স্বপন বাবু বলেন, ” উনিশ শতকের প্রথমার্ধে মুসলিম সমাজে কোন আলো দেখা না গেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে নবজাগরণের প্রভাব দেখা যায়। অর্থনৈতিক অবস্থা, ইংরেজদের পছন্দ না করা ও এর ফলে ইংরেজি ভাষার প্রতি অনীহা ও মাতৃভাষা বাংলাকেই অগ্রাহ্য করার ফলে তাদের অগ্রগমন হয়নি প্রথমার্ধে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ থেকে তারা নিজেদের পালটাতে শুরু করে, এর জন্য মোশারেফ হোসেনের মত কিছু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রভাব রয়েছে। মাতৃভাষা হিসেবে বাংলাকে আপন করে নেওয়া, সরাসরি ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধিতায় না গিয়ে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, ফলস্বরূপ ইংরেজি ভাষার প্ৰতি চর্চা তাদেরকে অন্ধকার থেকে অনেকটা বের করে আনলো। ৬০ এর দশকের পর মুসলমানদের মধ্যে ভাষা ও সাহিত্য চর্চার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। পিছিয়ে থাকলো না মেয়েরাও। বিংশ শতাব্দীর আগে যেখানে মাত্র ১ শতাংশ মুসলিম মহিলা শিক্ষিত ছিলেন , বিংশ শতাব্দীর গোড়াতেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ শতাংশে। লতিফান্নেসা নামের ততকালীন ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুল বর্তমান এন আর এস কলেজের ডাক্তার ছাত্রী ফাইনাল পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। ” মুসলিম সমাজে উনিশ শতকে ধীরে ধীরে সংস্কৃতি চর্চার প্রসারের কথাও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “১৮১৮ থেকে ১৮৭১ সাল পর্যন্ত যেখানে মাত্র দুটি পত্রিকা গোটা মুসলিম সমাজ প্রকাশ করতে পেরেছিল, সেখানে ১৮৭২ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে ২৯ টি পত্রিকা তারা বের করতে সমর্থ হয়েছিল, যার মধ্যে দুটি পত্রিকা বাংলা ভাষা চর্চার জন্য বাঙালী মুসলিমদের উদ্বুদ্ধ করতো , অন্যগুলি হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতো।” তার সম্পাদনা করা বই সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “১৩১ টি সংবাদ ও সাময়িক পত্রের থেকে তথ্য সংকলন করে বইতে যা তুলে ধরেছি, তাতে দেখা যাচ্ছে ততকালীন সংবাদপত্রে যতটা মুসলিমদের সম্পর্কে লেখা হত তা মূলত উচ্চবর্গের শিক্ষিত মানুষদের কথাই। নিম্নবর্গের মুসলমানদের দাবি দাওয়া, আশা আকাঙ্খা নিয়ে খবরের কাগজের সেসময়ের যা অবস্থান ছিল, আজও তাই। ” আলোচনায় অংশ নিয়ে আলিয়া সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি তথা বুক স্পেসের প্রধান আব্দুর রাউফ বলেন, ” নিজেদের বুদ্ধি ও বিচারের থেকে অন্ধবিশ্বাসের উপর ভরসা বেশি থাকার দরুন তাদের উত্তরণের পথ দুর্গম হয়ে পড়ছে। নবজাগরণকে মুসলিম সমাজ গ্রহণ করতে পারেনি। আত্মসমালোচনা না করলে এদের ভেতর থেকে মুক্ত বুদ্ধি, চিন্তা বা চেতনা বেরিয়ে আসবে না, আধুনিকতার থেকেও তারা দূরে থাকবে।” সাহিত্যিক জাহিরুল হাসান বলেন, ” বাঙালি মুসলমানদের সংখ্যালঘু বা মুসলমান না ভেবে শুধু বাঙালি ভেবে এগিয়ে যাওয়া উচিত। শুধু
শাইভ্লবছ
প্রকাশক হিসাবে, "শাইভেলবাশগুলি দূরত্ব, সময়, স্বায়ত্তশাসন, গতি এবং ঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের ধারণাগুলি যেভাবে রেলপথে ভ্রমণ দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছিল তা আলোচনা করে।" অন্য কথায়, শাইভেলবাশ বর্ণনা করেছেন যে কীভাবে রেলপথটি কেবল প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক দৃশ্যকেই রূপান্তরিত করে নি, আমাদের প্রকৃতিরও আমাদের অনুধাবনযোগ্য অভিজ্ঞতা।
hope it's helpful
please mark me as brainliest