CBSE BOARD XII, asked by sourishdas59, 8 months ago

১৬। চণ্ডীপাঠ' কাকে বলে ?​

Answers

Answered by shantanukumar9686
34

Answer:

দেবীমাহাত্ম্যম্ বা দেবীমাহাত্ম্য (সংস্কৃত: देवीमाहात्म्यम्) একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থে মহিষাসুরকে পরাজিত করে দেবী দুর্গার বিজয়কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। দেবীমাহাত্ম্যম্ প্রকৃতপক্ষে 'দেবী ভাগবত পুরাণ-এর একটি অংশ। খ্রিষ্টীয় ৪০০-৫০০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই গ্রন্থ রচিত হয়। কথিত আছে, এই গ্রন্থের রচয়িতা ঋষি মার্কণ্ডেয়।দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থটি দুর্গা সপ্তশতী (সংস্কৃত: ढुर्गासप्तशती) বা কেবলমাত্র সপ্তশতী (সংস্কৃত: सप्तशती), চণ্ডী (সংস্কৃত: चण्डी) বা চণ্ডীপাঠ (সংস্কৃত: चण्डीपाठः) নামেও পরিচিত। শেষোক্ত নামটি গ্রন্থপাঠের অনুষঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অন্যদিকে দেবীমাহাত্ম্যম্ তেরোটি অধ্যায়ে মোট ৭০০ শ্লোক বর্তমান। এই কারণে এই গ্রন্থের অপর নাম দুর্গা সপ্তশতী বা সপ্তশতী। দেবীমাহাত্ম্যম্ শাক্তধর্মেরদেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থে বৈদিক পুরুষতান্ত্রিক দেবমণ্ডলীর সঙ্গে সম্ভবত খ্রিষ্টপূর্ব নবম সহস্রাব্দ থেকে বিদ্যমান নৃতাত্ত্বিক মাতৃপূজাকেন্দ্রিক সংস্কৃতির এক সম্মিলনের প্রয়াস লক্ষিত হয়।[২] এই গ্রন্থে ঈশ্বরের নারীসত্ত্বার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে। গ্রন্থে পূর্বপ্রচলিত আর্য ও অনার্য দেবীমাতৃকাকেন্দ্রিক কয়েকটি পুরাণকথাকে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত একক উপাখ্যানসূত্রে গ্রথিত করা হয়েছে।[৩] এখানে দেবী স্বয়ং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি; তিনি পুরুষতান্ত্রিক ধর্মচেতনার কোনো ম্রিয়মান পুরুষদেবতার সঙ্গিনীমাত্র নন। হিন্দু পুরাণে দেবীশক্তির এই রূপান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এছাড়াও, গ্রন্থে সাংখ্য দর্শনের সঙ্গে কাহিনির একটি যোগসূত্রও বিদ্যমান।

আনুষ্ঠানিক পাঠের নিমিত্ত পরবর্তীকালে মূল গ্রন্থের সঙ্গে বেশ কয়েকটি প্রক্ষিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়। নবরাত্রি উৎসবের সময় দেবীর সম্মানে চণ্ডীপাঠের বিশেষ প্রথা রয়েছে। পূর্ব ভারতে, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে চণ্ডীপাঠ করা হয়ে থাকে। দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থের নির্বাচিত অংশ নিয়ে ১৯৩০-এর দশকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উপস্থাপনায় এবং বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী পঙ্কজকুমার মল্লিকের সুরসংযোজনায় মহিষাসুরমর্দিনী নামে একটি বিশেষ প্রভাতী বেতার অনুষ্ঠান আকাশবাণীতে সম্প্রচারিত হয়। দুর্গাপূজার প্রাকমুহুর্তে মহালয়ার দিন ভোরে বেতারে সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানটি আজও একই প্রকার জনপ্রিয়।

Explanation:

দেবী ভাগবত অনুসারে ব্রহ্মা ও ইন্দ্রের ন্যায় ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু (ইনি পৌরাণিক চরিত্র, সংহিতাকার নন) পৃথিবীর শাসনভার পেয়ে ক্ষীরোদসাগরের তীরে মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মান করে দেবী দুর্গার আরাধনা করেন। এই সময়ে তিনি বাগ্ভব বীজ জপ করতেন ও আহার ও শ্বাসগ্রহণ পরিত্যাগ করে ভূতলে একপদে দণ্ডায়মান থেকে একশত বছর ধরে ঘোর তপস্যা করেন। তপঃপ্রভাবে অত্যন্ত শীর্ণ হয়ে পড়লেও মনু কামক্রোধ জয় করে হৃদয়ে দুর্গাচিন্তা করতে করতে সমাধির প্রভাবে স্থাবর হয়ে পড়লেন। তখন দুর্গা প্রীত হয়ে তাঁকে দর্শনদান পূর্বক বরদান করতে চাইলে মনু দেবদুর্লভ বর চাইলেন। মনুর প্রার্থনা শুনে দেবী দুর্গা বললেন, “হে মহাবাহো! তোমার প্রার্থনা সুসিদ্ধ হবে। আমি তোমাকে তোমার সকল প্রার্থনীয় বিষয় দান করছি। বৎস! তোমার রাজ্য নিষ্কণ্টক হোক; তুমি পুত্রলাভ কর।”

দেবীমাহাত্ম্যম্‌

দেবীমাহাত্ম্যম্ বা দেবীমাহাত্ম্য একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থে মহিষাসুরকে পরাজিত করে দেবী দুর্গার বিজয়কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। দেবীমাহাত্ম্যম্ প্রকৃতপক্ষে ঋষি মার্কণ্ডেয় পুরাণ-এর একটি অংশ। দুর্গা ও দুর্গাপূজা সংক্রান্ত কাহিনিগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও লোকমান্য হল দেবীমাহাত্ম্যম্-এ বর্ণিত কাহিনিটি। বাংলায় সাধারণত শ্রীশ্রীচণ্ডী নামে পরিচিত সাতশত শ্লোকবিশিষ্ট এই দেবীমাহাত্ম্যম্ পাঠ দুর্গোৎসবের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গও বটে। এই গ্রন্থে দুর্গাকে নিয়ে চারটি কাহিনি প্রচলিত আছে; তার মধ্যে একটি কাহিনি দুর্গোৎসব প্রচলনের এবং অপরাপর তিনটি কাহিনি দেবী দুর্গার মাহাত্ম্যকীর্তন সংক্রান্ত। ঐ তিনটি কাহিনিতে দুর্গাই কেন্দ্রীয় চরিত্র।

Similar questions