গ) উদ্দীপকে আহনাফের মায়ের সাথে কাবুলিওয়ালা' গল্পের মিনুর মা কোনদিক থেকে
সাদৃশ্যপূর্ণ?—ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকে ‘নােয়ার হোসেনে চরে কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল ভাবের প্রতিফলন
ঘটেছে। উক্তিটির যথার্থত হন।
Assigned Task and Assessment Criteria on the basis of
Revised Syllabus due to COVID-19,2020
son
Assigned Tasks/ Assignment
Answers
উদ্দীপকে আহনাফের মায়ের সাথে কাবুলিওয়ালা গল্পের মিনুরবমা মা কোন দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ন
Answer:
ভাড়াটিয়া মনােয়ার হােসেন বাড়ির মালিক হামিদ সাহেবের শিশু সন্তান আহনাফকে ভীষণ আদর-সােহাগ করেন।
নিঃসন্তান মনােয়ার হােসেন প্রায়ই অফিস থেকে ফেরার পথে আহনাফের জন্য খেলনা, খাবারসহ নানা উপহার নিয়ে আসেন। আহনাফের মা এই। বিষয়টিকে ভালােভাবে গ্রহণ করেন না। স্বামীকে এবিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
মনোয়ার হোসেন চরিত্রটি কাবুলিওয়ালা গল্পের মূলভাব বহন করে তার সার্থকতা বিচাঃ-
কাবুলিওয়ালার পরিচয়ঃ ময়লা ঢিলা কাপড় পরা, পাগড়ি মাথায়, ঝুলি ঘাড়ে, হাতে গোটা দুই চার আঙুরের বাক্স এক লম্বা কাবুলিওয়া।
কাবুলিওয়ালা ভিনদেশি মানুষ। তিনি তার পরিবার ছেড়ে এখানে এসেছেন ছোট খাট জিনিস বিক্রি করে জীবন চালানোর জন্য। গ্রামের মানুষ তাকে কাবুলিওয়ালা হিসাবে জানে। অন্য কোন পরিচয় বা কোথায় বাড়ি ইত্যাদি জানেনা। কাবুলিওয়ালা শান্ত প্রকৃতির মানুষ । তাহার ধর্য্যও অসীম। তিনি অত্যান্ত শিশু বাৎসল্য যে কারনে মিনু তাকে কিছুটা ভয় পেয়ে সংকোচ করলে তিনি হাসি মুখে আঙ্গুর দিতে চেষ্টা করেন।
কাবুলিওয়ালার মাঝে এক যাদুময় স্নেহ ভালবাসা রয়েছে। যে কারনে পরে তার সেই আবেগ ভালবাসা কৌতুক বা মজার কথা বাসি ইত্যাদি দ্বারা মায়াময়ী এক অপূর্ব আকর্ষন দ্বারা মিনুকে আকৃষ্ট করেছিল। মিনু তার সাথে খেলা গল্প করা শুরু করল ঠিক যেন পিতার ন্যায় বিশ্বাস আর ভালবাসার মানুষের সাথে যেমন সন্তান আনন্দে থাকে।
কাবুলিওয়ালার বাড়ি ভিনদেশে, সেখানে তার একটি সন্তান আছে। তিনি সন্তানকে খুব মিছ করেন। কিন্তু যেতে পারেন না বলে অতি পুরানা জীর্ণ অস্পষ্ট হলেও একটি ছবি তিনি সাথে রাখেন।
কাবুলিওয়ালার বহুদিন জেল সাজা হলেও তার পর তিনি আবার ছুটে আসেন মিনুকে দেখতে। এটি এক পিতার মত তাকে টেনে এনেছে। অনেকদিন পর আসায় তিনি মিনুর জন্য উপহার এনেছিলেন।
মনোয়ার হোসেনের চরিত্রঃ মনোয়ার হোসেন একজন ভাড়াটিয়া। অর্থাৎ কাবুলিওয়ালার মত তিনিও অন্য এলাকার মানুষ।
মনোয়ার হোসেন ছিলেন নিঃসন্তান। তাই তিনি আহনাফকে অত্যান্ত ভালবাসতেন। আদর সোহাগ স্নেহ করতেন। অফিস থেকে বাড়ি আসার সময় নানা খাবার খেলনা উপহার ইত্যাদি নিয়া আসতেন। ঠিক যেন এক পিতার কাজ তিনি করতেন।
দুইজন চরিত্রের বৈশিষ্ট কাবুলিওয়া গল্পের মূল ভাবের সাথে স্বার্থকতা বিচারঃ
কাবুলিওয়া গল্পে মূলত কাবুলিওয়ালা চরিত্রটি একজন শুন্য হাহাকার করা পিতার হৃদয়ের আকুতি, স্নেহ ভালবাসা ফুটে উঠেছে। প্রতিটি মানুষ তার সন্তানকে অত্যান্ত ভালবাসেন, সন্তানের চাওয়া পাওয়া পুরন করেন। শুধু চাওয়া নয়, ছোট শিশুর সম্ভাব্য যা কিছু পছন্দের, তারা যা কিছু ভালবাসে তার সবটাই দেওয়ার চেষ্টা করেন পিতা। এতে অন্যেরা কি ভাবল কি না বলল তা পিতা দেখেন না। অকৃত্রিম ভালবাসায় সন্তানকে আগলে রাখেন।
উদ্দিপকের মনোহার হোসেনেরও হৃদয় পিতৃত্ব স্নেহ ভালবাসায় ভরা। তিনি বাড়িওলার শিশুটিকে নিজ সন্তানের মতই ভালবাসতে চেয়েছেন। কাবুলিওয়ালার মত সন্তান পাশে না থাকা বা নিঃসন্তান পিতার হাহাকার হৃদয় সন্তান পাওয়ার মত এক গভীর মমতায় ঘেরা হৃদয়বান ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন। তাই মনোয়ার হোসেন চরিত্রটি কাবুলিওয়ালা গল্পের মূলভাবের সাথে অত্যান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ সঠিক ও সার্থক এক চরিত্র।