তুমি কীভাবে আল্লাহর গুনে গুনানিত হতে পারবে
Answers
Answer:
নিজেকে অন্যের সামনে ফুটিয়ে তোলা বা প্রদর্শন এবং অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করা বা আকর্ষণ -এ ধরণের মানসিকতা অনেকের মাঝেই থাকে।
এ মানসিকতা নারী পুরুষ সকলের মাঝেই বিদ্যমান। তবে নারীর মাঝে তুলনামূলক বেশি থাকে। কারণ আল্লাহ পুরুষকে দৈহিক কোমলতা ও কমনীয়তা দিয়ে সৃষ্টি করেননি এবং সাজ-সজ্জা বা অলংকার গ্রহণের অনুমতি দেননি। পৃথিবীর যত স্বর্ণ সব নারীর জন্য, পুরুষের জন্য তা হারাম। যত রেশমী বস্ত্র সব নারীর জন্য পুরুষের জন্য তা নিষিদ্ধ। মনি-মুক্তা হিরা জহরত আরো কত শত অলংকার সব নারীর জন্য। রূপ-সৌন্দর্যের সবটুকুই যেন আল্লাহ দিয়েছেন নারীকে। কোমলতা কমনীয়তা শুধুই নারীর হিস্সা। নারীর রূপ-সৌন্দর্য নিয়ে রচিত হয়েছে কত শত কবিতা। সুতরাং আকর্ষণ ও প্রদর্শনের প্রবণতা নারীর মাঝে বেশি পরিমাণে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আল্লাহর শাস্বত বিধান হলো, সবকিছুতে পরিমাণ ও পরিমিতিবোধ বজায় রাখা। তিনি মানুষকে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার স্বীমারেখা। আর তা মানুষেরই কল্যাণার্থে। আল্লাহর দেয়া স্বাধীনতা ও নেয়ামত ভোগের ক্ষেত্রে তাঁর স্বীমারেখা লংঘনই যত অনর্থের মূল। তো নারীর রূপ-সৌন্দর্যের ব্যবহার ও এর স্বীমারেখা হিসেবে আল্লাহ দিয়েছেন পর্দার বিধান। পর্দায় ইসলামের যে নির্দেশনাগুলো রয়েছে তার অন্যতম হল, পর পুরুষের সামনে সাজ-সজ্জা ও রূপ-সৌন্দর্য প্রদর্শন না করা এবং পরপুরুষকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করা থেকে বিরত থাকা।