প্রযুক্তি নিভর্র বিশ্ব
Answers
Answer:
এখন আর সন্তানেরা মা-বাবার কাছে চিঠি লিখতে বসে না। এমনকি মা-বাবারাও চিঠি লেখে না। চিঠি পড়তে যেয়ে চোখে জল জমে না। যত্ন করে চিঠিটা তুলে রাখা হয় না। ডাকপিয়নের অপেক্ষায় পথচেয়ে বসে থাকতে হয় না। পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে হয় না। প্রযুক্তির কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়েছে। শুধু দেশেই নয় দেশের বাইরে অবস্থানরত স্বজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করাও সহজ। ছোট কিন্তু কার্যকরী যন্ত্র মোবাইলের জন্য এদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সেই সাথে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনকে আরো গতিময় করেছে। এখন আর দূরে থাকলেও অভিভাবকদের গাঢ় চিন্তায় নিমজ্জিত থাকতে হয় না। সহজলভ্য মোবাইলের বদৌলতে চিন্তা-ভাবনা অনেক কমেছে। সহজেই অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। “ডিজিটাল বাংলাদেশ” -শ্লোগান দিয়ে বর্তমান সরকার পুরো জাতিকে নতুন স্বপ্ন দেখিয়েছিল। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাস্তবায়নের দ্বারপ্রান্তে। আশা করা যায়, খুব দ্রুতই এদেশের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের হাতে স্বল্পমূল্যের ল্যাপটপ শোভা পাবে। সবাই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে। সবাই পরিবর্তন চায়। উন্নয়নের অংশীদার হতে চায়। আর তাই প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়তে, সকল পেশাজীবি মানুষকে এগিয়ে নিতে, প্রযুক্তি নির্ভর প্রজন্ম তৈরী করতে উন্নত বিশ্বের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এদেশের সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। প্রতিটি অভিভাবকই চায় তার সন্তান প্রযুক্তির স্পর্শে বেড়ে উঠুক, এগিয়ে যাক, এগিয়ে নিক পিছিয়ে থাকা দেশটাকে। শুধু অভিভাবকগণ নয় সচেতন প্রতিটি মানুষের একই স্বপ্ন, একই প্রত্যাশা। প্রযুক্তির সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরাসহ দেশের প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে-এতে কোন সন্দেহ নেই। পরিবর্তন আসবে-এটা (হয়ত) নিশ্চিত। পাশাপাশি কতটা পরিবর্তন আসবে, পরিবর্তনটা কেমন হতে পারে, সুফল-কুফল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। সর্বোপরি- প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। নইলে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর স্বপ্নটা অধরাই থেকে যাবে। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে এদেশে মানবজীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে, অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে, পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। সেই সাথে সফলতার পাশাপাশি প্রযুক্তির অপব্যবহার পুরো জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আহত করছে, প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দটি ছিল- “ইভটিজিং”। মিডিয়া, পত্রিকায় বিস্তর লেখালেখি হয়েছে এবং হচ্ছে, মানববন্ধন হয়েছে, বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে, সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। “ইভটিজিং” এর জন্য কয়েকটি প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে, অনেক ঘটনা আড়ালেই রয়ে গেছে। ইদানিং পত্রিকার পাতা খুললেই নজরে পড়ে মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও চিত্রের খবর। আত্মহত্যা। এসিড সন্ত্রাস, ইভটিজিং আর এখন মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ। এটাকে কি বলে আখ্যায়িত করা যায়- প্রযুক্তি সন্ত্রাস না মোবাইল সন্ত্রাস? প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে। অপমান, অপবাদ, লজ্জা থেকে পরিত্রাণ পেতে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। শুধু এখানেই নয় দেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে ওঠা সাইবার ক্যাফেগুলো আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কলেজ পড়ুয়ারা অশ্লীল সাইটগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে। অসামাজিক কর্মকান্ড যে ঘটে না, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেমন পুরো বিশ্বকে সামনে আনা যায়, জ্ঞান অর্জন করা যায়, তেমনি ব্যবহারকারীদের বিপথগামী করে। শিক্ষক ছাত্রকে উদ্দেশ্য করে-
hope it helps you ✌️
Answer:
প্রযুক্তি নিভর্র বিশ্ব