Computer Science, asked by amitbauri15417, 8 months ago

অসহযোগ আন্দোলনের যেকোনো দুটি গুরুত্ব আলোচনা করো​

Answers

Answered by surjyo
2

Answer:

1. খিলাফত আন্দোলনের কারণে মুসলমানরাও ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ছিল বলে দীর্ঘদিন পর এটি হিন্দু-মুসলমানকে একত্রিত করতে সহায়তা করেছিল।

2. এটি জনসাধারণের মধ্যে জাতীয়তাবাদ এবং জাতীয় সংহতির অনুভূতি নিয়ে আসে।

(bengali)

1.It helped in bringing the Hindu-Muslim Unity after a long time since Muslims were also against the British govt due to the Khilafat movement.

2.It brought the feeling of nationalism and national integration among the masses.

( English)

Answered by Poulomee12
1

Answer:

Explanation:

গান্ধিজির আঞ্চলিক আন্দোলনে সত্যাগ্রহ আদর্শের পরীক্ষানিরীক্ষার ক্ষেত্র ছিল গুজরাটের খেদা জেলা। সত্যাগ্রহ আদর্শ তিনি। পুনরায় বারদোলিতে প্রয়োগ করেন। বারদোলিতে 1926-27 খ্রিস্টাব্দ নাগাদ রাজস্বের পরিমান অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছিল।এছাড়াও ছিল উজালি পরাজ কর্তৃক কালি পরাজ দের উপর অত্যাচার। এখানকার পাতিদার এবং কালিপরাজ শ্রেণির কৃষকরা মিলিত হয় এবং তারা কংগ্রেস নেতা সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল কে সেখানে আসার জন্য অনুরোধ জানান এবং আন্দোলন শুরু করে সরকারকে কোনরকম কর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।সরকার আন্দোলনরত চাষীদের গরু-বাছুর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং নানারকম নির্যাতন করলেও আন্দোলন থামেনি এবং শেষ পর্যন্ত 1929 খ্রিস্টাব্দে 16 জুলাই সরকার খাজনা বৃদ্ধি স্থগিত রাখার ঘোষণা করে।

চৌরি চৌরার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহৃত হয়। কিন্তু একা এই জাতীয় গণ আন্দোলন থামিয়ে সত্ত্বেও ১৯২২ সালের ১০ মার্চ গান্ধীজিকে গ্রেফতার করা হয়। ১৮ মার্চ রাজদ্রোহমূলক লেখালিখির অভিযোগে তাঁর দুইবছর কারাদণ্ড হয়। যে ব্রিটিশ বিচারক এই মামলার রায়দান করেন, তিনি প্রশংসার আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলেছিলেন, সরকার গান্ধীজিকে মুক্তি দিলে তিনিই সবচেয়ে খুশি হবেন।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ গান্ধীজির অবস্থানকে সমর্থন করলেও অনেকেই তাঁর সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন। আলি ভাতৃদ্বয় তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন। মোতিলাল নেহেরু ও চিত্তরঞ্জন দাশ স্বরাজ্য পার্টি গঠন করে গান্ধীজির নেতৃত্ব অস্বীকার করেন। অনেক জাতীয়তাবাদী নেতা মনে করেন, একটি বিচ্ছিন্ন হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়ে গান্ধীজি সঠিক কাজ করলেন না। তাঁরা গান্ধীজির নেতৃত্বের উপর হতাশা ব্যক্ত করেন।

সমসাময়িক ঐতিহাসিক ও সমালোচকদের কথা থেকে জানা যায়, এই আন্দোলন এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছিল যে ১৯৪৭ সালের বহু আগেই তা ব্রিটিশ শাসনের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে ভারতে স্বাধীনতা এনে দিতে পারত। আবার অনেক ঐতিহাসিক ও নেতা গান্ধীজির অবস্থানকে সমর্থন করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁদের মতে, তিনি যদি আন্দোলন প্রত্যাহার করে না নিতেন, তবে এই আন্দোলন অরাজক অভ্যুত্থানে পর্যবসিত হত এবং সাধারণ মানুষের সমর্থন বিচ্যুত হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবীদেরই উৎসাহদান করে যেত।

Similar questions