ই- লানিং এর ধারণা?
ই- লানিং এর সুবিধা সমূহ?
Answers
Answer:
পাঠদান করানোর জন্য ই-লার্নিং পদ্ধতির ব্যবহার করছে। আমাদের দেশও পিছিয়ে নেই। কোভিড-১৯ এর সময় আমরা এর সুফল বুঝতে পেরেছি। আজকে আমরা আলোচনা করবো ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ নিয়ে। প্রবন্ধটি ভালভাবে পড়লে তুমি নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ৩য় সপ্তাহের ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখতে পারবে।
আপনার জন্যবাছাইকৃত
২০২০ সালের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ট্রান্সফার আবেদন বিজ্ঞপ্তি – ঢাশিবো
এইচএসসি-২০ ফলাফল প্রস্তুতের জন্য জেএসসি ও এসএসসি তথ্য চেয়েছে বোর্ড
চুক্তি অংশীদারী ব্যবসায়ের মূল ভিত্তি – কপিরাইট
তবে কখনোই হুবুহু কপি করবেনা; ই-লার্নিং এর ধারণা এবং কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জনে সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তথ্যটি থেকে আইডিয়া সংগ্রহ করে নিজের মত করে গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করবে। তাহলে চলো শুরু করা যাক-
>
উপকরণ তৈরিতে খরচ কমানো:
ই-লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে শিক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে বারবার টাকা খরচ না করে একবার সুন্দর ভাবে বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে সেটা বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়।
এতে শিক্ষকদের শিক্ষা উপকরণ তৈরিতে খরচ অনেকাংশে কমে যায়।
বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট সহজভাবে প্রদর্শন:
দেশের সকল অঞ্চলে সকল বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান শিক্ষকের অপ্রতুলতার কারণে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিক্ষায় অনেক বেশী পিছিয়ে পড়েছে।
একটা দেশকে উন্নত শিহরণ করার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত বিজ্ঞান শিক্ষা’ আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ই-লার্নিং এর ভিডিও বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট দেখানো যায় যাতে শিক্ষার্থীরা প্রায়োগিক শিক্ষা লাভ করতে পারে।
এতে সকল বিদ্যালয়ের ল্যাব এর প্রয়োজন হবে না এবং চাইলে শিক্ষার্থীরা বারবার ওই কনটেন্ট বা এক্সপেরিমেন্ট বারবার দেখতে পাবে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস্তবিক বিজ্ঞান শিক্ষা’ অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে।
ঘরে বসেই বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ:
ই-লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা গুলো ঘরে বসেই ইলেকট্রনিক কনটেন্ট ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ গ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এতে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে বসেই যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা ভালো মানের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় কারিগরি কোর্স ঘরে বসেই করে নিতে পারে।
সময় ও অর্থের অপচয় রোধ:
শিক্ষায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বেশি সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব। এখন একটি ই-বুক রিডার কম্পিউটার বা মোবাইল এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামকরা লেখকের এর বই পিডিএফ আকারে সংরক্ষণ করে সেটা যে কোন সময় পড়তে পারে।
এক সময় বই কিনতে শিক্ষার্থীদের অনেক টাকা খরচ করতে হতো কিন্তু ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামীদামী বিভিন্ন বই খুব সহজে পিডিএফ আকারে শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে।
একজন শিক্ষক ঘরে বসেই চাইলেই শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে ইনস্ট্রাকশন দিতে পারেন তাই কি লার্নিং সময় ও অর্থের অপচয় রোধ করতে অনেক বেশি সহযোগিতা করবে।
ই-লার্নিং বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমূহ:
ই-লার্নিং এর অনেক বেশি সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশের মতো দেশে ই-লার্নিং বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা বা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশি লার্নিং বাস্তবায়নে এই চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ-
১. দারিদ্রতা:
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্রয় করার মত বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো সেই পরিমাণ অর্থ তাদের কাছে থাকে না। তাই দারিদ্রতা ই-লার্নিং বাস্তবায়নে একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
২. সচেতনতা সৃষ্টি:
আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাট গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন নয়।
সরকারের পক্ষ থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে।
দেশের বেশির ভাগ মানুষকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান সম্পর্কে অবগত এবং এর সুবিধা বোঝানো অনেক কষ্টকর বিষয়।
৩. সুবিধার অভাব:
ই-লার্নিং বাস্তবায়নে যে সকল সুবিধা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সে সকল সুবিধা অনেক অভাব রয়েছে আমাদের দেশে।
যেমন সকলের নিকট ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দেওয়া একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
৪. পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি:
ই-লার্নিং এর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত রিসোর্স যা আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
আমাদের দেশে খুব কম পরিমাণে ই-লার্নিং এর উপকরণ তৈরি হয়। তাই এ লার্নিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
৫. শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করণ:
দেশের সকল শিক্ষককে ই-লার্নিং এর পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত করণ ই-লার্নিং বাস্তবায়নের জন্য অত্যাবশ্যক।
একজন শিক্ষক ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান করতে না পারলে কোনভাবেই ইরানি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
তাই দেশের সকল স্তরের শিক্ষককে একসাথে ইরানি কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা বা ব্যবহার করা পদ্ধতি শেখানো একটা চ্যালেঞ্জ।
৬. স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ: