India Languages, asked by sabitadutta1982, 3 months ago

(খ) বিদ্যাসাগরকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কেন?

Answers

Answered by shababrakin
4

Explanation:

প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি বিদ্যাসাগর নামেই বেশি পরিচিত। উনবিংশ শতকের বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে আধুনিক বাংলা ভাষার জনক বললে হয়ত ভুল বলা হবে না।

তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করেছিলেন। এবং তিনি যে শুধু বাংলা ভাষাকে যুক্তিগ্রাহ্য ও সকলের বোধগম্য করে তুলেছিলেন তাই নয়, তিনি ছিলেন বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাঙালি সমাজে প্রগতিশীল সংস্কারের একজন অগ্রদূত।

ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম পশ্চিমবঙ্গে মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর। বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মা ভগবতী দেবী।

তখন গ্রামের যে বাড়িতে ঈশ্বরচন্দ্র বড় হয়ে ওঠেন সেই বাড়িটিতে এখন একটি পাঠাগারে সংরক্ষিত আছে বিদ্যাসাগরের ব্যবহৃত দুশ বই, আছে তাঁর ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী বিবিসি বাংলাকে জানান ওই গ্রামের বাসিন্দা গৌরহরি সিংহ।

বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগর স্মৃতিমন্দির।

ছবির উৎস, SUDIPTA BISWAS

ছবির ক্যাপশান,

পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈত্রিক বাড়ি। এখন এটি তাঁর স্মৃতি সংগ্রহশালা হিসাবে সংরক্ষিত।

ছেলেবেলায় গ্রামের পাঠশালাতে পড়তেন ঈশ্বরচন্দ্র। পাঠশালার পাঠ শেষ করে আরও শিক্ষালাভের জন্য ঈশ্বরচন্দ্র বীরসিংহ গ্রাম থেকে কলকাতায় পৌঁছান পায়ে হেঁটে, যখন তাঁর বয়স মাত্র আট পেরিয়েছে- বিবিসি বাংলাকে বলেন বিদ্যাসাগরের তৃতীয় কন্যা বিনোদিনী দেবীর নাতি সন্তোষ কুমার অধিকারী।

"বীরসিংহ থেকে কলকাতা ৫২ মাইল পথ। তাঁর ভৃত্য কিছুটা পথ তাঁকে কাঁধে করে নিয়ে গেলেও এই দীর্ঘ পথ তিনি মোটামুটি নিজে পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিয়েছিলেন।"

কাজের সূত্রে তখন কলকাতায় থাকতেন ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। কথিত আছে ঈশ্বরচন্দ্রের লেখাপড়ায় এতটাই আগ্রহ ছিল যে বাসায় আলো জ্বালার যথেষ্ট সামর্থ্য পরিবারের না থাকায় তিনি রাস্তার আলোর নিচে পড়াশোনা করতেন।

Similar questions