এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিতকাজ
ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে
‘প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব’ শিরােনামে একটি প্রবন্ধ লিখ (২০০ শব্দের
মধ্যে)।
Answers
Answer:
> প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব <
ভূমিকা:
বর্তমান সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার রয়েছে। প্রযুক্তি ছাড়া আমরা একটি সেকেন্ড বর্তমানে কল্পনা করতে পারিনা। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনমানের অনেক উন্নতি হয়েছে।
শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক বেশি সহজ ও সাবলীল করে তুলেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্র সমূহ:
একজন মানুষের জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। যেমন-
ব্যক্তিগত যোগাযোগ:
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের ব্যাপারটি অনেক বেশি সহজ ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। মানুষ চাইলে মুহূর্তের মধ্যে এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে থাকা তার নিকট আত্মীয়ের সাথে বা বন্ধুর সাথে সরাসরি কথা বলতে পারে।
সেইসাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরাসরি ছবি দেখে ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তির এই ব্যবহারের কারণে মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে।
এখনকার সময় কাউকে কোন পত্র পাঠাতে আর পোস্ট অফিসে যেতে হয় না। চাইলেই কম্পিউটার থেকে ইমেইল পদ্ধতি ব্যবহার করে অথবা এসএমএস পদ্ধতি ব্যবহার করে মুহূর্তেই প্রিয় মানুষটির কাছে বার্তা পাঠিয়ে দেওয়া যায়।
বিনোদন:
বিনোদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের বিনোদন প্রাপ্তির বিষয়টি কে অনেক বেশি সহজতর করে দিয়েছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে মানুষ এখন বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনোদন গ্রহণ করতে পারে।
এখন মানুষকে আর খুব একটা টিভি অথবা সিনেমা হলে গিয়ে নাটক সিনেমা দেখতে দেখা যায় না। হাতে থাকা ছোট্ট এ স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নাটক সিনেমা ডাউনলোড করে উপভোগ করতে পারে।
সেইসাথে নিজেরা পারফর্ম করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে জানাতে পারে।
জিপিএস ট্র্যাকিং:
প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন নিজেদের বিভিন্ন জিনিষ পত্রের অবস্থান জানা মানুষের পক্ষে অনেক সহজ হয়ে গেছে। জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে দূর দূরান্তে থাকা নিজের গাড়ি বাসাবাড়ি অথবা ব্যক্তিগত পরিচিতজনের অবস্থান নিশ্চিত করা যায়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ চুরি হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যায়।
পড়াশোনা:
প্রযুক্তির অভাবনীয় পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। ঘরে বসেই মানুষ এখন দূর-দূরান্তে থাকা বিভিন্ন শিক্ষকের ক্লাস করতে পারে।
যার সুফল আমরা দেখতে পাই কোভিড নাইনের সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষকগণ টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহার করে আমাদের ক্লাস পরিচালনা করে।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ই-বুক রিডার ডাউনলোড করে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত লেখকদের বই পত্র পড়তে পারে। যাতে সময়ের সাথে টাকার খরচ কমে এসেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব:
নিজের সময় ও অর্থ বাঁচাতে এবং নিজেকে বর্তমান প্রযুক্তির সাথে আপডেট করতে অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে একজন মানুষ কর্ম ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে।
সময়ের সাথে আপডেট:
প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট করে নিতে পারে।
প্রযুক্তির ব্যবহার জানা না থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে থাকতে হয় একজন মানুষকে।
তাই অবশ্যই আপডেট হওয়ার জন্য এবং সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পেশাগত উন্নয়ন:
এখনকার সময়ে সকল পেশায় প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। চা দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় অফিস-আদালতে সকল পেশার মানুষকে এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করতে হয়।
নিজের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে অবশ্যই একজন মানুষকে প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করা বাঞ্ছনীয়।
সামাজিক সম্পর্ক তৈরি:
বর্তমান সময়ে সবাই অনেক ব্যস্ত সময় পার করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে নিয়মিত সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখতে পারি।
তথ্যপ্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সামাজিক সম্পর্ক অটুট রাখার কাজটি রাখতে পারি।
উপসংহার:
প্রযুক্তি একটা সময় এই পৃথিবীতে অনেক বেশি পরিবর্তন নিয়ে আসবে। প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা একটি উন্নত পৃথিবী প্রাপ্ত হব।
তাই সময়ের সাথে প্রযুক্তির উপযুক্ত ব্যবহার প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই প্রযুক্তির জ্ঞান আমাদের অর্জন করতে হবে।