গণতান্ত্রিক কাঠামােয় বিচার বিভাগের বৈশিষ্ট্য হল—
Answers
রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ, মাঝেমাঝেই ক্ষমতার ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটছে, বিচার বিভাগ বহু ক্ষেত্রেই নিজের সীমা লঙ্ঘন করে প্রশাসনের কার্যক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ করছে। বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আইনমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির সটান প্রত্যুত্তর, শাসনকার্য এতটাই জটিল বিষয় যে তার সীমানা নির্দিষ্ট করা অত্যন্ত কঠিন।
Subscribe to updates
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংবিধান কাকে কতটা ক্ষমতা দিয়েছে, ৬৮ তম সংবিধান দিবসে এই প্রশ্নেই ভিন্ন মত হল দেশের বিচার এবং শাসন বিভাগ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী রবিবার তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে বলেন, গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ অর্থাত্ বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ এবং আইন বিভাগের নিজস্ব সীমা সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর কথার রেশ ধরেই সুর সপ্তমে তোলেন দেশের আইনমন্ত্রী। এ দিন রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ, মাঝেমাঝেই ক্ষমতার ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটছে, বিচার বিভাগ বহু ক্ষেত্রেই নিজের সীমা লঙ্ঘন করে প্রশাসনের কার্যক্ষেত্রে অনধিকার প্রবেশ করছে। পাল্টা আসরে নামেন ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক কুমার মিশ্রও। বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আইনমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির সটান প্রত্যুত্তর, শাসনকার্য এতটাই জটিল বিষয় যে তার সীমানা নির্দিষ্ট করা অত্যন্ত কঠিন। সুপ্রিম কোর্ট মনে করে এই স্তম্ভ সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের অধীন এবং আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধ।
গণতন্ত্রের দুই স্তম্ভের অধিকার এবং অনধিকার সংক্রান্ত এই তাত্ত্বিক বিতর্কে এদিন যেসব যুক্তি এবং পাল্টা যুক্তি উঠে এল, সেগুলি এক ঝলকে-
প্রধান বিচারপতি-
**নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে সর্বোচ্চ সুরক্ষিত রাখতে হবে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে কোনও অধিকারই অবাধ নয়। তবে অধিকারের পায়ে বেড়ি পরানো হলে আইনের ঘেরাটোপে দাঁড়িয়ে সেই বেড়ির যথার্থতা গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। তা না হলে, মূল আদর্শ ও উদ্দেশ্যই বিনষ্ট হবে।
** দেশে একটি ধর্মই সকল নাগরিকের মেনে চলা উচিত, তা হল সাংবিধানিক ধর্ম।
**আইনের শাসন মূলত সুশাসনকেই সুনিশ্চিত করে। আর এই নীতি সংবিধানে উল্লেখিত বিভিন্ন আদর্শের মাধ্যমে শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের জন্য স্বাধীনতা দেয়। এই সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বকে আমাদের সকলের বিনীত ও দায়বদ্ধভাবে গ্রহণ করা উচিত।