Social Sciences, asked by ronitkhan2441139, 6 months ago

প্রাচীন বাংলা এর মানচিএ অংকন করে নামসহ বতর্মান অবস্থান
চিহ্নিত কর​

Answers

Answered by smalaminbd24
0

Answer:

ইতিহাস পাঠ, প্রাচীন বিশ্বের সভ্যতা ও বাংলার জনপদগুলো বর্তমান অবস্থান

BY এডমিন ডেক্স

NOVEMBER 05, 2020

ইতিহাস পাঠ প্রাচীন বিশ্বের সভ্যতা: ইতিহাস পাঠ একজন শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর পৃথিবীর পূর্বের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারে। আজকে আমরা জানবো ইতিহাস পাঠ প্রাচীন বিশ্বের সভ্যতা ও বাংলার জনপদগুলো বর্তমান অবস্থান পাঠের বিভিন্ন বিষয় ও নিচের প্রশ্নগুলো সম্পর্কে-

১) ইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন কেন?

২) প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলো কী কী?

৩) প্রাচীন বাংলার মানচিত্র অংকন করে জনপদগুলো নামসহ বর্তমান অবস্থান চিহ্নিত কর।

চলো ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা যাক-

১) ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা:

ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে আমরা মানব সমাজের শুরু থেকে তারা যাবতীয় কর্মকাণ্ড, চিন্তা-চেতনা, ও জীবনযাত্রার অগ্রগতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারি।

কেননা ইতিহাসের প্রথম উপজীব্য বিষয় হলো, মানব সমাজের অগ্রগতির ধারা বর্ণনা করা। সভ্যতার প্রধান স্তর, সভ্যতার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনের কথা সম্পর্কে ইতিহাম থেকে জানা যায়।

ইতিহাস আমাদের অতীত সম্পর্কে জ্ঞানদান করে। ইতিহাসের আলোকে আমরা বর্তমানকে বিচার করতে পারি। ইতিহাস পাঠ জাতীয় চেতনা উন্মেষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

একটি জাতির ঐতিহ্য ও অতীতের গৌরবান্বিত ইতিহাস ঐ জাতিকে বর্তমানের মর্যাদাপূর্ণ কর্মতৎপরতায় উদ্দীপিত করতে পারে।

জাতীয় পরিচয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতীয়তাবোধ গড়ে ওঠে যা দেশ ও সমাজের উন্নতি তথা দেশপ্রেমের জন্য একান্ত অপরিহার্য়।

ইতিহাস রচনা ও ইতিহাস চর্চা সম্পর্কে বিভন্ন দৃষ্ঠিভঙ্গি থাকতে পারে, কিন্তু ইতিহাসের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোন দ্বিমত নেই।

রাষ্টনায়ক, রাজনীতিবিদ. বুদ্ধিজীবী, সামরিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্য ইতিহাস খুবই মূল্যবান বিষয়। ঐতিহাসিক ঘটনার সঠিক আলোচনার জন্য বর্তমানে বিভন্ন জ্ঞানের শাখার সাহায্য গ্রহণ করতে হয়।

ফলে ইতিহাস হয়ে ওঠে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ।

সর্বোপরি ইতিহাস একটি জাতির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক মূল্যকে যথাযথাভাবে সংরক্ষণ করে। সমাজ ও জাতির অগ্রগতির কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে ইতিহাস জ্ঞান সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

ইতিহাস পাঠ চেতনাবোধ জাগ্রত করে মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। আজ আত্নপরিচয়ের সংকটের লগ্নে ইতিহাস পাঠ আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।

কেননা ইতিহাস জ্ঞান আমাদের গর্বিত করে তুলতে পারে অতীত ঐতিহ্যের প্রতি। এর ফলে আমরা উদ্দিপিত হতে পারি।

২. প্রাচীন বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সভ্যতাগুলো:

প্রাচীন বিশ্বে অনেকগুলো সভ্যতা ছিল তার মধ্যে মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, গ্রীক সভ্যতা, হিব্রু সভ্যতা ইত্যাদি;

৩) প্রাচীন বাংলার মানচিত্রে জনপদগুলো নামসহ বর্তমান অবস্থান:

প্রাচীনকালে বাংলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলগুলাের নাম দেয়া হয়েছিল জনপদ।

চতুর্থ শতক হতে গুপ্ত যুগ, গুপ্ত পরবর্তী যুগ, পাল, সেন প্রভৃতি আমলের উল্কীর্ণ শিলালিপি ও সাহিত্য গ্রন্থে প্রাচীন বাংলার ১৬ টি জনপদগুলাের নাম পাওয়া যায় (বাংলায় ছিল ১০টি)।

বঙ্গ, গৌড়, সমতট, হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, রাঢ়, পুণ্ড ও বারিন্দ্রী প্রভৃতি নামে জনপদ ছিল।

প্রাচীন জনপদের নাম বর্তমান অবস্থান:

১. পুণ্ড্র : বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ বিশেষ

২. বরেন্দ্ৰ : বগুড়া,পাবনা, রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ;

৩. বঙ্গ : ঢাকা, ফরিদপুর, বিক্রমপুর, বাকলা (বরিশাল);

৪. গৌড় : মালদহ , মুর্শিদাবাদ,বীরভূম,বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ;

৫. সমতট : বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল;

৬. রাঢ়: পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল বর্ধমান জেলা;

৭. হরকূল বা হরিকেল : চট্টগ্ৰাম, পার্বত্য চট্ৰগ্ৰাম, ত্ৰিপুরা, সিলেট;

৮. চন্দ্ৰদ্বীপ : বরিশাল, বিক্ৰমপু্‌র, মুন্সীগঞ্জ জেলা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল;

৯. সপ্তগাঁও : খুলনা এবং সমুদ্ৰ তীরবর্তী অঞ্চল;

১০. কামরূপ : জলপাইগুড়ি, আসামের বৃহত্তর গোয়ালপাড়া জেলা,বৃহত্তর কামরূপ জেলা;

১১. তাম্ৰলিপ্ত: মেদিনীপুর জেলা;

১২. রূহ্ম (আরাকান): কক্সবাজার, মায়ানমারের কিছু অংশ, কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণা অঞ্চল;

১৩. সূহ্ম: গঙ্গা-ভাগীরথীর পশ্চিম তীরের দক্ষিণ ভূভাগ, আধুনিক মতে বর্ধমানের দক্ষিণাংশে, হুগলির বৃহদাংশ, হাওড়া এবং বীরভূম জেলা নিয়ে সূহ্ম দেশের অবস্থান ছিল;

১৪. বিক্রমপুর: মুন্সিগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল;

১৫. বাকেরগঞ্জ: বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট

Similar questions