৪. হাশরের ময়দানে কয় ধরণের শাফায়াত কার্যকর হবে?
ব্যাখ্যা কর।
Answers
Explanation:
কিয়ামতের পরের ধাপটি হল হাশর। সেদিন পৃথিবী
সৃষ্টি থেকে শুরু করে ধ্বংস হওয়ার পর্যন্ত সমস্ত
মানুষকে জমায়েত করা হবে। পবিত্র কুরআনে বলা
হয়েছে-
"সেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য
পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আসমান
সমূহকে এবং লােকেরা পরাক্রমশালী এক
আল্লাহর সামনে হাজির হবে"। (সুরা ইবরাহিম :
৪৮)।
হাশরের কার্যাবলী হবে সূক্ষ আর শাফায়াত হলাে
এরই একটি অংশ। হাশরের ময়দানে আল্লহার হুমুক
ব্যতীত কেউ কথা বলার সাহস পাবে না। মূলত দুটি
কারণে শাফায়াত করে হবে। যথা:
১. পাপীদের ক্ষমা করা বা পাপ মার্জনা করার জন্য।
২. পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও কল্যাণ লাভের জন্য।
আর শাফায়াত দুই ধরনের। যথা:
|১. শাফায়াতে কুবরা: শাফায়াতে কুবরা হলো
সর্বশ্রেষ্ঠ শাফায়াত। শাফায়াতে কুবরা মূলত হিসাব
কার্য শুরু করার শাফায়াত। কারণ হাশরের সময়টা
এতাে কষ্টদায়ক ভবে যে, সূর্যের প্রচন্ড তাপে কারও
হাঁটু, কারাে কোমড় কারাে বা বুক পানিতে ডুবে যাবে
তাদের শরীরের ঘামে। মানুষ অসহনীয় দুঃখ-কষ্টে
নিপতিত থাকবে তখন হযরত আদম (আ.), হযরত
নুহ (আ.), হযরত মুসা (আ.) প্রভৃতি নবিদের নিকট
উপস্থিত হয়ে শাফায়াতের অনুরাধ করবে। তারা
সকলেই অপারগতা প্রকাশ করবে। এসময় সবাই
মহানবী (স.) এর নিকট উপস্থিত হবে। তখন
রাসূলুল্লাহ (সা.)
প্রশংসা ও তার মর্যাদা বর্ণনা করবেন। তারপর তিনি
তার রবের নিকট সুপারিশ করার অনুমতি চাইবেন।
আল্লাহ তা'আলা তাকে অনুমতি দিবেন। এরপর
রাসূলুল্লাহ (স.) (তাদের জন্য) সুপারিশ করবেন।
সাজদাহ করবেন এবং আল্লাহর
মহানবী (স.) এর অনেক হাদিসে শাফায়াত
করার কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, "আমাকে শাফায়াত (করার
অধিকার) দেওয়া হয়েছে"। (সহিহ বুখারি ও সহিহ
মুসলিম)
২. শাফায়াতে সুগরা: কিয়ামতের দিন পাপীদের
ক্ষমা ও পুণ্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শাফায়াত
করা হবে। এটাই শাফায়াতে সুগরা। নবি-রাসুল,
ফেরেশতা, শহিদ, আলিম, হাফেজ এ শাফায়াতের
সুযােগ পাবে। কুরআন ও সিয়াম (রাজা) শাফায়াত
করবে বলেও হাদিসে উল্লেখ আছে।
আমরা শাফায়াতের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবোে
এবং রাসূলুল্লাহ (স.) এর দেখানো পথে চলবাে ফলে
পরকালে রাসূলুল্লাহ (স.) এর শাফায়াত যেন আমরা
পাই সেই দোয়া বেশি বেশি করবাে।