সেইখানেই তাে ভূত।’- বক্তা কে? কখন তিনি মন্তব্যটি করেছেন এবং এর তাৎপর্য কী?
Answers
Answered by
4
প্রদত্ত প্রশ্নটির উত্তর হল নিম্নরূপ -
- উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কর্তার ভূত নামক গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
- উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন স্বয়ং বুড়ো কর্তা।
- যেসব দেশবাসী দিনের বেলা নায়েবের ভয়ে কথা বলতে পারে না, তারাই গেছিল বুড়ো কর্তার কাছে হাতজোড় করে, এটা জানতে যে বুড়ো কর্তা কবে ছেড়ে যাবেন। তখন প্রত্যুত্তরে বুড়ো কর্তা বলেছিলেন যে ছেড়ে দে বাবা ধরে থাকা কোনটারই দায়িত্ব তার ওপর ন্যস্ত নয়। দেশবাসী ছেড়ে দিলে তিনিও ছেড়ে যাবেন। তখন দেশবাসীরা নিজেদের ভীতিগ্রস্ততার কথা জানায়। দেশবাসীদের অন্তরে নিহিত ভীতিগ্রস্ততার কথা শুনেই বুড়ো কর্তা প্রশ্নে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছিলেন।
- প্রথমেই আমাদের মনে রাখা দরকার যে, কর্তার ভূত গল্পটি সম্পূর্ণ রূপক আকারে লিখিত । অর্থাৎ, এর শব্দগত অর্থ এবং আসল অন্তর্নিহিত অর্থ ভিন্ন। এখানে কর্তার ভূত বলতে আসলে দেশবাসীর অন্তরে নিহিত ভীতিগ্রস্ততা। এই ভীতিগ্রস্ততা পুরাতন গোঁড়ামিকে বর্জন করে, নূতনকে আপন করার। এর ফলে অন্যান্য দেশের বিজ্ঞান নির্ভরশীল প্রগতির তুলনায় ভারতদেশের প্রগতি থমকে দাঁড়িয়েছিল, রুদ্ধ হয়েছিল উন্নতির পথ। বাহ্যিক কোন কিছু না, সমস্ত ভয়,ভীতি তথা ধর্মীয় গোঁড়ামি দেশবাসীর মনের মধ্যে ছিল। সেই জন্যই বুড়ো কর্তা (আসল অর্থে গোঁড়ামি) বলতে চেয়েছিলেন যে তিনি ধরার বা ছাড়ার কেউ নন, দেশবাসী ধরলেই তিনি ধরা দেন আবার দেশবাসী ছেড়ে দিলে তিনি ছেড়ে চলে যান।
Answered by
1
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পটি একটি অন্যতম রুপক ছোটগল্প। গল্পের তিনি রূপক অবলম্বন করেছেন ভারতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্তঃসারশূন্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য। প্রাচীন সংস্কৃতির স্বরূপ বুড়ো কর্তা মারা যাওয়ার সময় তার ধারক গণেরা চিন্তায় পড়লে ঈশ্বরের ভরসায় তিনি ভূত হয়ে অবস্থান করেন।
এই কর্তার ভূত সমস্ত দেশবাসীকে লালন পালন করে থাকে। যদি কেউ বেশি বুঝে ভূত শাসনের বাইরে যেতে চান তখন তাকে কান মলা খেতে হয়। এই ধরনের শাসন চলতে থাকলে দুই রকম জনগণের সৃষ্টি হয় - এক যারা ভূতকে মানে, আর দুই যারা ভুতকে মানে না।
Similar questions