ববসা বানিজের কাজে পাচীনকালে ভারতে কি বাবহার করা হত
Answers
Answer:
ব্যবসা-বাণিজ্য একটি শব্দ যা দ্বারা পণ্যদ্রব্য ক্রয় ও বিক্রয়ের কাজকে নির্দেশ করে। স্মরণাতীতকাল থেকে বাংলার অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধি হয়ে আসছে। বাংলায় অসংখ্য নদী-নালা অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য উপযোগী সুবিধাজনক যোগাযোগ ব্যবস্থার পথ তৈরী করে দিয়েছিল। আর বঙ্গোপসাগরের সান্নিধ্য বাংলাকে দিয়েছিল সামুদ্রিক বাণিজ্যের সুযোগ। এই বাণিজ্যিক ঐতিহ্য সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দ থেকে শুরু হয়েছিল। বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগের ব্যবসা বাণিজ্যের ধরণ নিম্নরূপ:
প্রাচীন যুগ আধুনিক ভারতবর্ষের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উড়িষ্যার কিছু কিছু এলাকা এবং বর্তমান বাংলাদেশের সম্মিলিত ভূখন্ড নিয়ে প্রাচীন বাংলা গঠিত ছিল। এই অঞ্চল সুদূর অতীতে চারটি প্রধান ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে গঠিত হয়। সেগুলি হলো পুন্ড্রবর্ধন, রাঢ়, বঙ্গ এবং সমতট, হরিকেল। ভৌগোলিক বিচারে বাংলার অবস্থান গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ এলাকায়। অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের বৃহত্তর ভূখন্ড নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন বাংলা। পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপাঞ্চল হিসেবে এ বাংলার ভূগোল, পরিবেশ ও মানুষের ক্রিয়াকলাপ অতি প্রাচীন আমল থেকেই নদীব্যবস্থা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত। সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে বাংলাই একমাত্র প্রকৃত আসমুদ্রহিমাচল অঞ্চল। একদিকে মধ্য গঙ্গা উপত্যকা এবং অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার সুবাদে বাংলা পশ্চিমে গাঙ্গেয় উপত্যকার সঙ্গে এবং পূর্বে তথা উত্তরপূর্বে অসম ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকার সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করতে পারত। দক্ষিণ দিকে গাঙ্গেয় বদ্বীপ এলাকা যুক্ত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে। স্থলবন্দি গাঙ্গেয় উপত্যকার ক্ষেত্রে গাঙ্গেয় বদ্বীপই সমুদ্রে পৌঁছবার পক্ষে একমাত্র পথ। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ ও পণ্যের যে গতিবিধি বাংলায় দেখা যায় তা বহুলাংশে এই ভৌগোলিক ও পরিবেশগত উপাদানগুলি দ্বারা প্রভাবিত।