ঈশ্বর সর্বএ কীভাবে বিরাজকরেন?
Answers
ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয়।ঈশ্বরকে কথা, মন বা চোখ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।ঈশ্বর এক কিন্তু দেবদেবী অনেক। অর্থাৎ ঈশ্বরের এক একটি গুনের সাকার প্রকাশই দেবতা। ঈশ্বর নিরাকার কিন্তু তিনি যে কোন রূপে সাকার হতে পারেন আমাদের সামনে কারণ তিনি সর্ব ক্ষমতার অধিকারী।তাই ঈশ্বরের শক্তির সগুন রূপ দুর্গা, কালী, পার্বতী;বিদ্যার সগুন রূপ সরস্বতী; ঐশ্বর্যের সগুন রূপ লক্ষ্মী।পার্থিব জগতে আমাদের চঞ্চল মন নানা কামনা বাসনা দিয়ে আবদ্ধ। আমরা চাইলেই এই কামনা বাসনা বা কোন কিছু পাবার আকাংক্ষা থেকে থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না।তীব্র গতির এই মনকে সংযত করা, স্থির করার ব্যবস্থা করা হয় । যা আসলে কল্পনা ।এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ কে আলোয়ার মহারাজা প্রশ্ন করেছিলেন "আচ্ছা স্বামীজী আমার তো মূর্তি পূজায় বিশ্বাস নেই আমার অদৃষ্টে কি আছে ? " বিবেকানন্দ মহারাজার একটি চিত্র আনতে বললেন এবং রাজার দেওয়ানকে বললেন ওই ছবির উপর থুথু ফেলতে ।
সমস্ত রাজসভা নিঃশব্দে এই দৃশ্য দেখতে লাগল । দেওয়ান স্বামিজির নির্দেশ পালনে অসমর্থ হলেন , তখন স্বামীজি বললেন , ‘ এই ছবি তো একটি রং করা কাগজ মাত্র , এই ছবি তো আর রাজা নয় , তাহলে এর উপর থুথু ফেলতে অসুবিধা কোথায় ? ‘ স্বামীজির বারংবার নির্দেশ সত্ত্বেও দেওয়ান যখন রাজার ছবিতে থুথু ফেলতে পারলেননা তখন স্বামীজি রাজাকে বুঝিয়ে বললেন , ” ফটোগ্রাফ তো একটি জড়বস্তু , একখণ্ড রং করা কাগজ মাত্র । তবু ওই ছবিটি আসল মানুষটিকে মনে করিয়ে দেয় । ছবিটির দিকে দেখলে আমরা ভাবিনা যে নিছক কোনও রং করা কাগজ দেখছি । ঠিক তেমনই আমরা যখন মাটির মূর্তি পূজা করি আমরা মনে করি স্বয়ং ভগবানকেই পূজা করছি । আমরা সে সময় কখনও মনে করিনা আমরা কোনও জড় মূর্তি বা খড় বা মাটির উপাসনা করি।আমরা ব্বলি না হে মাটি আমি তোমায় পুজো করছি, যে কাঠ আমি তোমায় পুজো করছি । যদি প্রতিমাকেই ঐ সকল দেবতা মনে করা হত তাহলে নিশ্চয় কেউ তা জলে বিসর্জন দিত না।
আবারও 'প্রতিমা' কোন 'ঈশ্বর' না ও ঈশ্বরের কোন 'রূপ/আকার' নেই, তিনি 'নিরাকার' ও 'সর্বত্র/ সর্বজনে বিরাজমান',