Science, asked by reponmiaji0, 6 months ago

বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহার হচ্ছে।বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কোথায় কোথায় ব্যবহার করা যায়,বর্ণনা কর।

Attachments:

Answers

Answered by khayer24d
135

ভূমিকাঃ

আধুনিক জীবনের সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে আজকের এই নগর সভ্যতার দিকে তাকালে আমরা এক অভূতপূর্ব পরিবর্তন লক্ষ করতে পারি। এই যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। সমাজের যে স্তরে এখনো বিজ্ঞানের ছোঁয়া লাগেনি সে স্তরে এখনো উন্নতির ছোঁয়া প্রবেশ করতে পারেননি। তাই বলা যায় যে সভ্যতার উন্নয়নের মূলে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহঃ

বর্তমান পৃথিবীতে যে দেশের মানুষজন লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্যের চর্চা আর বিশ্লেষণ থেকে জ্ঞান জন্ম নেয় তাই যে দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বিশ্লেষণ করতে পারে সেই দেশ হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদশালী দেশ। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

(ক) কৃষিক্ষেত্রেঃ

এখন কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে আইসিটি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে যেখানে কৃষিবিষয়ক অনেক তথ্য সম্পর্কে কৃষকেরা জানতে পারে তাছাড়া মোবাইলে কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

(খ) চিকিৎসাক্ষেত্রেঃ

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে তথ্য প্রযুক্তির ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। রোগীর তথ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় টেলিমেডিসিন প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে অনেক ডাগনেস্টিক সেন্টার রুগীদেরকে অলনাইলে রিপোর্ট দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে।

(গ) পরিবেশ ও আবহাওয়াঃ

আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এখন আইসিটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ১১ মে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ করার হয়। বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়লে তখন স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।

(ঘ) গবেষণা গবেষণাঃ

গবেষণায় আইসিটির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমরা অনেক জটিল গবেষণা অনেক সহজে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে করতে পারছি।

(ঙ) ব্যাংকিংঃ

বর্তমানে প্রায় সব ব্যাংক অনলাইন সেবা দিচ্ছে ফলে এটিএম মেশিন থেকে যেকোনো সময় টাকা তোলা যায় তাছাড়া বর্তমান ব্যাংকগুলো ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে

(চ) শিক্ষা ক্ষেত্রেঃ

বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু গবেষণা আটকে নিন বড় শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যাধিক হারে লক্ষ্য করা যায় শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষার প্রয়োজনেপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে শিক্ষাক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ডিজিটাল ডিকশনারি বুক অনলাইন ক্লাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে

(ছ) ব্যবসা ক্ষেত্রেঃ

ব্যবসাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে চোখে পরার মত। আমাদানি-রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুন। এর পিছনে মূল কারন হল উন্নত যোগাযোগ ব্যাবস্থা। ফলে অর্জিত হয়েছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা যা দেশের জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্সের ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে।

প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাঃ

বর্তমান বিশ্বে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের সুবিধা বলে শেষ করা যাবে না সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়া মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা আমাদের সময়কে আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে কৃষি প্রযুক্তি দৌলতে আজ সারা বিশ্বে মোট জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে প্রযুক্তির বলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে পাখা হিটার রেডিও টিভি ফ্রিজ ভিসিআর বিসিবি লিভ এয়ার কুলার কম্পিউটার চলছে শহর-নগরে যে আকাশচুম্বী বহুতলা ভবন গড়ে উঠেছে আমরা যে বাস-ট্রাক ট্যাক্সিতে করে যাওয়ার করছি তার সবগুলোই প্রযুক্তির অবদান।

উপসংহারঃ

কালের বিবর্তনে মানব জীবন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তথ্য ও যোগাযোগ এর অবদান রয়েছে মানব জীবনে বিজ্ঞানের এ ব্যবহারকে ইতিবাচক দিকে রাখতে হবে তথ্য ও প্রযুক্তির আলোয় প্রতিটি মানুষকে আলোকিত করতে হবে সমস্ত কলুষতা থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে মুক্ত করার জন্য সকল ধরনের অপব্যবহার থেকে তথ্য কে সরিয়ে রাখতে হবে তবেই মানবসভ্যতা যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব।

Answered by iamrakibulbd
6

Answer:

 > তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার <

ভূমিকা: বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ ঠিক এই সময়টাতে সারা পৃথিবীতে তথ্য প্রযুক্তির কারণে একটা অসাধারণ বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে।

প্রযুক্তির উন্নতির কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন হবে সেটি কেউ বলে শেষ করতে পারবে না।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিয়ে আমরা কেবল তথ্যের আদান-প্রদান করিনা, আমরা তথ্য গুলো বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া ও করে আর সেই কাজ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতে হয় যা একটি প্রযুক্তি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ:

মানব জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এখন সর্বত্রই। নিচে ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ দেওয়া হল-

ব্যক্তিগত বা সামাজিক যোগাযোগ: শুধু মোবাইল ফোন দিয়েই আমরা আজকাল একে অন্যের সাথে অনেক বেশি যোগাযোগ করতে পারি।

তার সাথে এসএমএস ইমেইল চ্যাটিং এমনকি সামাজিক যোগাযোগ যদি বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাব যোগাযোগের বেলায় একটা অনেক পরিবর্তন এসেছে।

বিনোদন: বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা থেকে শুরু করে কম্পিউটার গেম খেলা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

খেলার মাঠে না গিয়েও ঘরে বসে আমরা অনেক বড় বড় টুর্নামেন্টের খেলা নিখুত ভাবে উপভোগ করতে পারে।

