প্রাচীন ও মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ রাজবংশ ও শাসন ব্যবস্থার একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর
Answers
Answer:
Explanation:
গুপ্ত শাসন এর পূর্বে প্রাচীন বাংলার রাজ্য শাসন পদ্ধতি সম্বন্ধে সঠিক কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। এদেশে গুপ্ত শাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বে কৌম সমাজ ছিল সর্বসেরা। তখন রাজা ছিল না রাজত্ব ছিল না। তবে শাসন পদ্ধতি সামান্য মাত্রায় ছিল। কৌমদের মধ্যে পঞ্চায়েতী প্রথায় পঞ্চায়েত দ্বারা নির্বাচিত দলনেতা স্থানীয় শাসন ব্যবস্থায় নেতৃত্ব দিতেন।
মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশ: আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের মাত্র দুই বছর পর ৩২১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ভারতের এক বিশাল অঞ্চলের ওপর মৌর্য বংশের প্রভুত্ব স্থাপন করেন। উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে। ভারতে গুপ্ত বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ৩২০ খ্রিস্টাব্দে। তখন বাংলায় কিছু স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে। গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালেই উত্তরবঙ্গের কিছু অংশ গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধিকারে আসে।
স্বাধীন গৌড় রাজ্য: গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর ষষ্ঠ শতকে ‘পরবর্তী গুপ্ত বংশ’ বলে পরিচিত গুপ্ত উপাধিধারী রাজাগন উত্তর বাংলা, পশ্চিম বাংলার উত্তরাংশ ও মগধে ক্ষমতা বিস্তার করেছিলেন। ষষ্ঠ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ অঞ্চলই গৌড় জনপদ নামে পরিচিত।
শশাঙ্ক: গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোন অঞ্চলের শাসন কে বলা হত ‘মহীসামন্ত‘। ধারণা করা হয় শশাঙ্ক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন ‘মহীসামন্ত‘ এবং তার পুত্র অথবা ভাতুষ্পুত্র।