Hindi, asked by madhumitasaha980, 7 months ago

ভাবসম্প্রসারণ করে ;
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে।
তৰ ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।​

Answers

Answered by abcdefgh18
6

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে।

তৰ ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।

Explanation:

সমাজকে যারা শোষণ করে,ব্যাক্তি অধিকারকে হরণ করে,দেশের আইনশৃঙ্খলা মানেনা তারা নিঃসন্দেহে অপরাধী।অপরাধের মাত্রা অনুসারে অপরাধীর বিচার করা হয়।সেই মতো সে শাস্তি পায়।এই বিচার ব্যবস্থায় শুধুমাত্র অপরাধীই দণ্ড যোগ্য বলে বিবেচিত।প্রশ্ন এখানেই,অপরাধের পাপ কি শুধু অপরাধীর।অন্যায়কে যারা দিনের পর দিন মুখ বুজে সহ্য করে,তারাও কি পরোক্ষভাবে পাপকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেনা,এই মৌল প্রশ্নই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

মানবসমাজ ভীষণ বিচিত্র। মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে রয়েছে অপরাধ প্রবণতা,তেমনই সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের রয়েছে অন্যায়কে মেনে নিয়ে চলার মানসিকতা।এমন মানসিকতার জন্য ক্ষমাশীলতা,কতখানি ঔদার্য,আর কতখানি সহনশক্তি প্রয়োজন তা পরিমাপ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার।নিজেকে অপরাধীর থেকে দূরে সরিয়ে রাখাকে মানুষ সততা বলে মনে করে।মানুষের এধরনের মানসিকতায় পরোক্ষ ভাবে অপরাধীদের সাহস জুগিয়েছে।

সাধারণ স্বার্থ ভীরু মানুষ চোখের সামনে ঘটে চলা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠতে ভয় পায়।যার ফলে দিন দিন অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলেছে।আমাদের সমাজে অন্যায়কারী ঘৃণিত হলেও সেই সহ্য করা মানুষ গুলো ঘৃণিত বলে বিবেচিত হয় না।মানুষের ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে এধরনের চেতনাও সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।

অন্যায়কারীর মতো অন্যায় সহ্যকারীরাও সম অপরাধে অপরাধী।কবি কল্পনা করেছেন,বিশ্ব বিধাতার কাছে ঘৃণার রুদ্র রোষানলে অন্যায়কারীর মতো অন্যায় সহ্যকারীরাও বিশুষ্ক তৃণের মতো ভস্মীভূত।মানব সমাজের স্থূল বিচারে অন্যায় সহ্য যারা করে চলেছে তারা নিরপরাধী প্রমাণিত হলেও নিখিল বিশ্ব মানবতার দরবারে তাদের অপরাধের কোনো রেহাই নেই।

Similar questions