শিক্ষা: লেখাপড়ার ব্যাপারে যখন আইসিটি ব্যবহার করতে শুরু করা হয়েছে তখন হঠাৎ করে সে কাজটি সহজ হতে শুরু করেছে। এখন মাল্টিমিডিয়া তে লেখাপড়ার অসংখ্য চমকপ্রদ বিষয় দেখানো যায়।

বিজ্ঞানের বিষয়গুলো স্ক্রিনে প্রদর্শন করা যায় এমনকি পরীক্ষার খাতায় কিছু না লিখে সরাসরি কম্পিউটারে পরীক্ষা দেওয়া যায়।

একটা ই-বুক ডিভাইস শিক্ষার্থীরা শুধু যে তার পাঠ্যবইয়ে রাখতে পারবে তা নয় লাইব্রেরীর কয়েক হাজার বই পর্যন্ত রাখতে পারবে।

চিকিৎসা: বর্তমানে আইসিটি ব্যবহার না করে চিকিৎসার কথা কল্পনাও করা যায় না। এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে নিখুঁতভাবে রোগ নির্ণয় করা যায়।

এমনকি রোগীকে হাসপাতালে যেতে হয় না। বরং তার সব ধরনের তথ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে তার চিকিৎসার বিভিন্ন খুঁটিনাটি আইসিটির ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা সম্ভব।

তথ্যপ্রযুক্তির এই প্রক্রিয়া টির নাম টেলিমেডিসিন।

বিজ্ঞান ও গবেষনা: আইসিটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এই ক্ষেত্রে। আইসিটির কারণে এখন বিজ্ঞানীরা গবেষণায় অনেক জটিল কাজ সহজে করে ফেলতে পারেন।

আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যখন পাটের জিনোম বের করেছিল তখন তারা আইসিটির ব্যবহার করেছিল।

কৃষি: আইসিটি ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশের চাষিরা কৃষিতে সুফল পেতে শুরু করেছে। রেডিও-টেলিভিশনে কৃষি নিয়ে অনুষ্ঠান হচ্ছে, ইন্টারনেটে কৃষির উপর ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে।

এমনকি চাষিরা মোবাইল ফোনে কৃষি কল সেন্টারে ফোন করেও কৃষির সমস্যা সমাধান পেয়ে যাচ্ছে।

পরিবেশ ও আবহাওয়া: আইসিটি ব্যবহার করে অনেক আগেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। আবার রেডিও-টেলিভিশনে উপকূলের মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়।

প্রচার ও গণমাধ্যম: পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন খবর মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যাই প্রচার ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে।

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে প্রচার ও গণমাধ্যম প্রক্রিয়ায় অনেক অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে।

বর্তমান সময়ে টেলিভিশন রেডিও থেকেও অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং লাইভ টিভি চ্যানেল গুলো খুব দ্রুত মানুষের কাছে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের খবর খুব সহজে পৌঁছে দিচ্ছে।

ব্যাংক: যেসব ব্যাংক অনলাইন হয়ে গেছে সে সকল ব্যাংকের হিসাব দাঁড়িয়ে যে কোন শাখায় অর্থ জমা উত্তোলনের সুবিধা পেয়ে থাকে।

একজন গ্রাহক যেকোন জায়গা থেকে এটিএম অটোমেটেড টেলার মেশিন থেকে তার হিসাব থেকে ২৪ ঘন্টা টাকা উত্তোলন করতে পারে।

ব্যাংক লেনদেন কে সহজতর করার জন্য বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

শিল্প ও সংস্কৃতি: শিল্প ও সংস্কৃতি তেও আজকাল আইসিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এক সময়ে ১ সেকেন্ডে কার্টুন ছবি তৈরি করার জন্য ২৬টি ছবি তৈরি করতে হতো।

আইসিটি ব্যবহার করে সেই পরিশ্রম অনেকাংশে কমে গেছে। বর্তমানে এমনভাবে অ্যানিমেশন ছবি তৈরি করা হয় যেন এগুলো দেখতে সত্যি মনে হয়।

প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা সমূহ:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে দৈনন্দিন জীবনে সহজ থেকে সহজতর ও হয়েছে। ঘরে বসেই এখন সবাই সারাবিশ্বের খবরা-খবর জানতে পারছে।

প্রযুক্তি ব্যবহার উপকৃত হচ্ছে সকল স্তরের মানুষ। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের কাজকে আরও সহজবোধ্য করে দিয়েছে।

যেকোনো সেবা এখন ঘরে বসেই পাওয়া সম্ভবপর হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহারে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আইসিটির ব্যবহার অনেকাংশে বেড়েছে এতে বিক্রেতা এবং ক্রেতা দুজনেই উপকৃত হচ্ছেন।

আইসিটি ব্যবহার করে অফিসের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সাধারণত সেটা কি গভর্নেন্স বলে। দেশের প্রতিরক্ষা কাজে সেনাবাহিনী আইসিটি ব্যবহার করে।

উপসংহার:

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা যে শুধুমাত্র আমাদের নিজের জীবনটাকে সহজ করতে পারি তা নয়,

আমরা কিন্তু আমাদের দেশটাকে ও পাল্টে ফেলতে পারি।

গান হচ্ছে পৃথিবীর সম্পদ, আর যে দেশের মানুষ লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত, যারা জ্ঞান চর্চা করে সেই দেশ হচ্ছে সম্পদশালী দেশ। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি শেখার দরজার সবার জন্য খোলা।

তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি এই প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারব

এবং দেশকে সম্পদশালী করে গড়ে তুলতে পারব।

Similar questions