ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে
প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব শিরােনামে একটি প্রবন্ধ লিখ (২০০ শব্দের
মধ্যে)।
[প্রবন্ধে যা যা থাকবে-
ভূমিকা
ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিব্যবহারের
ক্ষেত্ৰসমূহ
ব্যক্তিগত জীবনে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব
উপসংহার )
.ভূমিকা
Answers
Explanation:
আমাকে Brainlist Answer এ মার্ক করে দাও ।তাহলে আপনি ১০ পয়েন্ট পাবেন ।কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবেন ।ধন্যবাদ
ভূমিকা
বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল। আর বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব আবিষ্কার হলাে তথ্যপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানকে বিভিন্ন শিল্প তথা মানব কল্যাণে প্রয়ােগ করার কৌশলই হচ্ছে প্রযুক্তি। আজকের দিনের বহুল আলােকিত প্রযুক্তিটি হলাে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। যা বর্তমান বিশ্বের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মূল হাতিয়ার। জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মােকাবিলায় প্রস্তুত হতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির বিকল্প নেই।
সেবাসমূহের তালিকা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নের মূল সর্থকতাই হলো এটার ব্যবহার করে সুফল অর্জন করা। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে সর্বত্রই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে লাগামহীনভাবে। বিশেষ করে সরকারি কর্মকান্ডে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার চোখে পরার মতো। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবা খুব কম সময়েই সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে। সরকারি সেবাসমূহের তালিকা দেওয়া হলো:
ই-পর্চা
ই-বুক
ই-পুর্জি
পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
ই-স্বাস্থ্যসেবা
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকরণ
টাকা স্থানান্তর
পরিসেবার বিল পরিশোধ
পরিবহন
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন
ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ২০০৭ সালেও বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ ছিল সম্ভাবনাহীন একটি দেশ। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ একটি মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে মুহূর্তেই প্রয়োজনীয় সব ধরনের নাগরিক গ্রহণ করতে পারছে সাধারণ মানুষ। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ রুপ নিয়েছে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" নামে।প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। যেমন: বর্তমানে সরকারি তথ্যাদি, আইন ও নীতিমান প্রণয়ন ও সংশোধন, বিশেষ বিশেষ দিবসের বার্তা, পাবলিক পরীক্ষার ফলালফল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে ফলে কম সময়ের কাছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তাছাড়া দেওয়া হচ্ছে ই-স্বাস্থসেবা, পরিসেবা বিল (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস) পরিশোধ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে অনলাইনে। সর্বস্তরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে খুলা হয়েছে ই-বুক প্লাটফর্ম। আর্থিক লেনদেন সহজ এবং নিরাপদ করার জন্য চালু করা হয়েছে অনলাইন ব্যাঙ্কিং।
প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্ব
প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার গুরুত্ব বলে শেষ করা যাবে না। কারণ দিনকে দিন প্রযুক্তির এতটাই উৎকর্ষ সাধন হচ্ছে যে, মানুষও প্রানভরে উপভোগ করছে এর সুফল। এককথায় প্রযুক্তি মানুষের ভার্চুয়াল বন্ধুর মতোই হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তিভিত্তিক সেবার কারণে কমেছে সময় ও ভোগান্তি। জীবনমান বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে কর্মসংস্থান। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার চেয়ে বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদি এখন দেশের সাধারণ মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নগদ টাকা উত্তোলন ও জমা দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্যের হয়ে উঠছে এটিএম বুথ। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং, টেলিকনফারেন্স, ই-ফাইলিং, ই-ট্র্যাকিং, ব্যবসায়ে ই-কমার্স থেকে শুরু করে ঘরের-অফিসের নিরাপত্তা, পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরাটি এখন আর ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে থাকছে না। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, অর্থনীতি, রাজনীতি, নিরাপত্তা, সংস্কৃতিসহ প্রতিটি মৌলিক ক্ষেত্রেই যুগান্তকারী বিপ্লব এনে দিয়েছে।
উপসংহার
এ যুগে জীবনযাত্রার সকল ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি আমরা কত দ্রুত সাড়া দেব তার উপর নির্ভর করছে আগামী দিনের বাংলাদেশের ভাগ্য। ডিজিটাল সরকার, নাগরিকদের ডিজিটাল সেবা প্রদান, তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিল্প প্রসার - এ চারটি মূল লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করাহয়েছে। মূলত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই ছিল ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশনের মূল লক্ষ্য।