ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট একটি বিশাল তথ্য ভান্ডার বিশ্লেষণ করো
Answers
ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক(interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে-অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে।[১]
যখন সম্পূর্ণ আইপি নেটওয়ার্কের আন্তর্জাতিক সিস্টেমকে উল্লেখ করা হয় তখন ইন্টারনেট শব্দটিকে একটি নামবাচক বিশেষ্য মনে করা হয়।
ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দৈনন্দিন আলাপচারিতায় প্রায়ই কোন পার্থক্য ছাড়া ব্যবহৃত হয়। যাইহোক, ইন্টারনেট এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব একই নয়। ইন্টারনেটের হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার পরিকাঠামো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক তথ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিপরীতে, ওয়েব ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রদত্ত পরিষেবাগুলির একটি। এটা পরস্পরসংযুক্ত কাগজপত্র এবং অন্যান্য সম্পদ সংগ্রহের, হাইপারলিংক এবং URL-দ্বারা সংযুক্ত।
ইন্টারনেটের গুরুত্ব:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধন করেছে। ইন্টারনেট আবিষ্কারের পূর্বে পৃথিবীর কোনো জায়গায় খবর পাঠাতে বা সেখান থেকে খবর সংগ্রহ করতে অনেক অর্থ, শ্রম ও সময় ব্যয় হতো। কিন্তু এখন চোখের পলকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে বই অত্যন্ত জরুরি, যা সবসময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে যে কোনো লাইব্রেরির বই পড়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। ইন্টারনেটের কল্যাণে চিকিৎসা ব্যবস্থা হয়েছে আরও উন্নত, সহজলভ্য ও স্বল্প ব্যয়সম্পন্ন। কোনো রোগের চিকিৎসা দেশে না করানো গেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিদেশের ভালো ভালো ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা যায়। আবার আইনগত সহায়তার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিখ্যাত আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। যারা ভ্রমণপ্রিয় তারা দেশে বসে যে কোনো দেশের আবহাওয়া জানা, হোটেল রিজার্ভ, প্লেনের টিকিট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে। এর ফলে শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। তাছাড়া বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে সিনেমা দেখা, গান শোনা, খেলা দেখা, দৈনিক পত্রিকা পড়া, শেয়ার বাজর জানা ইত্যাদি ঘরে বসে সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটের কল্যাণে।
ইন্টারনেটের সুবিধা:
ইন্টারনেটের ব্যবহার মানুষের জীবনে এনেছে বিপুল পরিবর্তন। এই যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আজ অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। এর সাহায্যে পৃথিবীর যে-কোনো প্রান্তে যে-কোনো সময়ে তথ্য বা খবর প্রেরণ করা যায় এবং সেখান থেকে নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, বিনোদন, বিপণন ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই ইন্টানেটের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এর দ্বারা কোনো দেশের রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া অন্য দেশের লোক সহজেই জানতে পারছে। কোনো দেশের শেয়ার বাজারের অবস্থা ও দেশের জনগণের অর্থনৈতিক অবস্থাও অন্য দেশের লোকের মাধ্যমে সহজেই জেনে নিতে পারছে। ইন্টারনেটের সাহায্যে বিশ্বের যে-কোনো প্রান্ত হতে যে কেউ প্রবেশ করতে পারছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় লাইব্রেরিতে, সেখানকার বিভিন্ন বই থেকে তথ্যও সংগ্রহ করতে পারছে। বর্তামানে দূরশিক্ষণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো ছাত্র শিক্ষকের কাছ থেকে পড়া বুঝে নিতে পারে। বিনোদনের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের একজন লোকের পক্ষে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিউইয়র্কের কোনো ওপেন এয়ার কনসার্ট উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে ইন্টানেট ব্যবহার করে বাংলাদেশের একজন রোগী বিদেশের ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারছে। বর্তমানে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে দেশে বসে অন্য দেশের জিনিসপত্র কোকাটা করাও সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরণের খেলা, গান শোনা, সিনেমা দেখা, রান্না শেখা, ফ্যাশন সম্পর্কে জানা এমন কি বিয়ের সম্পর্কও প্রতিষ্ঠা করা যায় ইন্টানেটের মাধ্যমে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ চাকরির জন্য ঘুরতে হয় না। ঘরে বসে যেকোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করা যায়। আবার কেউ কেউ ইন্টারনেটে কাজ করে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। কেউ আবার অনলাইনে ঘরে বসে বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন এবং মাস শেষে বেতনও পাচ্ছেন অনলাইনে।
ইন্টানেটের সুভিধাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো : (১) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, (২) ই-মেইল, (৩) নিউজগ্রুপ, (৪) টেলনেট (৫) গোফার ও (৬) ফাইল ট্রান্সফার। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব দ্বারা অন্যান্য কম্পিউটারের তথ্যাদি পড়া ও শোনা যায়। ই-মেইল দ্বারা অন্য কম্পিউটারের সাথে থথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টানেটে প্রকাশিত প্রতিদিনের পত্রিকার পাঠক হওয়া যায় নিউজগ্রুপের মাধ্যমে। টেলনেটের মাধ্যমে সরাসরি কম্পিউটারে টাইপ করে অন্য ইন্টানেট ব্যবহারকারীর সাথে থথ্য বিনিময় করা যায়। আর ফাইল ট্রান্সফারের মাধ্যমে এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ফাইল আদান-প্রদান ও ফাইল সংরক্ষণ করা যায়। এক কথায় ইন্টানেট বিশ্বের তথ্য সমুদ্র থেকে মণিমুক্তা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডুবুরির কাজ করে। ইন্টারনেটের এই বহুবিধ ব্যবহারের কারণেই বিশ্ববাসী আজ প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হচ্ছে। ইন্টারনেট একটি বিশাল তথ্য ভান্ডার .
Explanation:
pleas send me this quetion answer