ক, ব্যবসায় পরিকল্পনা কী?
খ. সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্প বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পণ্যগুলাে কোন শিল্পের অর্ন্তগত বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য মতে এ খাতের বিকাশ সম্ভব বলে মনে করাে কী?
মতামত দাও।
Answers
ক. ব্যবসায় পরিকল্পনা কী?
ব্যবসা পরিকল্পনা হল একটি লিখিত পরিকল্পনা যা ব্যবসা শুরু করার আগে তৈরি করা হয়। এককথায় সাধারণত একটি নতুন ব্যবসা কীভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে। একে ব্যবসায়িক পরিকল্পনাও বলা হয়। এক কথায়, ব্যবসায়িক কার্য সম্পাদনের জন্য যে ধরনের পরিকল্পনা করা হয় তাকে ব্যবসা পরিকল্পনা বলে।
____________________________________
খ. সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্প বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
যন্ত্রপাতি কিংবা স্থায়ী সম্পদ বা মেধা সম্পদের ব্যবহারের মাধ্যমে যে সকল সেবামূলক করুন্ম সম্পাদিত হয় সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠান সেবামূলক শিল্পের অন্তর্ভুক্ত । মৎস্য আহরণ,নির্মাণ শিল্প ও হাউজিং, অটো মোবাইল সার্ভিসিং, বিনোদন শিল্প, হাট কালচার, ফ্লোরিকালচার, ফুল চাষ ও ফুল বাজারজাতকরুনণ ও পোল্ট্রি উৎপাদন এবং বিপণন, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, প্যর্টন ও সেবা, পরিবহন ও যোগাযোগ ইত্যাদি সেবা শিল্পের উদাহরণ।
____________________________________
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত পণ্যগুলাে কোন শিল্পের অর্ন্তগত বর্ণনা কর।
উদ্দীপকে বর্ণিত পণ্যগুলাে যেমন নুড়ি, কুলা, জয়ার, দোলনা, ফুলদানি ইতাদি সেবামূলক ক্ষুদ্র শিল্পের অর্ন্তগত।
____________________________________
ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য মতে এ খাতের বিকাশ সম্ভব বলে মনে করাে কী? মতামত দাও।
বাংলাদেশ কুটির শিল্পের বিকাশের করণীয় কার্যক্রম হলো কাঁচামালের সহজলভ্যতা ও নিশ্চিতকরন , শ্রমিকের পর্যাপ্ত যোগান ও বৈদেশিক চাহিদা বৃদ্ধি ইত্যাদি । কাঁচামালের সহজলভ্যতা কোন শিল্প গঠনের সিদ্ধান্তে বড় ভূমিকা পালন করে । শ্রমিকের যোগান পর্যাপ্ত হলে শিল্পের উৎপাদন ও পরিচালনা সহায়তা হয় । এছাড়াও উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা শিল্পের উন্নতিতে সহায়তা করে । এ দেশের ৯৬ ভাগ শিল্প কুটির শিল্পের আওতাভুক্ত বলে এ সব শিল্পে বিপুল পরিমান কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করে । কোনো শিল্প প্রতিষ্টার পরিকল্পনা থেকে তা পরিচালনা ও বিকাশে কিছু উপাদান গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে । কাঁচামালের সহজলভ্যতা শ্রমিকের পর্যাপ্ত যোগাযোগ উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা প্রভৃতি এইসব উৎপাদনে অন্তর্ভুক্ত । কাঁচামাল সহজলভ্য হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কাজ সহজ হয়ে যায় । আর শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন ও পরিচালনা অব্যাহত রাখতে ও পর্যাপ্ত পরিমাণে দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন হয় । ফলে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সহজে সম্পন্ন হয় ও ব্যয় কমে যায় । আবার পণ্য শুদু উৎপাদন করলেই হয়না , এর বিপণনও জরুরি । এজন্য স্থানীয় বৈদেশিক চাহিদা বাড়ানো দিকে নজর দিতে হবে । এছাড়া ও শিল্পের বিকাশে পুজির সহজ যোগান , পরিবহন সুবিধা , বাজের নৈকট্য সহায়ক ভুমিকা রাখে । উপরক্ত কথা গুলো থেকে আমরা বাংলাদেশের কুটির শিল্পের বিকাশের করণীয় কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারি । উপরিক্ত কাজগুলো সঠিকরুপে সম্পর্ণ করলে কুটির শিল্পের খাতের বিকাশ ঘটানো সম্ভব বলে আমার মনে হয় ।
____________________________________
Explanation: