ক, সামাজিক চুক্তি' গ্রন্থটির লেখক কে?
খ. ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি কি?
গ, জাতি ও জাতীয়তার মধ্যে পার্থক্য লেখ।
ঘ. জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি
জাতিরাষ্ট্র গঠন করেছিল। বিশ্লেলণ কর।
Answers
Answer:
সামাজিক চুক্তি (ইংরেজি: Social Contract) রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় বিধির বিকাশ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। যার মুল বক্তব্য হল- রাজনৈতিক সমাজ তথা রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছে সামাজিক চুক্তির ফলস্বরুপ। সমাজের বিবর্তনে মানুষের সচেতন ইচ্ছার উপর গুরুত্বারোপ ও ব্যক্তিকে তার স্বাভাবিক অধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে অবলোকন করায় এ মতবাদ অনেক চিন্তাবিদের মধ্যেই আবেদন সৃষ্টি করে। জন লক, টমাস হবস, জঁ-জাক রুসো প্রমুখ এ চিন্তাধারার অনুসারী ছিলেন। তবে এ চুক্তির কারণ বিশ্লেষণে তাদের মাঝে মতভিন্নতা রয়েছে। ১৭শ ও ১৮শ শতকে এ ধারণা পাশ্চাত্য দর্শন ও রাষ্ট্র চিন্তায় জনপ্রিয়তা লাভ করলেও প্রাচীন গ্রিসের সফিস্ট এবং চীনের মোজুর দর্শনেও এর আভাস পাওয়া যায়।
জন লকের সামাজিক চুক্তির উপর লেখা যা আমেরিকা প্রতিষ্ঠার জনকদের প্রভাবিত করেছিল।
এ মতবাদের মূলকথা হলো, মানব ইতিহাসে এমন একটি সময় ছিলো যখন মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা ছিলো না। তখন রাষ্ট্র ও সরকারের কোনো অস্তিত্বই ছিলো না। তখন মানুষ প্রকৃতির রাজ্যে বসবাস করতো ও নিজ খেয়ালখুশি মতো পরিচালিত হতো। দুর্বলের ওপর সবল অত্যাচার করলে, দুর্বলকে রক্ষা করার জন্যে কোনো আইনসম্মত ব্যবস্থা ছিল না। এভাবে প্রকৃতির রাজ্যে অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ায় পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে মানুষ রাষ্ট্র সৃষ্টি করেছে। আর এটাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাসে সামাজিক চুক্তি মতবাদ নামে পরিচিত।অর্থাৎ এ মতবাদের আসল কথা হচ্ছে চুক্তির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে।[১]