আলেয়া কাকে বলে ? কিভাবে সৃষ্টি হয়?
Answers
ধানক্ষেত ধানক্ষেত সহ বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা পচে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।মিথেন গ্যাস বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারিত হয়ে রাত্রে বেলা হালকা উজ্জ্বল আলো সৃষ্টি করে এটি আলিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি ক্ষণস্থায়ী ঘটনা।
আলেয়া এক ধরনের বায়ুমণ্ডলীয় ভৌতিক আলো যা রাতের অন্ধকারে জলাভূমিতে বা খোলা প্রান্তরে দেখা যায়। মাটি থেকে একটু উঁচুতে আগুনের শিখা জ্বলতে থাকে।
আলেয়া সৃষ্টি নিয়ে নানা মত রয়েছে। লোককথায় একে ভৌতিক আখ্যা দেওয়া হলেও বিজ্ঞানীরা মনে করেন গাছপালা পচনের ফলে যে মার্শ গ্যাসের সৃষ্টি হয় তা থেকে আলেয়ার উৎপত্তি। যেহেতু মিথেন গ্যাসের আপনি জ্বলার ক্ষমতা নেই তাই আগুন শুরুর কারণ হিসেবে তাঁরা দাহ্য ফসফিন (PH3) ও ফসফরাস ডাইহাইড্রাইড (P2H4) গ্যাসকে চিহ্নিত করেন।[৪] কেউ মনে করেন বাঁশ বা শুকনো কাঠের ঠোক্করে যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয় তা থেকেই এই মার্শ গ্যাসে আগুন লাগে।
আলেয়া যে ভাবে তৈরি হয়
সাধারণত পাহাড়ি পাদদেশ অঞ্চলে এসব দামসম্পন্ন বিল বেশি চোখে পড়ে। পাহাড় বা বনাঞ্চলের পত্রঝড়া গাছের পাতা বসন্তে মাটিতে পড়ে। গ্রীষ্মে তা শুকিয়ে পচনের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্ষার জলে এই পাতা পচে পাহাড়ি ঢলে হাওর, বিলের তলায় গিয়ে জমে। পাতা পচা পলি বিলের কেন্দ্রবিন্দুতে এক ধরনের বালুহীন পলিস্তর তৈরি করে। বর্ষাকালে রাতের বেলায় বিলের জলে যে ভূতের আগুন বা আলেয়ার আলো দেখা যায় তা আসলে, এই পাতা পচা পলিমাটি থেকে উৎপন্ন মিথেন গ্যাস বাতাসের সংঘর্ষে জ্বলে ওঠার কারণে তৈরি হয়। ধারণা করা হয়, বিলের তলার এই পলিস্তর গভীর পলিস্তর বিশিষ্ট দাম তৈরি হতে হাজার হাজার বছর লাগে। যেসব স্থানে দাম গড়ে উঠে তার নিচে পাহাড়ি উঁচু ভূমির ঝরণা ধারার একটি মুখ্যম প্রবাহ স্থানে এসব দামের উৎপত্তি। এই ঝরণা জলের প্রবাহই দামে কাদাকে জলমগ্ন রাখে।
আলেয়াতে থাকা ফসফরাস ডাইহাইড্রাইড (P2H4) গ্যাসটি বায়ুর সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। ফলে অন্যান্য গ্যাসগুলি (অর্থাৎ মিথেন এবং ফসফিন) একই সাথে নীল শিখাসহ জ্বলতে থাকে। বায়ুপ্রবাহের ফলে জ্বলন্ত গ্যাসটি গতিশীল হয়। এটিই হল আলেয়া।
আলেয়া কোনো ভৌতিক ব্যাপার নয়। তবুও গ্রাম বাংলার অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে এটি অশরীরীদের কাজ।
For more-
https://brainly.in/question/329149
https://brainly.in/question/47917533
#SPJ6