বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে
কাব্যপ্রীতি-একটি মূল্যায়ন
Answers
Explanation:
বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে
কাব্যপ্রীতি-একটি মূল্যায়ন
Answer:
বেদুইনদের সাংকৃতিক সম্পদ হিসেবে কাব্য প্রীতি “এক একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা। নিম্নে এই বিষয়ে মূল্যায়ন করা হলো :
বেদুইনদের মধ্যে মৌখিক কবিতা সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পরূপ। কোনো গোত্রে একজন কবির উপস্থিতি সেই গোত্রের জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত মর্যাদার বিষয়। যদিও কবিতা শিল্পের একটি মাধ্যম, তবে কবিতা তথ্য ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ পৌঁছে দেয়ার অন্যতম উপায় হিসেবে ব্যবহূত হয়।
বেদুইনদের মধ্যে ‘আল-তাগরুদা’ এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী উচ্চারিত কবিতা, যা পুরুষরা রচনা ও আবৃত্তি করে। উটের পিঠে চড়ে বেদুইন পুরুষরা সাধারণত সাত পঙিক্তর কাব্যিক শ্লোক উচ্চারণ করে। তারা বিশ্বাস করে, ‘আল-তাগরুদা’ আরোহীকে বিনোদন দেয়। ভ্রমণের সময় প্রথম শ্লোকটি দলের প্রধান ব্যক্তি আবৃত্তি করে এবং পরে দলের অন্য সদস্যরা বাকি পঙিক্ত উচ্চারণ করে। এছাড়া ক্যাম্পফায়ার, বিয়ে অনুষ্ঠানে এবং বিভিন্ন উপজাতীয় ও জাতীয় উৎসবে, বিশেষ করে উটের দৌড়ের সময়, প্রতিযোগীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য উচ্চৈস্বরে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। উল্লেখ্য, ইউনেস্কো ‘আল-তাগরুদা’কে একটি জীবন্ত মানব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যা আগামী ভবিষ্যৎ বেদুইন প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার হিসেবে কাজ করবে।
অন্যদিকে বেদুইন নারীর মৌখিক কবিতা ‘নাবাতি’ কবিতা নামে পরিচিত, যা যাযাবর জীবনযাত্রাকে প্রতিফলিত করে বেদুইন উপভাষায় রচনা করা হয়। তবে নাবাতি কবিতায় দ্বান্দ্বিক বা স্থানীয় কবিতাও অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং আরবি ভাষায় লিখিত ধ্রুপদী কাব্যিক রূপ থেকে আলাদা।
বেদুইনদের কথা উঠে এসেছে বাংলা ভাষাভাষী কবি-সাহিত্যিকদের কলমে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেদুইন হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, ‘ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুয়িন।’ অন্যদিকে কাজী নজরুল ইসলাম নিজেকে বেদুইন পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।’
এটা একটা বাংলা প্রশ্ন |
বাংলা সম্পর্কে আরও জানুন
1) https://brainly.in/question/9179234
2) https://brainly.in/question/5630001