History, asked by uwaoniamotpurfls, 4 months ago

কপোতাক্ষ নদ কবিতার আলোকে দেশপ্রেমিকের ১০ টা গুণ ​

Answers

Answered by samiaa2897
0

Explanation:

কপোতাক্ষ নদ

—মাইকেল মধুসূদন দত্ত

 

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বড় ছেলে রুমী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বিদেশে পাড়ি দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। রুমী বিদেশে না গিয়ে যুদ্ধ করার জন্য দেশে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিবারের সকলে তাকে যুদ্ধ না করে বিদেশে যাবার অনুরোধ করে। কিন্তু রুমী দেশের কথা ভেবে সকলের কথা অগ্রাহ্য করে বিদেশে না গিয়ে দেশেই থেকে যায়।    

ক.  মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোনটি?

খ.  পৃথিবীর অন্য কোন নদীর জলে কবির স্নেহতৃষ্ণা মিটে না কেন?

গ.  উদ্দীপকের রুমীর মধ্যে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কোন দিকটি নির্দেশ করে—ব্যাখ্যা কর।

ঘ.  উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সমগ্র বিষয়কে ধারণ করে কী? এর স্বপক্ষে যুক্তি দাও।

   

ক. উত্তর: মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ ।

 

খ.উত্তর: কবির নিকট কপোতাক্ষ নদের জল মাতৃদুগ্ধের মতো। তাই পৃথিবীর অন্য কোনো নদীর জলের কবির তৃষ্ণা মিটে না।  

পৃথিবীর আর কোনো নদীর জলে কবির স্নেহতৃষ্ণা নিবৃত্ত হয় না। কারণ ঐ সব নদ-নদী তার মাতৃভূমির নদ-নদীর মতো নয়। মাতৃভূমির প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার কারণেই কপোতাক্ষ নদের জল তার কাছে মাতৃদুগ্ধতুল্য। শিশুকালে মায়ের মতোই নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কপোতাক্ষ নদের সাথে। তাই এ নদের জলধারা তার স্নেহতৃষ্ণা মিটাতে সক্ষম। ফলে পৃথিবীর অন্য কোনো নদ-নদীর জলে কবির তৃষ্ণা মিটে না।

 

গ.উত্তর: উদ্দীপকের রুমীর মধ্যে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় ফুটে ওঠা দেশপ্রমের দিকটি ইঙ্গিত করে।

দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা থাকা সকলের উচিৎ। যেমনটা প্রকাশ পেয়েছে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মধ্যে এবং রুমীর মধ্যে। কবি কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে যে ভাবে স্মৃতি বিজড়িত হয়েছেন তার অন্তরালে প্রকাশ পেয়েছেন দুর্বার দেশপ্রেম। দেশের প্রতি ভালোবাসা ছিল বলেই কবি শৈশবের স্মৃতি-বিজড়িত নদকে হৃদয়ে লালন-পালন করেছেন। অপরদিকে রুমী নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে দেশের হছে কাজ করেছেন।

উদ্দীপকের রুমীর বিদেশে পড়তে যাওয়ার কথা। পরিবারের সকলের সেই আশা রুমী বিদেশে পড়ে নামকরা ইঞ্জিনিয়ার হবে। এ সময় যুদ্ধ শুরু হলে সকলের আশায় পানি ঢেলে রুমী সিদ্ধান্ত নিল সে আর বিদেশে পড়তে যাবে না। দেশকে বিপদে ফেলে চোরের মতো পালিয়ে যাওয়াটা তার কাছে ভালো মনে হয়নি। তাই সে দেশের টানে দেশেই থেকে গেল। অর্থাৎ গভীর দেশপ্রেমের কারণে বিদেশি উচ্চ বিলাসী জীবনও তার কাছে তুচ্ছ মনে হলো। অপরদিকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায়ও দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। যেখানে কপোতাক্ষ নদের প্রতীকে কবি মাতৃভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন। প্রবাসে থাকলেও দেশের প্রতি তার টান একটুও কমেনি বরং শৈশবের স্মৃতি-বিজড়িত নদসহ দেশ মাতৃকার নানা অনুসঙ্গ তিনি নিমগ্নচিত্তে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেদিক বিবেচনায় উদ্দীপকের রুমীর মধ্যে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় ফুটে ওঠা দেশপ্রেমের দিকটি ইঙ্গিত করে।

 

ঘ.উত্তর: ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় আলোচিত আত্মগ্লানি, সংশয় ও স্মৃতি-বিজড়িত নানা জায়গার বর্ণনা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। সুতরাং উদ্দীপকটি ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সমগ্র বিষয়কে ধারণ করে না।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত বড় লেখক হওয়ার আশায় বিদেশে পাড়ি জমান। কিন্তু পরবর্তীতে এ কৃত কর্মের জন্য অনুতপ্ত হন। সে জন্য তিনি তার স্মৃতি-বিজড়িত নদকে নিয়ে কবিতা রচনা করেন। মাতৃভূমির কাছে ক্ষমা চান। প্রবাসে বসে তিনি দেশকে অনুভব করেছেন। তাইতো তার কবিতায় দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে।

উদ্দীপকের রুমী স্বদেশে থেকেই স্বদেশের ভালোবাসা অনুভব করেছেন। এ কারণে মাতৃভূমির টানে রুমী বিদেশে পাড়ি দেয় নি। দেশকে বিপদে ফেলে বিদেশে পাড়ি দেওয়া তা কাছে অসম্ভব মনে হয়েছে। অর্থাৎ রুমী মনে মনে গভীর দেশপ্রেম লালন করেছে। অপরদিকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি প্রবাসে বসে আত্মগ্লানি ভুগেছেন। তাইতো প্রিয় মাতৃভূমিকে ভালোবেসে প্রিয় নদকে স্মরণ করে দেশপ্রেমের পরিচয় ঘটিয়েছেন।

এ গ্লানি রুমীর মধ্যে অনুপস্থিত। কারণ সে বিদেশে যাওয়ার আগেই দেশপ্রেমে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। মূল বিষয় দেশপ্রেম হলেও কবিতার বিশেষ কিছু দিক উদ্দীপকে অনুপস্থিত। আর তা হলো কবির আত্মগ্লানিবোধ, সংশয় ও স্মৃতি-বিজড়িত নানা জায়গার বর্ণনা উদ্দীপকে দেখা যায় না। কবি প্রবাসে বসে দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। বিদেশের মাটিতে বসে কবি মনের যে আত্মগ্লানি ও সংশয় জেগেছে তা উদ্দীপকে নেই। উদ্দীপকে রুমী দেশে বসেই দেশপ্রেমে উপলব্ধি করেছেন। যে কারণে তার আত্মগ্লানি ও সংশয় আসার প্রশ্নই ওঠেনি। এ সকল দিক বিবেচনা করে এটাই প্রমাণিত হয় যে, উদ্দীপকে ‘কপোতাক্ষ নদ’ কবিতার সমগ্র বিষয়কে ধারণ করে না

Similar questions