Computer Science, asked by kamrunnaharn565, 4 months ago

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা একজন মানুষ কীভাবে তা থেকে সেবা পেতে পারে

Answers

Answered by sanchaitaroy59
0

Explanation:

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রিয় পরীক্ষার্থী, ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি একটি আবশ্যিক বিষয়। এ বিষয়ে মোট নম্বর ৫০। বিষয়টিতে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকবে ৮টি। এর মধ্যে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের নম্বর থাকবে ৫। আজ অধ্যায়-১ থেকে নমুনা সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। এগুলো সংগ্রহ করে পড়বে।

প্রশ্ন: তথ্যপ্রযুক্তি কী? তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: তথ্য আহরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাকে তথ্যপ্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলা হয়। মূলত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির সাথে মিলেমিশে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে। তারপরও এ প্রযুক্তি বিকাশে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে কম্পিউটার। কম্পিউটার-নির্ভর ইন্টারনেট প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে সমগ্র বিশ্বটিই এখন এক বিশাল তথ্যভান্ডারে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিন মানুষের জীবনে নুতন নুতন তথ্যের সমাবেশ ঘটছে। যার ফলে তথ্যের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জীবনে বিভিন্ন দিকে মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সময়ে উপযুক্ত তথ্য পাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। কারণ, মানুষের নিজের পক্ষে সব তথ্য মনে রাখা বা হাতের কাছে পাওয়া সম্ভব নয়।। এ জন্য প্রয়োজন ভালো যোগাযোগব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত তথ্য পাওয়া যায়।

প্রশ্ন: ‘সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা’—বিষয়টি ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: প্রযুক্তির বিকাশের শুরুর দিকে ধারণা করা হতো আধুনিকীকরণ এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে বিশ্বব্যাপী কাজের পরিমাণ কমে যাবে এবং বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। মানুষ সব ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজনেই শিখে নিচ্ছে। এর ফলে কিছু সনাতনী কাজ বিলুপ্ত হয়েছে, কিছু কাজের ধারার পরিবর্তন এসেছে। তবে অসংখ্য নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, প্রতি এক হাজার ইন্টারনেট সংযোগের ফলে নতুন ৮০টি কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠেন। বিভিন্ন কারখানায় বিপজ্জনক অনেক কাজ রোবট বা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে করা হয়। এসব যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ মানুষই করে থাকে। এতে সময় বাঁচে। কাজ নিখুঁতভাবে এবং সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। এতে উত্পাদনশীলতা বাড়ে। এর কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সংযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগে উত্পাদনশীলতায় এ বৃদ্ধিকে আমেরিকার এমআইটির অধ্যাপক ড. ইকবাল কাদির সংজ্ঞায়িত করেছেন, সংযুক্তিই উত্পাদনশীলতা অর্থাত্ প্রযুক্তিতে জনগণের সংযুক্তি বাড়লে তাদের উত্পাদনশীলতা বাড়ে। ফলে নতুন নতুন কর্মোদ্যোগ তৈরি হয়। ফলাফল হলো নতুন কাজের সুযোগ।

প্রশ্ন: দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কয়েকটি ব্যবহার লেখো।

উত্তর: দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির নানামুখী ব্যবহার রয়েছে। কয়েকটি ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো:

১. মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়।

২. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়।

৩. অনলাইন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে ঘরে বসেই চাকরির দরখাস্ত করা যায় এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র অনলাইন থেকে প্রিন্ট করা যায়।

৪. অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে ঘরের বাইরে বা স্টেশনে না গিয়েই ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কেনা যায়।

৫. অনলাইনে ইন্টারনেটের সহায়তায় সব ধরনের পত্রিকা (যা ইন্টারনেটে থাকে) পড়া যায়।

৬. ইন্টারনেটে ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় পণ্যের অর্ডার দেওয়া এবং বিল পরিশোধ করা যায়।

৭. ই-বুক পড়ার সুবিধা পাওয়া যায়।

# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল

প্রভাষক

মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

Similar questions