কিভাবে একজন ভাল ছাএ হয়া যায়?
Answers
ডেইলি রুটিনঃ
এই রুটিনের মধ্যে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহের সব দিনে সকল বিষয় সমুহ কভার করা হচ্ছে কিনা। যদি না হয় তবে সেই
অনুযায়ী সাজাতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহের কাজ সপ্তাহেই শেষ করতে হবে।
সময় পরিকল্পনাঃ
একটি দৈনিক রুটিনের মাঝে এমন ভাবে সময় প্ল্যান করতে হবে
যেন বোরিংনেস না আসে। ভাল করে পড়লে কম পড়াই যথেষ্ট। তবে মেধানুসারে সময় বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখা উচিত সেই বাড়তি সময় যেন মনের উপর প্রভাব না
ফেলে।
ডেইলি নোটঃ
নোট এমন একটা ব্যাপার যা না করলে কখনোই তেমন কিছু মনে রাখা সম্ভব নয়। যে কোন কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করলেও একটি নোটের মাধ্যমে তা সহজ করে ফেলা যায়। জটিল বিষয়ের জটিল পয়েন্টসগুলো লিখে রাখাই উত্তম।
নিয়মিত ক্লাসঃ
নিয়মিত ক্লাস করার সুবিধা অনেক। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত
থাকাটা আবশ্যক। প্রতিদিনের মত যদি ক্লাসে উপস্থিত না থাকা যায় তবে সেই অনুপস্থিত ক্লাসের পড়াটাও সংগ্রহ করা উচিত।
পড়া এবং লেখাঃ
পড়ার কোন বিকল্প নেই। তবে তা বুঝে শুনে পড়া। কোন কিছু মগজে না ঢুকতে চাইলে তা লিখে ফেলা উচিত। লিখলে বিষয়টা খুব ভাল ভাবে মনে থাকে।
সহায়ক গ্রন্থের পাঠ বাড়ানোঃ
যে কোন পাঠের বিস্তারিত পাঠ্যবইয়ে না থাকাটা স্বাভাবিক। এর বিস্তারিত জানার জন্যে সহায়ক বইয়ের সাহায্য নেয়া উচিত। যেমন বিজ্ঞান বিষয়ে অন্য অনেক সহায়ক গ্রন্থ আছে যা থেকে সেই বিষয়ে আরো অনেকজ্ঞান অর্জন করা।
লক্ষ্য ঠিক করাঃ
ভালো স্টুডেন্টদের মূল্যায়ন সব জায়গাতেই হয় এবং এরা অনেক সুযোগ পেয়ে থাকে জীবনের সফলতা অর্জনে। আপনি যদি একজন ভালো স্টুডেন্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই
আপনার জীবনের একটি লক্ষ্য তৈরি করুন। কোন পথে ঠিক কিভাবে এগোবেন সেই বিষয়ে ভাবুন। একটা গতিপথ তৈরি করুন।
অধ্যবসায় করাঃ
ভালো স্টুডেন্ট হতে হলে আপনাকে অধ্যবসায় করতে হবে। জীবনের লক্ষ্য অনুযায়ী এগোতে গিয়ে অধ্যবসায়ের প্রয়োজন রয়েছে। ছাত্রজীবনের অধ্যবসায় আপনাকে জীবনে সফলতা এনে দেবে। কঠিন অধ্যবসায়ই আপনাকে একজন ভালো স্টুডেন্ট তৈরি হতে সহায়তা করবে।
লাইব্রেরী ওয়ার্ক করুনঃ
ভালো স্টুডেন্টরা লাইব্রেরী ওয়ার্ক করতে পছন্দ করেন বেশি। লাইব্রেরী ওয়ার্ক করলে খুব সহজেই কঠিন বস্তুকে আয়ত্ব করা যায়।
খারাপ বন্ধু ত্যাগকরুনঃ
ভালো স্টুডেন্ট হতে গেলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হল খারাপ বন্ধুগুলোকে ত্যাগ করতে হবে। খারাপ বন্ধু থাকলে
আপনার সময়গুলো খুবই বাজেভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। পড়াশুনা করতে পারবেন না । এ কারণে ভালোভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ আনতে আপনি আপনার বন্ধুচক্র থেকে খারাপ
বন্ধুদের বাদ দিয়ে দিন প্রয়োজনে কিছু ভালো বন্ধু যোগ করুন।
এছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো মেনে
চলা উচিৎ। যেমনঃ
1. ” জীবনে ভাল কিছু করবো ” এ ধারনা মনে লালন করতে হবে এবং বছরের প্রথম থেকেই মনোযোগ সহকারে পড়া-শোনা করতে হবে ।
2. ভাল রেজাল্ট করার জন্য কতটুকো জানার প্রয়োজন তা আপনার নিকট স্পষ্ট হতে হবে ।
3. যতটুকো জানলে ভাল ফলা-ফল অর্জন করা সমভব তার কতটুকো আপনার জানা আছে তা আপনার নিকট স্পষ্ট
হতে হবে ।
4. অজানা বিষয়গুলি কতদিনে আয়ত্বে আনা সমভব তা আপনার নিকট পরিস্কার হতে হবে ।
5. হাতের লিখা পরিস্কার এবং স্পষ্ট হতে হবে । এর জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে ।
6. প্রতি দিনের পড়া প্রতি দিন সস্পন্ন করতে হবে । কোন ক্রমেই আজকের পড়া আগামী দিনের জন্য রেখে দেওয়া যাবে না ।
7. সকল বিষয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দিতে হবে ।
8. ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে ।
9. কোন বিষয় না বুঝে শ্রেণিকক্ষ ত্যাগ করা যাবেনা ।
10. শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক/শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করার সময় বন্ধুরা কে কি ভাবলো তার তোয়াক্কা না করা ।
11. শিক্ষার্থী সুলভ বিনয়ী ও নম্র আচরণ থাকতে হবে । মনে রাখতে হবে আপনি শিখতে এসেছেন। ভাল আচরণ সবাইকে
মুগ্ধ করে।
12. আত্ম মর্যাদা থাকতে হবে । (পড়া না পাড়লে লজ্জা পাওয়া)
13. সবসময় স্মার্টনেস বজায় রাখতে হবে এবং পড়ার প্রতি সজাগ থাকতে ।
14. সর্ব অবস্থায় শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং তার পরামর্শ নিতে হবে ।
15. মনে রাখতে হবে আপনার জীবন আপনারই , আপনার জীবনের ক্ষতি হলে আপনার চাইতে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ কেউই হবেনা । আবার সফলতা আসলে আপনার চাইতে বেশী
লাভবানও কেউ হবেনা ।
16. কাউকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন না । তাতে আপনিই বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কারন সৃষ্টিকর্তা ঠকবাজকে পছন্দ করেন না এবং তার উন্নতির জন্যও তিনি সহায়তা করেন না।
17. পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্যন্য বইও পড়তে হবে , যা আপনার সৃজনী শক্তি বৃদ্ধি করবে ।
18. শুধু পড়া-লিখা নিয়ে ব্যস্থ থাকলে চলবেনা , খেলা ধুলাও করতে হবে । তাতে শরীর ও মন ভাল থাকবে যা
পড়া লিখায় সহায়ক ।
19. মনে রাখতে হবে , আপনার বাবা-মা আপনাকে অনেক ভাল
বাসেন । তাই তাদের জন্য হলেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে ।