India Languages, asked by atindramondal19, 4 months ago

সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো। যে ধর্ম আপন করে সে ধর্ম মিথ্যা​

Answers

Answered by sujatakadali
1

Answer:

নিশ্চয়ই সব ধর্মই একসাথে সত্য হওয়া সম্ভব নয়॥ আবার এই মহাবিশ্বে একাধিক সৃষ্টিকর্তা থাকাটাও অসম্ভব। কোনো ধর্ম সত্য না মিথ্যা তা প্রমান করার জন্য আমাদেরকে সেই ধর্মের গ্রন্থ গুলোর দিকে ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, " যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে প্রমাণ উপস্থাপন করো। (সূরা বাক্বারাহ্‌ ২:১১১)"

.

হিন্দু ধর্মের উত্‍পত্তির বিষয়টা আসলেই ঝাপসা। যদিও হিন্দু ধর্মের আসল নাম সনাতন ধর্ম॥ 'পশ্চিমা পন্ডিতরা হিন্দু ধর্মকে বিভিন্ন ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ এবং সংশ্লেষণ হিসেবে গন্য করেন যার মূলে একক কোন ব্যক্তির অবদান নেই এবং এর একাধিক উত্‍পত্তি উত্‍স রয়েছে।

ভারতের বিশিষ্ট দার্শনিক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন হিন্দুধর্মের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে

বলেছেন, "Hinduism is not just a faith. It is the union of reason and intuition that can not be defined but is only to be experienced."

আসলেই, হিন্দু ধর্মের সংজ্ঞা দান করা অসম্ভব। সনাতন হিন্দু ধর্ম অনুসারে সকল দেবতা আসলে পরম ব্রহ্মার রূপেরই বহিপ্রকাশ। তাই যে কোনো দেবতাকে, বা স্রস্টাকে পাওয়ার চেষ্টা করা মানে, আসলে ব্রহ্মাকে পাওয়ারই চেষ্টা করা। বর্তমানে শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল হিন্দুই বিভিন্ন পুজা অর্চনা করে॥ হিন্দুরা অনেক দেব দেবির পুজা করলেও হিন্দু ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে হিন্দুদের কেবল মাত্র এক জন ইশ্বরের উপাসনা করতে বলা হয়েছে॥ বেদের 'ব্রহ্ম সুত্র' তে আছে 'একম ব্রহ্মা দ্বৈত্য নাস্তি নহিনা নাস্তি কিঞ্চন' অর্থাত্‍ ইশ্বর এক তাঁর মত কেউ নেই কেউ নেই সামান্যও নেই । আরও আছে 'তিনি একজন তাঁরই উপাসনা কর' (ঋকবেদ ২;৪৫;১৬)। "একম এবম অদ্বৈত্তম" অর্থাত্‍ তিনি একজন তাঁর মত আর দ্বিতীয় কেউ নেই (ঋকবেদ১;২;৩) । কুরআনের সুরা ইখলাসের (১১২:১-৪) আয়াতে আছে, "বলুন - তিনিই আল্লাহ্‌, এক ও অদ্বিতীয়। সবাই তার মুখাপেক্ষী, তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। এবং কেউই তার সমকক্ষ নয়।"

তাই দেখা যাচ্ছে বেদ এবং সুরা ইখলাস একই কথা বলছে॥ এইরকম অনেক সাদৃশ্য কুরআনের সাথে বেদ, গীতার পাওয়া যায়। সামবেদে বলা হয়েছে - "মদৌ বর্তিতা দেবাদ কারান্তে প্রকৃত্তিতাবৃষাণং ভক্ষয়েত্‍ সদা সেদা শাস্ত্রের স্মৃতা" অর্থাত্‍ যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর ম ও শেষ অক্ষর দ এবং বৃষমাংস ভক্ষণ সর্ব কালের জন্য বৈধ করবেন। তিনিই হবেন বেদ অনুযায়ী সেই ঋষি। মুহাম্মদ (সা.) এর প্রথম অক্ষর ও শেষ অক্ষর বেদের নির্দেশ মতে ম ও দ তাকেই মান্য করে চলা শাস্ত্রের নির্দেশ। আবার কল্কি পুরাণ ২য় অধ্যায় ২৫ নম্বর শ্লোকেও মুহাম্মদ স. এর কথা বলা হয়েছে॥ স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে তবে কি বেদ এবং গীতাও আল্লাহর কিতাব! এই বিষয়ে আলোচনা করার আগে হিন্দুদের মুর্তি পুজার বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। হিন্দু ধর্মে মুর্তি পুজা করতে নিষেধ করা হয়েছে॥ ভগবত গীতা - অধ্যায় ৭ - স্তব ২০ - "যাদের বোধশক্তি পার্থিব আকাঙক্ষার মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু তারাই উপদেবতার নিকটে উপাসনা করে।"

Explanation:

Similar questions