হাশরের ময়দানে কয় ধরনের শাফায়াত কার্যকর হবে? ব্যাখ্যা কর
Answers
Answer:
কিয়ামতের এর পরের ধাপ টি হলো হাশর। যেদিন পৃথিবী সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস পাওয়ার পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে জমায়েত করা হবে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-
” সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবী কে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমানসমূহ কে এবং লোকের পরাক্রমশালী এক আল্লাহর সামনে হাজির হবে।” সূরা ইব্রাহীম ৪৮।
হাশরের কার্যাবলী হবে সূক্ষ্ম আর শাফায়াত হলো এরই একটি অংশ।হাশরের ময়দানে আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কেউ কথা বলার সাহস পাবেনা। সাধারণত দুটি কারণে শাফায়াত করা হবে-যেমন ১. পাপীদের ক্ষমা করা বা পাপ মার্জনা করার করার জন্য।
২. পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও কল্যাণ লাভের জন্য।
শাফায়াত মূলত দুই ধরনের।যথা -১.শাফায়াতে কুবরা ও ২. শাফায়াতে শুগরা।
নিচে তার বর্ণনা করা হলো-
১.শাফায়াত কুবরাঃ শাফায়াতে কুবরা হলো সর্বশেষ্ঠ শাফায়াত।শাফায়াতে কুবরা মূলত হিসাব কার্য শুরু করার শাফায়াত। কারণ হাশরের সময়টা এত কষ্ট দায়ক হবে যে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে কারো হাটু,কারো কোমর বা বুক পর্যন্ত পানিতে ডুবে যাবে তাদের শরীরের ঘামে। মানুষ অসহনীয় দুঃখ কষ্টে নিপতিত থাকবে তখন হযরত আদম (আঃ),হজরত নুহ(আঃ),হযরত মুসা (আঃ) প্রভৃতি নবীদের নিকট উপস্থিত হয়ে শাফায়াতের অনুরোধ করবে।তারা সকলেই অপরাজগতা প্রকাশ করবে। এ সময় সবাই মহানবী (সঃ)এর নিকট উপস্থিত হবে। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) সেজদাহ্ করবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও তার মর্যাদা বর্ণনা করবেন।তারপর তিনি তার রবের নিকট সুপারিশ করার অনুমতি চাইবেন। আল্লাহ তাআলা তাকে অনুমতি দিবেন এরপর রাসুলুল্লাহ (সঃ)( তার বান্দাদের জন্য) সুপারিশ করবেন।
মহানবী (সঃ) এর অনেক হাদিসে শাফায়াত করার কথা বলেছেন।” তিনি বলেছেন আমাকে শাফায়াত করার অধিকার দেওয়া হয়েছে”।( সহি বুখারী ও সহীহ মুসলিম।)
২.শাফায়াতে শুগরাঃ কিয়ামতের দিন পাপীদের ক্ষমা ও পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শাফায়াত করা হবে। এটাই শাফায়াতে শুগরা। নবী-রাসূল, ফেরেশতা, শহীদ, আলিম, হাফেজ ও শাফায়াতের সুযোগ পাবে। কুরআন ও সিয়াম (রোজা) শাফায়াত করবে বলেও হাদীসে উল্লেখ আছে।
আমরা শাফায়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করব এবং রাসূলুল্লাহ(সঃ) এর দেখানো পথে চলবো। যাতে পরকালে রাসূলুল্লাহ(সঃ) এর শাফায়াত যেন আমরা পাই সেই দোয়া বেশি বেশি করব।
দয়া করে আমার উত্তরকে brainliest করবেন!