শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে রচনা বাংলা। ক্লাস -৮, অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য।
Answers
Explanation:
শিShikha software open Karta Nero Sona class 8
Answer:
১০ এ এপ্রিল আমি আমাদের প্রতিষ্ঠানের অধীনে শিক্ষা সফরে অংশগ্রহণ করি। আমাদের শিক্ষাসফরের স্থান নির্ধারিত ছিল কুমিল্লা শালবন বিহারে। আমরা যেহেতু ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলাম তাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের ৮ টি গাড়ি ঢাকা থেকে সকাল ৭ টায় সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে রওয়না দিয়েছিলাম শালবন বিহারের উদ্দেশ্যে।বাসে উঠেই আমাদের সবাইকে আমাদের সকালের খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল।
আমরা সারা গাড়িতে আনন্দ করতে করতে ১১ তার দিকে কুমিল্লা শালবন বিহারে পৌঁছেছিলাম। শালবন বিহারে পৌঁছে ধংসাবশেষ টিলা দেখার জন্য আমরা প্রথমের শালবন বিহার রাজপ্রাসাধে প্রবেশ এর জন্য লাইনে দাঁড়াই ।শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ সবার টিকেট সংগ্রহ করে সবাইকে ভিতরে নিয়ে গেলো। আমরা পুরাটা ধ্বংসাবশেষ ঘুরে ঘুরে দেখলাম। কতটা নিখুঁত স্থাপনা হলে এত্তটা বছর পরেও এই ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে থাকতে পারে তা দেখছি।
এটি মূলত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো কতৃপক্ষের দিকনির্দেশনায় পদক্ষেপের কারণে এটি মাটি থেকে তুলে এনে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতিটি টিলায় ঘুরছে আর সামনে থাকা প্রতিলিপি থেকে ইতিহাসগুলো পড়ছি। প্রায় ১.৩০ ঘন্টা ঘুরে আমরা ছবি তুলে পাশের জাদুঘরে যাই ,টিলায় ধ্বংসাবশেষ ত্রিপুরা রাজার ব্যবহার করা জিনিস পত্র ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করলাম।
আগের দিনের রাজারা কতটা সৌখিন ছিল তা তাদের জাদুঘরে গিলে দেখতে পাওয়া যায়। যতটা ঘুরছি ঠিম ততটাই বিমূহিত হচ্ছি। চারদিকের ধ্বংসাবশেষ যেন চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে যানান দিচ্ছে যে কোনো এক সময়ে এই দিকে কতটা জমজমাট ছিল যে আজ শুধুই ধংশাবশেষ। এইসব দেখে আমরা একটা জিনিস শিক্ষা পাচ্ছিলাম সব কিছু মানুষ চীর জীবন নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারে না। সময়ের প্রয়োজনে তা হারিয়ে যায়।
তারপর আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে আবার বেরিয়ে যায় শালবনের পথে। শালবনের ভিতরে যতই যাচ্ছি ভারী ভারী গাছপালা আমাদের ঠিক ততটাই মুগ্ধ করছে। নানান রকম ভারী গাছপালা দেখে আমাদের বিদায় নেবার সময় হলো । এই মনোমুগ্ধকর জায়গা ছেড়ে মন যেতে চাচ্ছিলোনা। কিন্তু আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা সারাজীবন পাথেয় হয়ে থাকবে।